দাঁত ও ঠোঁটের যত্নে কলার খোসা
পাকা কলা দামে সস্তা, সহজলভ্য কিন্তু পুষ্টির ভাঁড়। যেকোনো ডায়েট প্লানে কলা অপরিহার্য। এটুকু সবাই জানি। কিন্তু কলার মতো কলার খোসাও দুর্দান্ত উপকারি। বিশেষ করে রূপচর্চায় কলার খোসা অতুলনীয়।
কলার খোসায় প্রচুর প্রয়োজনীয় মিনারেল আর পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। ফলে সস্তায় রূপচর্চা করতে হলে এখন থেকে আর কলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেবেন না।
কলার খোসায় রূপচর্চা-
ত্বকের যত্ন
চোখ-মুখে কালো ছোপ থাকলে কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। খোসা ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপরে মুখে এবং গলায় ভালভাবে ঘষে নিন। অন্তত ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর দেখবেন ত্বকের তেল তেল ভাব চলে গেছে। পরপর কয়েক দিন এভাবে কলার খোসা ব্যবহার করলে চোখের তলার কালিও উধাও হবে।
দাঁতের যত্ন
ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা রয়েছে কলার খোসার। দাঁতে সমস্যা হলে তাই কাজে লাগে এ বস্তু। মাড়ি কিংবা দাঁতে দাগ-ছোপ থাকলে দিন কয়েক ভালভাবে কলার খোসা ঘষুন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ঝকঝকে সাদা দেখাবে দাঁত।
ঠোঁটের যত্ন
ঠোঁটের ক্ষেত্রেও যত্নে ত্রুটি রাখে না কলার খোসা। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এ বস্তু ভালভাবে ঠোঁটে ঘষে নিলে আর্দ্রতা বাড়ে ঠোঁটের। লিপ বাম লাগালে যেমন চকচক করে ঠোঁট, এক্ষেত্রেও তেমনই কাজ করে।
মশার কামড়
হাত-পায়ে মশার কামড়ের ফলে চুলকানি হয়। অনেক সময় দেখা যায় লাল হয়ে ফুলে উঠেছে। মশার কামড়ের জ্বালা আর চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে পারে কলার খোসা। কামড়ানোর জায়গাটায় কলার খোসা ঘষুন, দেখতে দেখতে জ্বালা আর চুলকানি দুটোই কমে যাবে, ত্বকও শীতল হবে।
আঁচিল কমাতে
যাদের ঘন ঘন আঁচিল হয়, তারা কলার খোসা থেকে উপকার পাবেন। আঁচিলের ওপর কলার খোসার সাদা অংশটা ঘষুন। তারপর এক টুকরো খোসা আঁচিলের ওপর চাপা দিয়ে গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়ে দিন। কিছুদিন করলেই চিরতরে বিদায় নেবে আঁচিল।
বলিরেখা দূর করে
কলা ত্বককে আর্দ্র আর পুষ্টিগুণে ভরপুর রাখে। ফলে নিয়মিত যারা কলা খান, তাদের বলিরেখা বা সূক্ষ্ম রেখার সমস্যা এমনিতেই কম হয়। বাড়তি উপকার পেতে একটা কলার খোসা শিলনোড়া বা মিক্সারে বেটে নিন।
তাতে একটা ডিমের কুসুম মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এ পেস্টটা মুখে মেখে ৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। ত্বক অসম্ভব নরম আর মসৃণ হয়ে যাবে।