করোনাভাইরাস প্রতিরোধ: চীনই পথ প্রদর্শক

  করোনা ভাইরাস


খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে পশ্চিমের দেশগুলোতে নতুন সংক্রমণের হার প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে দেখছে। তবে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে নতুন করে সংক্রমণ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।

চীনে এটি কিভাবে সম্ভব হল: যা উন্নত পশ্চিমা দেশগুলো কুলিয়ে উঠতে পারছে না।

এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কক্স মিডিয়া গ্রুপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন নতুন করে সংক্রামণ হ্রাস করতে পেরেছে। কারণ সে তার দেশের নাগরিকদের এ সম্পর্কে নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে বাধ্য করেছে। যে ভৌগলিক অঞ্চলে (উহান) এই রোগের উদ্ভব হয়েছিল বলে মনে করা হয়, সেখানে নাগরিকদের বাকি দেশের অঞ্চল থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন করেই রেখেছিল চীন সরকার।

উহান শহরকে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়াও, চীন সরকার তার সব নাগরিকদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি যারা এই রোগে আক্রান্ত না তাদেরকেও বার বার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সংক্রামণ রোগীকে খুঁজে বের করতে হাজার হাজার দল গঠন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নিয়ে চীন যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা অন্য দেশগুলোর অনুসরণ করা উচিত।

আগ্রাসী পদক্ষেপ:

চীনের কিছু কিছু অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রামণের সংখ্যা হ্রাসের সংবাদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা পরিচালিত একটি চিকিৎসা গবেষণা দল ফেব্রুয়ারিতে সেখানে ভ্রমণকারীদের প্রতিরোধে চীনা সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিদেশি ১৩ জন বিজ্ঞানী এবং ১২ জন চীনা বিজ্ঞানী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তারা সেখানে থাকা অবস্থায়ই নতুন সংক্রামণের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল।

সমীক্ষা অনুসারে, ১০ ফেব্রুয়ারি, দলটি প্রথম দিনে নতুন ২৪৭৮টি সংক্রামণ চিহ্নিত করার তথ্য পায়। দলটি দুই সপ্তাহ পরে চলে যাওয়ার সময়, সংক্রামণের সংখ্যা ৪০৯ নেমে আসতে দেখে।

এই দলেন নেতা ব্রুস আইলওয়ার্ড নতুন সংখ্যা হ্রাসের জন্য চীনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

ব্রুস আইলওয়ার্ড গত সপ্তাহে জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, 'এই আগ্রাসী প্রতিক্রিয়ার কারণে চীনে নতুন করে হাজারো মানুষকে এ সংক্রামণ থেকে দূরে রাখা গেছে'।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তার রোধ করতে চীনের সাহসী দৃষ্টিভঙ্গিই এই দ্রুত বর্ধনশীল ও মারাত্মক মহামারীটির পথ পরিবর্তন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগের পরিচালক ডা. অ্যান্টনি ফৌসি এই পদক্ষেপগুলিকে অবশ্য 'দুর্দশাগ্রস্ত' বলে বর্ণনা করেছেন। যদিও তিনি বলেন, চীনারা নতুন সংক্রামণের সংখ্যা হ্রাসে সফল হয়েছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউস করোনভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সদস্য এন্টোনি ফৌসি বলেন, 'চীনের প্রচেষ্টা এতটাই কঠোর হয়েছে যা আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কখনই করতে পারব না। তবে এরপরেও অনেক কিছু রয়েছে যার অনিচ্ছাকৃত নেতিবাচক পরিণতি হয়েছে। আমি মনে করি চীন করোনাভাইরাসের একটি বিস্তৃত বিস্তার রোধ করেছে'।

বাধ্যতামূলক পৃথকীকরণ বা কোয়ারেন্টাইন:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীন কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

-২৩ শে জানুয়ারির পর থেকে কমপক্ষে ৫০ কোটি মানুষকে বাধ্যতামূলক পৃথকীকরণের অধীনে রেখেছে চীন। হুবেই প্রদেশের উহান শহর এবং আশেপাশের শহরগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে।
-হুবেই প্রদেশের নিকটবর্তী অঞ্চলের কেউ অসুস্থ বোধ করলে তবে নিজেকে আলাদা করে রাখতে বলেছে সরকার।
-আশেপাশের লোকদের স্ব-বিচ্ছিন্নতার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে।
-তাদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করেছে।
-যারা কোয়ারেন্টাইনের আওতায় থাকবেন তারা কেউ বাড়িঘর ছেড়ে বের হলে আইন লঙ্ঘন করা হবে বলে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।
-উহানে প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছে চীন।
-অসুস্থদের যত্ন নেওয়ার জন্য হুবাই থেকে দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী পাঠিয়েছে।
-ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করতে ১৮০০টি দল চালু করেছে।
-সারা দেশে "সামাজিক দূরত্ব" ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে। যার মধ্যে স্কুল, ব্যবসা ও থিয়েটার বন্ধ করা এবং ক্রীড়া ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
-বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা।

এগুলো ছাড়াও আলিপে এবং উইচ্যাট দুটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে নাগরিকদের চলাফেরার উপর নজরদারি চালিয়েছে চীন।

   

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

  করোনা ভাইরাস

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

  করোনা ভাইরাস

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

  করোনা ভাইরাস

;