রিগ্যানের পরিবার উধাও, রিপনের মা ঢাকায়

  হলি আর্টিজান মামলার রায়
  • গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাকিবুল হাসান রিগ্যান ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন

রাকিবুল হাসান রিগ্যান ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন

হলি আর্টিজানের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গির মধ্যে দুইজনের বাড়ি বগুড়ায়। এদের একজন রাকিবুল হাসান রিগ্যান ও অপরজন মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন। তাদের বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে রিগ্যানের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি আর রিপনের মা, ভাই রায় শুনতে ঢাকায় গেছেন।

রাকিবুল হাসান রিগ্যানের বগুড়া শহরের ইসলামপুর (হরিগাড়ি) গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার মা রোকেয়া বেগম নন্দীগ্রাম উপজেলার বীজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত। তিনি শহরের জামিল নগরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বাবা রেজাউল করিম ২০১২ সালে মারা যান। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে রিগ্যানের মা কোথায় গেছেন প্রতিবেশীদের কেউ বলতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

মামুনুর রশীদ ওরফে রিপনের গ্রামে গিয়ে দেখা যায় উৎসুক মানুষ রায় শোনার জন্য টেলিভিশনের সামনে আগ্রহ সহকারে বসে আছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের শেখের মাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় রিপনের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাহেরা বেগম ছাড়া আর কেউ বাড়িতে নেই। রিপনের মা হাসনা হেনা ও বড় ভাই মাসুদ রানা মঙ্গলবার ঢাকায় গেছেন রায় শোনার জন্য। রিপনের ভাবি সাহেরা বেগম রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। টেলিভিশনের সামনে বসে রায় শুনতে আসা একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার ও রাজ্জাক সরকার বলেন রিপনকে ছোট বেলায় শান্ত শিষ্ট ছিলো। গ্রামের ছেলে সেই হিসেবে রায় শোনার আগ্রহ থেকে মাঠের কাজ ফেলে টেলিভিশনের সামনে বসে আছি।

বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা যায়, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন শেখের মাড়িয়া গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় আচলতা মাদরাসা থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে ২০০৯ সালে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার দারুস হাদিস মাদরাসা থেকে দাওরা পাশ করে। এরপর বগুড়া শহরের সাইবারটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়। এরপর থেকেই রিপন বাড়িতে যাতায়াত কম করতো। রিপনের ভাবি সাহেরা বেগম বলেন ২০১৫ সাল থেকে রিপন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরমধ্যে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরে রিপন গোপনে বিয়ে করে বলে তারা শুনেছেন।

শীর্ষ জঙ্গি সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এর অন্যতম সহযোগী আব্দুল আউয়াল এর ভাগ্নে রিপন তার মামার হাত ধরেই জেএমবিতে যোগ দেয়। বাংলা ভাই এর সঙ্গে আব্দুল আউয়ালের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।