বিশ্ব বাণিজ্যে রাজত্ব হারিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে চীন

  করোনা ভাইরাস


ফাতিমা তুজ জোহরা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাণিজ্যে তিন দশক ধরে শাসন করছে চীন। বিগত ৩০ বছরে বিশ্ব বাজারে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ভয়ায়হ করোনাভাইরাস ভাঙতে যাচ্ছে চীনের এত দিনের রেকর্ড। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত চীনের বিশ্ব বাণিজ্যে পর্দা নামতে যাচ্ছে।

পুঁজিবাজার

করোনার প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বড় ধস নেমেছে চীনের পুঁজিবাজারে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই ৩৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি শেয়ার মূল্য কমেছে। সামগ্রিকভাবে বাজারের দরপতন হয়েছে ৮ শতাংশ। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ যাবত কালের সবচেয়ে বৃহৎ ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে চীনের অর্থনীতি। চীনের মোট জিডিপির প্রায় ৬৯ শতাংশ আসে গুয়াংডং, শেনজেন, সাংহাই ও জিয়াংসু প্রদেশ থেকে। গত ২৩ জানুয়ারি লুনার নিউ ইয়ার উদযাপন স্থগিত করা হয়। লুনার নিউ ইয়ার চীনের পর্যটন খাতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌসুম। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ২৪ জানুয়ারি থেকে চীনে ছুটি শুরু হয়েছিল। উহানে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলে চীন সরকার ১৪টি প্রদেশে ছুটি এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করে।  

অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থা

লুনার নিউ ইয়ার উদযাপনকে কেন্দ্র করে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কনসার্ট উদযাপন স্থগিত করা হয়। চীনে ৬ কোটি মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এতে চীন প্রায় ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি ক্ষতির মুখে পড়ে।

বর্তমানে চীনের জিডিপি ১৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের উৎপাদন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। এর ফলে বন্ধ হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা।

সবচেয়ে ভীতিকর বিষয় হলো চীনের অর্থনীতিতে এ ধস কেবল সাময়িক সময়ের জন্য নয়। বিশ্ববাজারে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কবলে পড়তে যাচ্ছে চীন।

চীনের বেইজ বুকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ এইচ কাজী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনাভাইরাসে চীনের অর্থনৈতিক মন্দা এমন সংকটে পৌঁছাতে যাচ্ছে যা ধারণার বাইরে। চীনা অটো ম্যানুফ্যাকচারিং  ও  কেমিক্যাল প্লান্টগুলো একেবারে বন্ধের মুখে পড়তে যাচ্ছে। আইটি কোম্পানির কর্মীরা এখনও কর্মস্থলে ফিরে আসেনি। শিপিং ও লজিস্টিক সংস্থাগুলো বন্ধ হতে চলেছে। আর এর ফলে আসছে কয়েক মাসে বিশ্বব্যাপী অটো যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিক্স এবং ওষুধ সরবরাহ এক বিশাল সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। 

এখনও পর্যন্ত ৬৯ দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। চীনের পরই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা গেছে ইতালিতে। এখনও পর্যন্ত ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩৫ জনে। তারপরও চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে এগিয়ে ছিল ইতালির বাজার। 

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ

চলতি বছর জানুয়ারিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ও সেবা নিতে হবে। চীন যদি চুক্তি না মানে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে কর আরোপ করতে পারবে। বর্তমান পরিস্থিতি যা বলছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার মুখে চীন। এতে আসছে দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই পরিমাণ পণ্য ক্রয় করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে পণ্য কিনে তারাও এসব পণ্য পাচ্ছে না। এসব কোম্পানিগুলো শুধু পণ্য আমদানি নয় রফতানিও করে থাকে। এখন দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ব্যবস্থা উভয় সংকটে পড়তে বসেছে। চীনের অর্থনীতির মন্দার  প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট সব দেশগুলোতে।

