করোনার চিকিৎসায় জাপানের ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সিজিটিএন

ছবি: সিজিটিএন

জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জায় ব্যবহৃত ওষুধ করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকর বলে জানিয়েছে চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৮ মার্চ) জাপানি গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝাং জিনমিন বলেছেন, ফুজিফিল্মের সহযোগী সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ ফ্যাভিপিরাবির উদ্ভাবন করেছে। যা উহান ও শেনজেনের ৩৪০ জন রোগীর মাঝে প্রয়োগ করা হয়। আর সেখানে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার ঝাং জিনমিন সাংবাদিকদের বলেন, এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে কার্যকর।

জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এনএইচকে জানায়, শেনজেনে যে রোগীদের মাঝে ওষুধটি ব্যবহৃত হয় তাদের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। চারদিন আগে যেসব রোগী পজিটিভ ছিল ওষুধ সেবনের পর তাদের পরীক্ষা করা হলে নেগেটিভ দেখা যায়। এছাড়া এক্সরে করার পর তাদের ফুসফুসের উন্নতিও দেখার মত ছিল বলে জানায় এনএইচকে।

বিজ্ঞাপন

২০১৪ সালে ফুজিফিল্মের সহযোগী সংস্থা টয়ামা কেমিক্যাল এই ওষুধটি আবিষ্কার করে। যার আরেক নাম আভিগান। তবে চীনের এমন দাবি সম্পর্কে কোম্পানিটি থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাপানে করোনা উপসর্গ পাওয়া রোগীদের মাঝেও একই ওষুধ ব্যবহার করছে দেশটির চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা আশা করছেন ওষুধটি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে বাধা দিবে। তবে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মইনিচি শিম্বুনকে জানান, গুরুতর লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ওষুধটি তেমন কার্যকর ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা ৭০ থেকে ৮০ জন রোগীর মাঝে আভিগান ওষুধটি প্রয়োগ করি। তবে ভাইরাসটি ইতিমধ্যে বহুগুণে বেড়ে গেছে। আমাদের ধারণা এটি ভালভাবে কাজ করবে না।

সূত্রটি আরও জানান, একই সীমাবদ্ধতা এইচআইভির সমন্বিত ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভিরতেও পাওয়া গিয়েছিল।

২০১৬ সালে জাপান সরকার ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে গিনিকে ফ্যাভিপিরাবির (আভিগান) ওষুধটি সরবরাহ করেছিল।