মটরশুঁটি কেন খাবেন?
পোলাও, মাংস কিংবা সবজি রান্নাতে ফ্রেশ মটরশুঁটি থাকাটা যেন বাধ্যতামূলক বিষয়। মটরশুঁটির মৌসুমে উপকারী ও সুস্বাদু এই সবজির উপস্থিতি খাবারগুলোর স্বাদ যেমন বাড়িয়ে দেয়, ঠিক তেমনভাবেই সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থেও অবদান রাখে দারুণভাবে।
হরদম যে সবজিটি খাওয়া হচ্ছে, তার উপকারিতাগুলো জেনে নিন আজ-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
মটরশুঁটিতে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট, ছোট-বড় অসুস্থতা থেকে শরীরকে নিরাপদে রাখতে কাজ করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার মিনারেল তথা- আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাংগানিজ প্রভৃতি এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
ত্বকের বলীরেখা প্রতিরোধ করে
মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যাবে অ্যান্টি এইজিং ইফেক্ট, যা ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েডস ক্যাটেচিন, এপিক্যাটাচিন, ক্যারোটেনয়েড, আলফা ক্যারোটেনয়েড মূলক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে দেয় এবং ত্বক সুস্থ রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।
আলঝেইমার ও আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ করে
মটরশুঁটিতে থাকা ভিটামিন-কে বয়সকালীন বড় ধরণের রোগ তথা আলঝেইমার ও আর্থ্রাইটিস দেখা দেওয়া থেকে শরীরকে নিরাপদে রাখে। এমনকি নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়ার ফলে আলঝেইমারের রোগীদের নিউরাল ড্যামেজের মাত্রা কমে আসে বেশ অনেকখানি। একদম ফ্রেশ মটরশুঁটি থেকে ভিটামিন-কে পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি।
নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে চিনির মাত্রা
মটরশুঁটিতে থাকে পর্যাপ্ত আঁশ ও প্রোটিন, যার ফলে রক্তে চিনি মেশে ধীরগতিতে। এছাড়া মটরশুঁটিতে বাড়তি চিনি না থাকায়, এই সবজিটি খাওয়ার ফলে কোন সমস্যা দেখা দেয় না। পাশাপাশি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনেও ভূমিকা রাখে মটরশুঁটি।
চোখের জন্য উপকারী
মটরশুঁটিতে থাকে পরিমিত মাত্রায় লুটেন, ক্যারোটেনিস, জি-জ্যান্থিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভনয়েড ও ভিটামিন-এ। এই সকল পুষ্টি উপাদান চোখের সুস্থতা ও সুস্থ দৃশ্তিশক্তির জন্য ভীষণ জরুরি।
চুল পড়ার হার কমায়
ভিটামিন-এ ও কে এর সঙ্গে মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-সি। যা কোলাজেন তৈরিতে অবদান রাখে। চুলের গোড়ার বৃদ্ধির জন্য কোলাজেনের প্রয়োজন হয়। খুব অল্প মাত্রার ভিটামিন-সি এর অভাবের ফলে চুল পড়া ও চুল শুষ্ক হওয়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে অনেকখানি।
ত্বকের প্রদাহ কমায়
মটরশুঁটিতে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদান তথা- ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি ও ফলেট। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের যেকোন অংশের ত্বকের প্রদাহকে দ্রুত কমাতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।