করোনাভাইরাস এখন চীনের দুয়ারে শেষকৃত্যর সঙ্গীতের ন্যায়। চীনের সামনে এখন দ্বিমুখী সংকট। বিশ্ব অর্থনীতির স্রোতে চীনের নিজের জন্য টিকে থাকা দায়, সেখানে আসছে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় চীনের জন্য অশনি সংকেত। তখন প্রশ্ন আসে  চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি ব্যর্থ হলে কী হতে পারে সামনের দিনগুলোতে।  

চীনকে বাদ দিয়ে এখনই অন্য কোনো দেশকে বেছে নেওয়াটা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নয়, যেকোনো দেশের জন্য মোটেও সহজ নয়। কারণ চীনের মতো লজিস্টিক সেট আপ আপাতত অন্য কোনো দেশে নেই।

এমন অবস্থায় সামনে আসে গত বছর স্বাক্ষরিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তবে কি এখন বিশ্ব বাণিজ্য দ্বার খুলতে যাচ্ছে মেক্সিকোর জন্য?    

বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের প্রভাব বিস্তর। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চীনা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। এমন সংকটকালীন অবস্থায় করোনাভাইরাস রোধ করা না গেলে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বিশ্ব বাণিজ্য।

   

দোনেৎস্কের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্কের আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। তাদের দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের গ্রাম নোভোমিমিকাইলিভকা তারা দখল করে নিয়েছে এবং তা তাদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে।

সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিকমাধ্যমে দাবি করেছে, তারা একটি গ্রামকে মুক্ত করেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরও ভালো করেছে। তবে ইউক্রেনের দাবি, তারা রুশ বাহিনীর অগ্রগতি থামিয়েছে।

জার্মানভিত্তিক বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সেনা কর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া দোনেৎস্কে ২৩ বার তাদের প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে এগোবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি।

ইউক্রেনের হাতে এখন অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কমে এসেছে। তাই তারা রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে মাত্র।

গত সপ্তাহ শেষে মার্কিন পার্লামেন্টে ইউক্রেনকে ছয় হাজার এক শ’ কোটি ডলার সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সাহায্য ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক দ্য স্টাডি অৎ ওয়ার জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা এখন তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করবে। তারা মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করবে। ইউক্রেনের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র না থাকার সুবিধা তারা নেওয়ার চেষ্টা করবে।

  করোনা ভাইরাস

;

ইরানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে: মানবাধিকার প্রতিবেদন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের পরিস্থিতি হিসেবে ইরানের মানবাধিকারের রেকর্ড ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করে ক্রমবর্ধমানভাবে দেশটি শাসন হতে থাকায় নারীদের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে।

ইরানী নারীরা বাধ্যতামূলক পোষাক কোড লঙ্ঘনকারী লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিবাদ এবং নাগরিক অবাধ্যতা সরকারকে ব্যাপক কর্মকাণ্ডের দিকে পরিচালিত করে।

ব্যুরো অফ ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস এবং শ্রমের সিনিয়র ব্যুরো অফিসার রবার্ট গিলক্রিস্ট মানবাধিকার অনুশীলনের ৪৮তম বার্ষিক কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন এবং মুখপাত্র ম্যাট মিলার। ভয়েস অফ আমেরিকার গিটা আরিয়ান ইরান নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি এসব কথা বলেন।

রবার্ট গিলক্রিস্ট বলেন, মানবাধিকার রিপোর্ট নামে পরিচিত এই কংগ্রেসের নির্দেশিত প্রতিবেদনটি ১৯৯৭ সাল থেকে ডিআরএল ব্যুরোর একটি প্রধান প্রচেষ্টা। মানবাধিকার প্রত্যেকের জন্য; এই প্রতিবেদনটি এই সর্বজনীন অধিকারের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করার একটি উপায়।

ভয়েস অব আমেরিকা থেকে গিটা আরিয়ান ইরান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান মার্চের শেষের দিক থেকে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাবের উপর ক্র্যাকডাউন করেছে এবং যেদিন ইসরায়েলে আক্রমণ করেছে, সেদিন থেকে এটি সেই ক্র্যাকডাউনকে আরও তীব্র করেছে। একই সময়ে, ক্যাপিটল হিলে আইন রয়েছে যে প্রশাসন উচ্চ নেতৃত্বের কর্মকর্তাদের - সর্বোচ্চ নেতা, রাষ্ট্রপতিকে অনুমোদন দেয়।

