করোনা ঠেকাতে ১০ সতর্কবার্তা

  করোনা ভাইরাস


নুসরাত জাবীন বিভা, আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন ভাইরাসটি আন্তর্জাতিক হুমকি হয়ে উঠেছে।

নতুন এই করোনাভাইরাস অফিশিয়ালি কোভিড-১৯ নামে পরিচিত। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৯৩০৯০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩ হাজার ২৮৫ জন মারা গেছে। যদিও অধিকাংশ মানুষ চীনে মারা গেছে তবে গত দুই সপ্তাহে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। সম্প্রতি আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা থেকেও আক্রান্তের খবর এসেছে।  

মরণব্যাধি করোনার বিরুদ্ধে এশিয়ার জনবহুল দেশগুলো কীভাবে মোকাবিলা করছে সে সম্পর্কিত ১০ তথ্য তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। মহামারি মোকাবিলায় পূর্বসতর্কতা স্বরূপ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।  

জনগণের সঙ্গে স্বচ্ছতা

সরকারের জবাবদিহিতা এবং জনগণকে সঠিক তথ্য জানানোর ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। অর্থাৎ জনগণকে রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে আগে থেকে জানালে রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে। এতে ভুল তথ্যের ফলে আতঙ্ক সৃষ্টিও এড়ানো যায়।

জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, ব্যাপক স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির কারণে জাপানে এ রোগ আক্রান্তের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমছে।

জনগণ এবং অভ্যন্তরীণভাবে সরকারকে কঠিন সত্যগুলো জানালে ভুল পদক্ষেপ নেওয়া এড়ানো যায়। যেমনটা সংক্রমণের প্রথম কয়েক সপ্তাহে চীনে করা হয়েছিল।

সামাজিক দূরত্ব তৈরি

শারীরিক সংস্পর্শ থেকে করোনা ছড়ায়। এক্ষেত্রে সরকার বা জনগণকে  অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে পদক্ষেপটি নিতে হবে সেটি হলো সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা। 

সামাজিক দূরত্ব বলতে যা শোনায় তাই। নিজের এবং অন্যের মধ্যে দূরত্ব রাখা এবং যেখানে গেলে অনেক লোকের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা রয়েছে সেরকম পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা।

যেমন এশিয়ার অনেক দেশে স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চীনে লুনার নববর্ষ উৎসব উদযাপন করার মতো গণজমায়েত বাতিল করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।  

আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ

বড় পরিসরে সংক্রমণ ছড়ানোর আগেই প্রশাসনকে প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

জানুয়ারিতে এশিয়ায় দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হতেই বিভিন্ন দেশ প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এজন্য তারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানায়, আগাম অতিরিক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিসহ আন্তবিভাগীয় সরকারি জরুরি সেবা কমিটিগুলো গঠন করে।  

চীনের পর থাইল্যান্ডে প্রথম করোনা ছড়ায়। প্রথম জন আক্রান্ত হওয়ার পরদিন থেকেই তারা ব্যাপকভাবে পরিবহনকেন্দ্র গুলোতে থার্মাল স্ক্রিনিং চালু করে।

যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা করা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করোনার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিতেই যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা করানোর জন্য উৎসাহিত করতে পারেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় জেলাসহ সারাদেশে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা রাখতে পারে। এতে কেউ আক্রান্ত হলে সাথে সাথে জানা যাবে।

দক্ষিণ কোরিয়া এ ব্যাপারে একটি ভালো উদাহরণ। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি স্মার্টফোন অ্যাপ চালু করেছে যা জনগণকে তাদের লক্ষণের ব্যাপারে প্রতিদিন খেয়াল রাখতে এবং প্রয়োজন মনে করলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানাতে বলে। 

এ ধরনের পদ্ধতি আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে তাদের থেকে রোগ ছড়ানো বন্ধ করতে পারে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক চর্চার প্রচার

অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচিকাশির সময় নাক এবং মুখ ঢাকা, চোখ অথবা মুখে হাত না দেওয়া এবং যেসব জায়গা হাত দিয়ে ধরা হয় সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। ইতোমধ্যে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালাচ্ছে।

বিভিন্ন শহর যেমন হংকংয়ে মানুষ বাইরে যাওয়ার সময় গ্লাভস পরছে ও সংক্রমণ নাশক বা অ্যালকোহল ওয়াইপ দিয়ে নিয়মিত শরীর পরিষ্কার করছে।

