করোনার বিরুদ্ধে লড়তে চীনকে অনুসরণ করবে বাংলাদেশ!

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


ফাতিমা তুজ জোহরা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

  • Font increase
  • Font Decrease

মাস দুয়েক আগেও চীনে আতঙ্কের নাম ছিল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। প্রতিদিন হাজারো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটি বিরূপ এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে কি না, এ নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু মাত্র দুই মাসের মধ্যেই চীন করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছে। কমে এসেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ছাড়াই এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়েছে চীন। কিন্তু কীভাবে চীন এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে সেটি খুঁজতে গেলে যা আসে সেটি হলো— ব্যাপক সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব তৈরি ও ইতিবাচক খবর প্রকাশ করা।

চীনের বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম ধাপ হলো— ইতিবাচক খবর পরিবেশন করা। মাস দুয়েক আগেও চীনের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো করোনা থেকে কত বেশি মানুষ সুস্থ হচ্ছেন তার খবর ফলাও করে প্রকাশ করেছেন। মোটকথা মানুষের মনোবল ভেঙে না ফেলা। এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সমালোচনা করে চীনের বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দিচ্ছেন সংবাদমাধ্যমগুলো। কী উপায়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় কিংবা কীভাবে ব্যাপক জনসচেনতা তৈরি করা যায় সেটি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ফলাও করছে না। বরং মানুষের মধ্যে মৃত্যুভয়ের জন্ম দিচ্ছেন তারা।

বিশ্বের ভীষণ সংকটকালীন দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে গণমাধ্যম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গণমাধ্যমের দায়িত্ব মানুষকে এ ভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতামূলক খবর পরিবেশন করা। একইসঙ্গে প্রশ্ন আসে জনবহুল দেশগুলো কীভাবে এ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে। এর ধারাবাহিকতায় চীনের হুবেই প্রদেশের উহান, বেইজিং, সাংহাই, সেনজেন শহরের নাম উঠে এসেছে। শীর্ষ বাণিজ্যিক এ শহরগুলোতে রাতারাতি এ ভাইরাস মোকাবিলা করা কঠিন ছিল। এজন্য চীন সরকার সকল প্রকার অফিস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তার পরিবর্তে বাড়ি থেকে অফিস করার কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য অনলাইনভিত্তিক শপের কথা বলা হয়। পাশাপাশি সকল প্রকার বিয়ে, পার্টিসহ জনসমাগমস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কার্যক্রমের শেষ ধাপ ছিল— গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া। এর মাধ্যমে এ ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়।

চীনের বিশ্লেষকরা যেটির ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন সেটি হলো— ব্যক্তি সচেতনতা তৈরি করা। নিজেকে ও কাছের মানুষকে বোঝানো। জ্বর, সর্দি-কাশি হলে নিজে থেকে সঙ্গরোধে থাকা বা আইসোলেশনে চলে যাওয়া। এজন্য প্রতিটি মানুষকে দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ছোঁয়াচে রোগ মোকাবিলায় ধর্মীয় স্বার্থে হলেও জনসমাগমস্থল পরিহার করতে হবে। সভা-সমাবেশ থেকে এ ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যা স্বল্পউন্নত দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে মসজিদে নামাজ আদায় ছাড়াও চার্চ ও মন্দির প্রার্থনার জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এর পরের ধাপে চীনের বেশকয়েকটি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। অর্থাৎ হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া মোটামুটি সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা। এর মধ্যে যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে গেলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে পাঠানো হয়। এ ভাইরাস নির্মূলে এখন একটি মাত্র পথ খোলা আছে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। যা চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বিশ্লেষণধর্মী এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে— প্রতিটি মানুষকে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। প্রতিকারের উপায় হিসেবে এখনই আইসোলেশনে চলে যেতে হবে। যাতে নিজের মধ্যে এ ভাইরাস থাকলে যেন অন্যস্থানে না ছড়াতে পারে এবং অন্য কারো থেকে নিজে না সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে বাঁচা যায়।

হাসপাতালের প্রতিটি ডাক্তার-নার্স ও কর্মীরা এমন অবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করতে সক্ষম বলেও জানায় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। এমনকি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। এজন্য এ ভাইরাস মোকাবিলায় ডাক্তার ও  পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করে প্রশাসনকে এগিয়ে আশার আহ্বান জানানো হয়।

বিশ্বের স্বল্পউন্নত জনবহুল দেশগুলো এ ভাইরাস মোকাবিলা করতে সক্ষম নয়—এমনটিই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তাই এখনই সেসব দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপকহারে প্রচার-প্রচারণা চালানোর ওপর জোর দিচ্ছে ডব্লিউএইচও। এ ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার আগেই সচেতন জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আশার আহ্বান জানানো হয়।

