আমরা আইএস’র লোক: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা

  হলি আর্টিজান মামলার রায়
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মাথায় আইএস‘র লোগো সম্বলিত টুপি/ছবি: সুমন শেখ

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মাথায় আইএস‘র লোগো সম্বলিত টুপি/ছবি: সুমন শেখ

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা মামলার রায়ে ৭ আসামির ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা নিজেদের আইএস‘র লোক দাবি করে বলেন ‘আমরা আইএস'র লোক’।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২ টা ১৭ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রিজন ভ্যান থেকে আসামিরা আরও বলেন, আমরা খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি। আমাদের সঙ্গে আল্লাহ আছে। এ বিচার আমরা মানি না।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষণার পর কারাগারে নেওয়া হচ্ছে আসামিদের

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তারা।

নিহতের মধ্যে নয়জন ইতালি, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতীয় ছিলেন।

এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো ‘অপারেশন থার্ডারবোল্ট’ নামক অভিযান চালায়। এতে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়। অভিযানে রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ সাইফুল ইসলাম মারা যান। গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রেস্তোরাঁটির সহকারী শেফ জাকির হোসেন।

২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বাকি ১৩ জন মামলা তদন্ত চলাকালীন বিভিন্ন সময় মারা যান।