করোনা: ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যেসব দেশ

  করোনা ভাইরাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত নতুন করে কোথাও না কোথায় মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দেশে দেশে স্কুল-কলেজ, দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ ঠেকাতে নিজ দেশের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বিভিন্ন দেশ।

যেসব দেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে:

ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ইউরোপের দেশের প্রধানরা সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ ৩০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র: ইউএস-কানাডা সীমান্তে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। ইউরোপের ২৮ দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৪ দিনের মধ্যে চীন ভ্রমণ করলেও ওই পযর্টককে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

কম্বোডিয়া: কম্বোডিয়া সরকার ইতালি, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য ভ্রমণে ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী ৩০ দিন নিষেজ্ঞাধা জারি করেছে।

কানাডা:  কানাডার নাগরিক ছাড়া বিশ্বের সকল নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য-কানাডা সীমান্তে দিয়ে প্রবেশ সীমিত করেছে।

কেপভার্দে: দেশটি ১৭ মার্চ থেকে তিন সপ্তাহের জন্য পূর্তগালসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব দেশ করোনায় আক্রান্ত সেইসব দেশে ভ্রমণ ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া ব্রাজিল, সেনেগাল এবং নাইজেরিয়ার সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটি।

চীন: বেইজিংয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং যারা বাধ্যতামূলক আসবে তাদের নিজস্ব ব্যয়ে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন)থাকতে হবে। ইরান, ইতালি, জাপান বা কোরিয়া থেকে আগত যাত্রী বেইজিং, গুয়াংজু বা সাংহাই ভ্রমণ করলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়া সাংহাই ১২টি দেশ তালিকাভুক্ত করেছে। সেসব দেশ থেকে আসা নাগরিকদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে বাধ্যতামূলক।

কলম্বিয়া: সবধরনের বিদেশি নাগরিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি।

মিশর: দুই সপ্তাহের জন্য বিশ্বের সব দেশের ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটি।

জার্মানি: অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, এবং ডেনমার্ক সীমান্ত বন্ধ করেছে জার্মানি। তবে পণ্যসেবা এর বাইরে থাকবে।

হাইতি: ১৬ মার্চ মধ্যরাত থেকে ইউরাপ কানাডা ল্যাতিন আমেরিকা এবং ডমিনিকান রিপাবলিকের অন্তভূর্ক্ত দেশগুলোর সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।

হংকং:  ১৯ মার্চ থেকে হংকংয়ে প্রবেশকারী সকল দেশের নাগরিকদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক সঙ্গরোধে থাকতে হবে ।

হাঙ্গেরি: নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করেছে বিদেশি।

ইন্ডিয়া: ইউরোপ, আইসল্যান্ড, নরওয়ে সুইজারল্যান্ড তুর্কি এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একইসঙ্গে পর্যটক ভিসাও বাতিল করেছে দেশটি।

জাপান: জাপান সরকার দেশটিতে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালির ভ্রমণকারীদের ১৪ দিনের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

মালয়েশিয়া: দেশের সব নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। অন্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মরক্কো: পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পযর্ন্ত সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে দেশটি।

নিউজিল্যান্ড: পর্যটকদের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এছাড়া প্রবাসী নাগরিকদের  ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

পেরু: ১৬ মার্চ থেকে ৩০ দিনের জন্য এশিয়া ও ইউরোপের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।

ফিলিপাইন: ১৯ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে ।

রাশিয়া: চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং স্পেন ভ্রমণকারী যাত্রীদের ১৪ দিনের সঙ্গরোধে থাকতে হবে।

সৌদি আরব: সৌদি নাগরিক যাত্রীদের জন্য ৩০টি দেশ ভ্রমণ করেছে ১৪ দিন পার হয়নি এমন লোকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

দক্ষিণ কোরিয়া: চীনের হুবেই প্রদেশ ভ্রমণকারী নাগরিক, যাদের ১৪ দিন পার হইনি প্রবেশ নিষেধ।

শ্রীলঙ্কা: দক্ষিণ এশিয়ার সকল ফ্লাইট ২ সপ্তাহের জন্য বাতিল করেছে।

বলিভিয়া: আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে। যা শুক্রবার (২০ মার্চ) থেকে কাযর্কর হবে। তবে বলিভিয়ার নাগরিক, বাণিজ্য এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে।

থাইল্যান্ড: হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইতালির নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে।

তুর্কি: ৯টি ইউরোপীয় দেশের ওপর ভ্রমণ স্থগিত করেছে। দেশগুলো হলো- জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ড।

ভিয়েতনাম: ২৬টি ইউরোপের দেশের পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ। আর এসব দেশ ভ্রমণকারী পর্টকদের ১৪ দিন সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) থাকতে হবে।

   

মধ্যস্থতার জন্য ইতিবাচক হলে দোহায় থাকবে হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতারা ততক্ষণ দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য ইতিবাচক হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, ততক্ষণ তারা দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কার্যকর এবং ইতিবাচক হবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরসহ মধ্যস্থতাকারীরা রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘কাতার তার ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।’

এই ঘোষণার ফলে হামাস নেতাদের গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

সেই গুঞ্জন অবসানে আনসারি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাতার তার মধ্যস্থতা ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং দোহাতে হামাস সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।’

রয়টার্স জানিয়েছে, এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিচালনাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আনসারি মঙ্গলবার বলেন, ‘সবাই জানে যে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কাতারের ভূমিকা কী।’

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে সফলভাবে গাজা যুদ্ধের একমাত্র বিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

  করোনা ভাইরাস

;

ইউক্রেনের জন্য সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করবেন সুনাক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য তার সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটেন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পোল্যান্ড সফরের সময় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ওই সামরিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেবেন।