‘প্রতিষেধক আবিষ্কার একমাত্র বাঁচার পথ নয়’— উল্লেখ করে গবেষকরা বলছেন, সবার আগে জরুরি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ সীমিত আকারে নিয়ে আসা। সবচেয়ে উপযোগী সিদ্ধান্ত হতে পারে বাড়ি থেকে অফিস কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া। নিজে বেঁচে থাকা নয়, বরং দেশের অনভিজ্ঞ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। সরকারের উচিত জনগণকে সঠিক তথ্য দেওয়া। যেটি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেও জানিয়েছেন তারা। তথ্য গোপন না করে এর ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরা এবং মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব জানানো সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। এতে ভুল সংবাদের প্রচার কমবে এবং দ্রুত মানুষ সচেতন হবে। প্রয়োজনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মানুষকে এর ভয়াবহ চিত্র সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার কথাও বলেন তারা।

মোটকথা দেশের প্রতিটি ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের আশ্রয় নিয়ে হলেও সাবধানতা অবলম্বনে বাধ্য করতে বলা হয়েছে। নিজে আক্রান্ত হলে গোপন না করে প্রকাশ করতেও জানানো হয়। এতে বৃহৎ সম্প্রদায়কে বাঁচানো সম্ভব এবং দুর্ভোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনে সরকারকে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। যার প্রকৃত উদাহরণ চীন বহন করছে। সরকারের কঠোরতায় বিশ্বে সমালোচিত হলেও কোনোদিকে দৃষ্টিগোচর না করে মাত্র দুই মাসের মাথায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসার দৃষ্টান্ত রেখেছে চীন।

   

হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয় গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার নাগরিক এবং সেখানে বসবাসরত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। 

শুক্রবার (০৩ মে) কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এর একটি দল কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হল-করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার তিন জনকে গ্রেফতারের পর আরসিএমপির সুপারিন্টেডেন্ট মনদীপ মুকার বলেন, ‘ভারতের সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’

আরসিএমপির কমিশনার ডেভিড টেবৌল বলেছেন, ‘তদন্ত এখনই শেষে হচ্ছে না; কারণ আমাদের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও লোকজন যুক্ত। আমরা প্রত্যেককে গ্রেফতার করার লক্ষ্য নিয়েছি।’

এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে রাজধানী অটোয়ায় ভারতের প্রধান দূতাবাস কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স; কিন্তু কোনো মুখপাত্র ও কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভার শহরের শহরতলী এলাকা সারেতে একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর  কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে সরাসরি ভারতকে দায়ী করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন।

নিজ্জর হত্যার ঘটনা কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য যে তীব্র অবমাননাকর, নিজ বক্তব্যে তা উল্লেখও করেছিলেন তিনি।ভারত অবশ্য এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মনগড়া’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে কানাডা।

এ ঘটনার পর ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে দেখা দেয়। 

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র খালিস্তান বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ভারতীয় শিখদের একাংশ। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে সেই আন্দোলন দমনে সফল হয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন-এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। 

তবে ভারতে থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপে গিয়ে স্থায়ী হওয়া খালিস্তানপন্থি শিখরা এই আন্দোলন জারি রেখেছেন। হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের কানাডা শাখার সংগঠক এবং আধ্যাত্মিক নেতা। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতা হওয়ার কারণে নয়াদিল্লির একজন তালিকাভুক্ত ফেরার সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা হুথিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সীমানার মধ্যে থাকা ইসরায়েলগামী যেকোন জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৩ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিরা তাদের সীমার মধ্যে থাকা যেকোনো এলাকায় ইসরায়েলি বন্দরগামী জাহাজগুলোর ওপর হামলা করবে। 

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারব সেখানেই ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজে আমার হামলা চালাব।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য ইরানপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের জাহাজগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে অনেক শিপিং কোম্পানি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়ার বদলে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহন খবর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সারাবিশ্বে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৪ জন পরিবেশ সাংবাদিক সহিংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন; আর বেঁচে ফিরতে পেরেছেন ২৪ জন।

শুক্রবার (৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের জন্য ১২৯টি দেশের ৯০৫ জন পরিবেশ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকারে ৯০৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৭৪৯ জনই (শতকরা হিসেবে ৭০ শতাংশেরও বেশি) জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদেরকে শারীরিক হামলা কিংবা ভয়ভীতি, হুমকি, চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেককে আটক-গ্রেপ্তার ও মানহানির মামলা আইনী সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।

হামলা-হয়রানির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারীরিক হামলার ঘটনাগুলো পুরুষ সাংবাদিকদের বেলায় ঘটেছে বেশি। অন্যদিকে হয়রানির শিকার বেশি হয়েছেন নারী সাংবাদিকরা।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ইস্যুতে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসব ইস্যুর মধ্যে খনি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ভূমির দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, বন উজাড় হয়ে যাওয়া, চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ, দূষণ এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত এবং এর বাণিজ্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এসব হামলা ও হয়রানির সবই এসেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরিজীবী, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের লোকজন এসব হামলা ও হয়রানির জন্য দায়ী।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসেই চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে এই মাসেই দেশটিতে সফর করার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ার এই পরিকল্পনার সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সফরটির সূচি আগামী ১৫-১৬ মে নির্ধারিত করা হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;