ত্বকের সুস্থতা তুলসি পাতায়
ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা মানেই তুলসি পাতার খোঁজ করা।
চমৎকার এই প্রাকৃতিক উপাদানটির স্বাস্থ্য উপকারিতা ও গুণের যেন শেষ নেই। উপকারী এনজাইম ও ভিটামিন-সি এর প্রাচুর্য তুলসি পাতাকে অন্যতম ঔষধি উপাদান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে। তবে উপকারী এই পাতাটি শুধু ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় নয়, ত্বকের নানান ধরনের সমস্যার প্রতিকার হিসেবেও দারুণ কার্যকরি। সঠিক নিয়মে তুলসি পাতার ব্যবহার ত্বকের সুস্থতাকে ধরে রাখবে দারুনভাবে।
ত্বকের ভেতরের টক্সিন দূর করে
আবহাওয়া ও অনিয়মজনিত কারণে ত্বকের ভেতরে টক্সিন উপাদান জমতে শুরু করে। যা ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। ত্বকের সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে হলে ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন উপাদান বের করতে হবে। তুলসি পাতার ব্যবহার সেক্ষেত্রে চমৎকার কাজে দিবে। নিয়মিত এই পাতার রস পানে রক্তে উপস্থিত টক্সিন উপাদানেরা বেরিয়ে যায়। এতে ত্বকে বয়সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া এবং ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা হ্রাস পায় অনেকটা।
কমে ব্রণের প্রকোপ
শীতের সময়ে অনেকেরই ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আবহাওয়া ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বক মানিয়ে নিতে পারে না বলেই এমন সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে পরিমাণ মতো তুলসি তেল, চন্দন গুঁড়া, গোলাপ জল ও লেবুর রস মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টটি ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে একদিন অন্তর নিম পাতার ব্যবহারে ব্রণের প্রকোপ কমে যাবে অনেকটা।
দূর করে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা
ত্বকের সবচেয়ে জেদি ও বিরক্তিকর সমস্যাটি হলো ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা। এই সমস্যাটি দূরে রাখতে ও সমস্যাটি থেকে পরিত্রাণ পেতে অল্প পরিমাণ মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসি পাতার তেল মিশিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে মেশাতে হবে মধু ও লেবুর রস। প্রতিটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পর তৈরিকৃত মিশ্রনটি মুখে ম্যাসাজ করে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। সপ্তাহে ৩-৪ বার এই পেস্ট ব্যবহারে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের বিভিন্ন ধরণের রোগ প্রতিরোধ করে
মুখ কিংবা হাত-পায়ের ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা ও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতেই পারে। এমন সমস্যার হাত থেকে দূরে থাকতে ব্যবহার করতে হবে তুলসি পাতা। ৪ টেবিল চামচ সরিষার তেলে ৪-৫ টি তুলসি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। পাতাগুলো কালো হয়ে আসলে তেল ছেঁকে নিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঠান্ডা তেলটি মুখে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ২-৩ দিন একবার করে এই তেলটি ব্যবহারে অন্যান্য সমস্যের তুলনায় ত্বক সুস্থ থাকবে অনেকখানি।
আরো পড়ুন: ত্বকের পরিচর্যায় প্রয়োজন সরিষার তেল
আরো পড়ুন: পিঠেও যখন ব্রণের উপদ্রব