গিলক্রিস্ট বলেন,  যেকোন আইনের ব্যাপারে অবশ্যই বিভাগটি কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রতিটি আইন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর তাই আইন বাস্তবায়নে দপ্তরের প্রতিশ্রুতি অবশ্যই আছে।

অনেক নারী ও মানবাধিকার কর্মী তাদের সক্রিয়তার জন্য কারাদণ্ড পেয়েছেন এবং কারাগারে রয়েছেন। নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মাহসা জিনা আমিনির ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর পর শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করার প্রচেষ্টায় কর্তৃপক্ষ লোকেদের আটক, সাজা এবং মৃত্যুদণ্ড অব্যাহত রেখেছিল ইরান প্রশাসন। তাই যুক্তরাষ্ট্রও বহুজাতিক অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রবার্ট গিলক্রিস্ট বলেন, বিভাগটি ইতিমধ্যেই সক্রিয়ভাবে ভিসা বিধিনিষেধ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো ব্যবহার করেছে। ইরানের কর্তৃপক্ষের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা বাড়াতে ২০২২ সালের দাঙ্গার পর থেকে সাম্প্রতিকতম ক্র্যাকডাউনের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হচ্ছে।

  করোনা ভাইরাস

;

সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের সমালোচনা 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরে রাজ্য ২০২৩ সালে সংঘটিত দাঙ্গায় হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক ও সংখ্যালঘুরা। এছাড়া ভারতজুড়ে সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীরা মোদি সরকার ও তার সমর্থকদের চাপ প্রয়োগ ও হয়রানির শিকার হয়েছে। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মণিপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও সাংবাদিক-ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে। 

দেশটির একটি আদালতের আদেশকে কেন্দ্র করে গত বছরের মাঝামাঝি মণিপুরে দুই উপজাতি কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের শুরু হয়। সেই সংঘাত সহিংসতায় অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত দাঙ্গায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের অন্যান্য অংশেও সরকার ও এর সমর্থকরা গণমাধ্যম ও সরকারের সমালোচকদের ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ২০২৩ সালে ভারতের বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনামূলক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর এই তল্লাশি চালানো হয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতকে ১৬১তম স্থানে রেখেছিল, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন অবস্থান।

মার্কিন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সহিংসতার আহ্বান জানানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন। তবে মোদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তার নীতিমালা সব ভারতীয়র উপকারের লক্ষ্যেই প্রণীত। 

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, মোদির শাসনামলে জলবায়ু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া তার আমলে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নামে মুসলিম স্থাপনা ভেঙে ফেলার মতো কাজ করা হয়েছে।

তারপরও চলতি বছরের নির্বাচনে রেকর্ড আসন নিয়ে মোদির দলের তৃতীয়বারের মতো জয় পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচনী জরিপ সংস্থাগুলো।

  করোনা ভাইরাস

;

২০২৩ ছিল এশিয়ার জন্য চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের বছর: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সাল ছিল এশিয়া মহাদেশের জন্য চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের বছর। জলবায়ু পরিবর্তন, চরম আবহাওয়া এবং নিরাপদ পানির জন্য বছরটি ছিল খুবই নাজুক।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতিসংঘের সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার কারণে সর্বোচ্চ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এ বছর। এছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং তাপদাহের (হিট ওয়েভ) ঘটনাও ঘটেছে।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেসটি সাওলো বলেন, ২০২৩ সালে এশিয়ার অনেক দেশ তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে পার করেছে। এছাড়া খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং তীব্র তাপদাহের মতো ঘটনাও ঘটেছে অনেক দেশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ৭৯টি দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। এর শতকরা ৮০ ভাগই ঘটেছে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এ ঘটনায় ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

 

 

 

  করোনা ভাইরাস

;