কর্মীদের কাজের ব্যাপারে নমনীয়তা

গত এক মাস যাবত এশিয়ার লক্ষাধিক মানুষ বাড়ি থেকে কাজ করছে বা সুবিধামত কর্মঘণ্টা নিয়ে কাজ করছে। কিছু প্রতিষ্ঠান খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয় এমন কর্মীদের বাড়ি পাঠিয়েছেন। আবার অনেকে কর্মীদের গ্রুপ করে আসার সময় ভাগ করে দিয়েছে।

এখানে কিছু সমস্যা অবশ্যই রয়েছে। বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকলে এবং মা-বাবা বাড়ি থেকে কাজ করলে সন্তানদের দেখাশোনা করতে হয়। আবার অনেক পেশায় বাড়িতে বসে কাজ করা সম্ভব নয়। তবে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক কিছুই সহজ হয়েছে।

ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কেনাকাটা না করা

ফেব্রুয়ারিতে হংকংয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কেনাকাটা করে দোকান খালি করার হিড়িক পড়েছিল।

সরকারিভাবে বার বার আশ্বস্ত করার পরেও মানুষ ভেবেছিল বর্ডার বন্ধ থাকলে টয়লেট টিস্যু সাপ্লাই ব্যাহত হবে। তাই তারা কিনে মজুত রাখতে চেয়েছিল।

শুধুমাত্র টয়লেট টিস্যু নয় ফেসমাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পরিষ্কারক সামগ্রী এবং ভাতের মতো খাদ্যও কিনে রাখা শুরু করেছিল।

এতে অহেতুক বিশৃঙ্খলা ও ভীতি সৃষ্টি হয়। গত মাসে বেশ কয়েকজন ৬০০ টয়লেট টিস্যুর রোল চুরির দায়ে গ্রেফতার হয়।

পোষা প্রাণীদের ভয় না পাওয়া

হংকংয়ে গত সপ্তাহে এক কুকুরের করোনাভাইরাস টেস্ট পজিটিভ আসায় একটি ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে কুকুর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এবং মালিকের কাছে ছড়াতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। কুকুর অথবা বিড়াল আক্রান্ত না হলেও করোনাভাইরাস এদের ত্বকে উপস্থিত থাকতে পারে।

তাই এগুলো কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না। এদের মাস্ক পরিয়ে রাখুন অথবা ছেড়ে দিন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মূল বিষয়গুলো মেনে চলুন। পোষা প্রাণী ধরার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। বাইরে থেকে ফেরার পর এদের পায়ের নিচের অংশ অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ধুয়ে দিন। 

রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করা

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে বাড়ছে ভীতি, বিড়ম্বনা এবং বৈষম্য।

বিশেষজ্ঞরা রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এই রোগ প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এটি করতে গিয়ে রোগীদের অসম্মান করা যাবে না।

আতঙ্কিত না হওয়া

ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রস্তুতির পাশাপাশি আতঙ্কিত না হওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বর্তমান তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার প্রায় ৩.৪ শতাংশ যা ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে বেশি কিন্তু সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটোরি সিনড্রোম) এবং মার্স (মিডিল ইস্ট রেসপিরেটোরি সিনড্রোম) এর চেয়ে অনেক কম। এগুলোর মৃত্যুহার যথাক্রমে ৯.৬ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের হিসেব অনুযায়ী আক্রান্তদের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

   

৬২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতেই ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মানুষ যে উত্তাপ অনুভব করছে তার বিচারে ফিলস লাইক টেম্পারেচার ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র গরমের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটু শীতলতার খোঁজে শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছে কোপাকাবানা ও ইপানেমা সমুদ্র সৈকতে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। এটিকেই বলে ‘ফিলস লাইক টেম্পারেচার’।

গত এক দশকের মধ্যে মানুষ এত তাপমাত্রা অনুভব করেনি বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। ব্রাজিল আবহাওয়া অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে রিওতে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছিল।’

অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড় করা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা, রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণ দায়ী বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদেরা।

রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলেই আমাদের আশঙ্কা। কারণ যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, আবাসন বাড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তীব্র গরম–অতিবৃষ্টি–বন্যা–খরা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’

এদিকে রিও যখন গরমে পুড়ছে, অন্যদিকে ভয়াবহ বৃষ্টি আবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

ব্রাজিলের আবহাওয়া তথ্য সংস্থা মেটসুল সতর্ক করে বলেছে, আগামী সপ্তাহটি দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সপ্তাহজুড়েই তীব্র ঝড়–বৃষ্টি হতে পারে।

  করোনা ভাইরাস

;

ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ২০ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহু ফিলিস্তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে ইসরাইল এই হামলা চালায় বলে নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানান, মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েল হামলা চালায়। এই ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে গাজা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিমি (৮.৬ মাইল) দক্ষিণে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে বজ্রপাতের সঙ্গে বিস্ফোরণের মিশ্র শব্দ এবং বৃষ্টি তাঁবুর তৈরি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশাও আরও বাড়িয়ে দেয়।

দেইর আল-বালাহ শহর থেকে পাঁচ সন্তানের বাবা শাবান আবদেল-রউফ বলেছেন, ‘আমরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতাম এবং (বৃষ্টি হতে) দেরি হলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম। আজ আমরা প্রার্থনা করছি যেন বৃষ্টি না হয়। আমরা বজ্রপাত এবং বোমা হামলার শব্দের মধ্যে আর পার্থক্য করতে পারছি না। বাস্তুচ্যুত মানুষ যথেষ্ট দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ।

এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।  ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

  করোনা ভাইরাস

;

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কিউবাজুড়ে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বীপরাষ্ট্রের কিউবায় অর্থনৈতিক সংকট অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আগের দিন শত শত মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য সান্তিয়াগো শহরে জড়ো হয়ে বিক্ষাভ করেন।

সোশ্যাল মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, কমিউনিস্ট-শাসিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে জনতা "শক্তি এবং খাদ্য" স্লোগান দিচ্ছে।

দেশটিতে সম্প্রতি এক দিনে ১৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। এতে দেশে খাদ্য সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে বিপন্ন হয়।

মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতির সময় আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলির দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় কিউবা কয়েক দশকের মধ্যে তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের সাথে লড়াই করছে। করোনা মহামারী এ সংকটকে আরও প্রকট করে তুলেচে।

ডায়াজ-ক্যানেল সংলাপ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, বেশ কিছু মানুষ বৈদ্যুতিক পরিষেবা এবং খাদ্য বিতরণের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, দল, রাষ্ট্র এবং সরকারের কর্তৃপক্ষের স্বভাব হল আমাদের জনগণের অভিযোগের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, শোনা, সংলাপ করা, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যে সমস্ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করা, সর্বদা প্রশান্তি এবং পরিবেশে।


হাভানায় মার্কিন দূতাবাস এক্স-এর একটি পোস্টে বলেছে, বায়ামো, গ্রানমা এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সরকারকে "বিক্ষোভকারীদের মানবাধিকারকে সম্মান করতে এবং কিউবার জনগণের ন্যায্য চাহিদা মেটাতে" আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সান্তিয়াগোতে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এ সময় বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলেন, “কমিউনিজম চলে যাও, দিয়াজ-খাল চলে যাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওগুলিতে কোথাও সংঘর্ষ বা কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। বিক্ষোভগুলো বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত ছিলো।

  করোনা ভাইরাস

;

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আল জাজিরার সাংবাদিক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তনের গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতাল থেকে আল জাজিরার আরবি সংবাদদাতা ইসমাইল আল-ঘৌলকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গ্রেফতারের পর ওই সাংবাদিককে গুরুতরভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে আল-ঘৌল তার সহযোগী এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চতুর্থ অভিযান কভার করতে সেখানে ছিলেন, যেখানে চিকিৎসা কর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত পরিবারসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, আল জাজিরার প্রতিবেদককে ইসরায়েলি বাহিনী টেনে নিয়ে গেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রের সংবাদ সম্প্রচারের যানবাহনও ধ্বংস করেছে তারা।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ রাফাহ থেকে এক প্রতিবেদনে জানায়, আল-ঘৌলকে "মাটিতে ফেলে তার সহযোগীসহ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নির্যাতন, মারধর এবং আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে মাহমুদ বলেছেন, অনেক ফিলিস্তিনিকে মারধর করা হয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে, কারও কারও চোখ বেঁধে রাখা হয়েছে এবং তাদের হাত পিঠের পিছনে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের একটি ইসরায়েলি সামরিক ট্রাকের ভেতরে রেখে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং হাসপাতালের একটি ভবনে গুলি চালায়, ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও আহত করে এবং হাসপাতালের উঠানের একটি অংশ বুলডোজ দিয়ে ধ্বংস করে।

মাহমুদের মতে, এদিন ইসরায়েলি বাহিনী মহিলা চিকিৎসা কর্মী এবং সাংবাদিকসহ ৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে।

  করোনা ভাইরাস

;