রাশিয়ার বাহিনী সামনের সারিতে অগ্রসর হতে শুরু করায় এবং তাদের বিমান হামলা বাড়ানোর কারণে বর্ধিত সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।

হোয়াইট হাউস প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দীর্ঘ বিলম্বিত সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় যুক্তরাজ্য এই ঘোষণা দিয়েছে।

ব্রিটিশ সরকার বলেছে, চলতি অর্থবছরে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাজ্যের মোট সামরিক সহায়তাকে ৩ বিলিয়ন পাউন্ডে নিয়ে যাবে তারা।

নতুন প্যাকেজের আওতায় গোলাবারুদ, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ড্রোন এবং প্রকৌশল সহায়তার জন্য অর্থায়ন করবে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ মিডিয়া অনুসারে আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ এই প্যাকেজে ৬০টি নৌযান এবং ১,৬০০টিরও বেশি আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি স্টর্ম শ্যাডো নামের দূর-পাল্লার নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও ১৬২টি সাঁজোয়া যানসহ ৪০০টিরও বেশি যানবাহনের পাশাপাশি ৪ মিলিয়ন রাউন্ড ছোট অস্ত্রের গোলাবারুদও সরবরাহ করা হবে এই প্যাকেজে।

সুনাক বলেছেন, ‘রাশিয়ার নৃশংস উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষা করা আমাদের নিরাপত্তা এবং সমগ্র ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি পুতিনকে এই আগ্রাসনের যুদ্ধে সফল হতে দেওয়া হয়, তবে পোল্যান্ডও ছাড়বেন না।’

এদিকে, সুনাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনের জন্য সমর্থন নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে ওয়ারশতে
দেখা করার কথা রয়েছে। এরপর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে দেখা করতে জার্মানি যাবেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘প্যাকেজটি ইউরোপে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে সর্বপ্রথম এনএলএডব্লিউ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করবে। এ ছাড়াও সর্বপ্রথম আধুনিক ট্যাংক এবং সর্বপ্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করা হবে।’

সুনাক বলেন, ‘এখন আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেন যে অস্তিত্বের লড়াই চালাচ্ছে, তা আমরা বিশ্বকে কখনোই ভুলতে দেব না এবং আমাদের স্থায়ী সমর্থনে তারা জয়ী হবে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, পোল্যান্ডের জন্যও সুনাকের একটি প্রস্তাব রয়েছে। সেটি হলো, আগামী বছর পোল্যান্ডে ন্যাটোর বিমান পুলিশিং চালানোর জন্য একটি ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা।

  করোনা ভাইরাস

;

‘এই গ্রীষ্মে অপ্রত্যাশিত এলাকায় হামলা চালাবে রাশিয়া’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা যখন ইউক্রেনে তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ পরিচালনা করবে, তখন তারা ফ্রন্টের অপ্রত্যাশিত অংশে হামলা চালাবে এবং তারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দ্বারা হামলা চালানো হয়েছে।

তবে ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভের বাহিনী মস্কোর যেকোনো আক্রমণকে ব্যর্থ করতে প্রস্তুত থাকবে।

তিনি ইউক্রেনের নিউজ আউটলেট রিগা ডট নেট-কে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। হ্যাঁ, শত্রুরা আমাদের অপ্রীতিকরভাবে চমক দেবে। তারা এমন এলাকায় হামলা করবে, যেখানে আমরা আশা করি না। কিন্তু, তারা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।’

এদিকে, রাশিয়া পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কিন্তু, দীর্ঘ বিলম্বিত মার্কিন সামরিক সহায়তা অবশেষে এই সপ্তাহে অনুমোদিত হবে এবং শীঘ্রই ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই সহায়তার আওতায় গোলাবারুদের ঘাটতি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বিজয় দিবস মস্কো ৯ মে’র মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর চসিভ ইয়ার দখল করতে চাইবে।

পিভনেঙ্কো বলেন, তিনি কিয়েভের সেনাদের কিছু অসুবিধা আগে থেকেই দেখেছেন। তবে, রাশিয়ান বাহিনী জয় লাভ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত তাদের লক্ষ্যের ১০-১৫% পূরণ করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু, এটি কৌশলগত বিজয় হবে না।’

তিনি আশা করেন যে, রাশিয়ার সেনারা খারকিভের বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানবে, যার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে রাশিয়ান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

  করোনা ভাইরাস

;

ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের ইরান-সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা ওই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ইসরায়েলের ওই ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর এক যোদ্ধা নিহত হয়।

জবাবে মঙ্গলবার, হিজবুল্লাহ একরির উত্তরে দুটি ইসরায়েলি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়।

গ্রুপটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননে মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় ইরান-সমর্থিত ওই যোদ্ধা নিহত হন। ওই যোদ্ধা গাড়িতে করে যাওয়ার সময় ইসরায়েলের হামলার শিকার হন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হচ্ছে।

এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় তায়ার নগরীর কাছে আবু আল-আসওয়াদ এলাকায় সর্বশেষ এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সূত্রটি এএফপিকে জানায়, নিহত যোদ্ধা হিজবুল্লাহর বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন প্রকৌশলী ছিলেন।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত জাতীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী তার গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, ওই ড্রোন হামলায় গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

খবরে বলা হয়, হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে তাদের রকেট হামলা জোরদার করেছে এবং রবিবার সন্ধ্যায় তারা ইসরাইলের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩৭৭ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই
হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। তবে নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল বলছে, তাদের দেশের সীমান্তে হিজবুল্লাহ গ্রুপের বিভিন্ন হামলায় ইসরায়েলের ১১ সেনা ও আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;