মডেল হান্ট 'ফেস অব বাংলাদেশ'-এর খেতাব জিতলেন জারিফ, দিল ও আতিকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
মডেল হান্ট 'ফেস অব বাংলাদেশ'-এর খেতাব জিতলেন জারিফ, দিল ও আতিকা

মডেল হান্ট 'ফেস অব বাংলাদেশ'-এর খেতাব জিতলেন জারিফ, দিল ও আতিকা

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো নজরকাড়া পোশাক ও দারুণ কোরিওগ্রাফি আবার চমৎকার সঙ্গীতায়োজনে আলোকসজ্জিত রানওয়েতে উদীয়মান এই মডেলদের উপস্থিতি, হাঁটা ও চূড়ান্তপর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হান্ট ফেস অব বাংলাদেশ এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠান। এ আয়োজনে আর্কা ফ্যাশন উইকের প্রথম দিনে আলোচিত মডেল হান্ট ফেস অব বাংলাদেশ এর খেতাব জিতলেন জারিফ শাবাব, দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা।

২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় ফেস অব এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা।

আলোচিত মডেল হান্ট 'ফেস অব বাংলাদেশ'-এর খেতাব জিতলেন জারিফ, দিল আফরোজ ও আকলিমা।


বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানী গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আর্কা ফ্যাশন উইকের অংশ হিসেবে আলোচিত মডেল হান্ট ফেস অব বাংলাদেশ এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় ফেস অব এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এখানকার বিজয়ীরা। ফেস অফ বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে সম্মানিত বিচারকেরা বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করেন পুরুষদের মধ্যে জারিফ শাবাবকে। আর নারীদের মধ্যে দুজন যুগ্মভাবে অর্জন করেন বিজয়ীর খেতাব। তারা হলেন দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা।

এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল আসলে তিনদিনের একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এখানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ফেস অব এশিয়া। এখানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের মডেলরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন। এই ইভেন্ট প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতি উৎসব এশিয়ার পপ সংস্কৃতি, শিল্প ও এশিয়ার মডেল, ফ্যাশন আর বিউটি ইন্ডাস্ট্রিকে এশিয়াব্যাপী প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এশিয়ার মডেল ও শিল্পীদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়। ফেস অব বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালের ফেস অব এশিয়ার আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। 

এই ফেস অব বাংলাদেশ আসলে এমন একটি মডেল হান্ট, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন তরণ তরুণীদেরকে খুঁজে বের করা যায়। এর লক্ষ্য বাংলাদেশি মডেলদের বৈচিত্র্য ও প্রতিভা প্রদর্শন করা এবং তাদের মডেলিং ও বিনোদন শিল্পে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া।


এই বছর ফেস অব বাংলাদেশ-এর জন্য আমাদের দেশের ৭ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য,পুরো মডেল হান্ট কার্যক্রমটি আর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় রানওয়ে ডিরেক্টর ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদের প্রতিষ্ঠান আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প অর্থাৎ এএমটিসি এর তত্ত্বাধানে। নির্বাচিত প্রতিযোগীদেরকে মডেলিংয়ের সর্বক্ষেত্রে নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটিও এএমটিসিই করেছে।

এই প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ছয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যারা ফ্যাশন অঙ্গনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য।

তুমুল বর্ষণের পরেও লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে ফ্যাশন রানওয়ের তাবু। সন্ধ্যা ৭টায় উপস্থিত সকলের হর্ষধ্বনি ও করতালির মাঝে শুরু হয় প্রতিযোগিতার পর্বগুলো। প্রথমেই ছিল ফিটনেস ও হেলথ রাউন্ড।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ৭ জন নারী মডেল। তারা হলেন মাহবুবা রহমান লাবণ্য, জান্নাতুল ইমরোজ, মারিয়া আক্তার মৃদুলা, নিশাত তাসনিম ও রেহনুমা তাবাসসুম এশা, দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা। সুন্দর হাসির জন্য বেস্ট স্মাইলের খেতাব পেয়েছেন মারিয়া আক্তার মৃদুলা। বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে ফেস অব বাংলাদেশের খেতাব জেতেন দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা।

ফেস অব বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পুরুষ মডেলরা হলেন দীপংকর চন্দ্র মন্ডল, জারিফ শাবাব, শায়ের আহমেদ, শামসুল আলম, প্লাবন সিনহা, আব্দুল্লাহ নুমের, ওহিন ইরান ও আয়মান শরীফ। চমৎকার হেয়ারস্টাইলের জন্য বেস্ট হেয়ার খেতাব পান আব্দুল্লাহ নুমের আর বেস্ট স্কিন খেতাব দেওয়া হয় প্লাবন সিনহাকে। পুরুষদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ী হন জারিফ শাবাব। উপস্থিত সকলের উচ্ছ্বসিত করতালির মাঝে ঘোষণা আসে, পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডও তিনিই জিতেছেন। প্রতিযোগিতার প্রথমে ছিল হেলথ ও ফিটনেস রাউন্ড। দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রতিযোগীরা ফিউশনওয়্যার পরে হেঁটেছেন। দেশের সুপরিচিত ডিজাইনার লেবেল বাটারফ্লাই বাই সাগুফতার পোশাক পরেছেন মেয়েরা এখানে। আর ছেলেদের পোশাক নেওয়া হয়েছে ও টু থেকে। এরপরেই আসে চূড়ান্ত রাউন্ড যেখানে ফরমাল পোশাক পরেছেন সকলে। মেয়েদের আউটফিটগুলো দেশের বিলাসবহুল ডিজাইনার লেবেল সানায়া কতুরের। আর ছেলেদের পোশাক এসেছে ফিট এলিগেন্স থেকে।

   

নারীর চেয়ে পুরুষের হৃদরোগ ঝুঁকি বেশি!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পুরুষের হৃদরোগ

পুরুষের হৃদরোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি, যখন সুস্থ থাকা জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন মানুষের জীবনযাত্রার ধরন বদলেছে, একই সাথে বেড়ে চলেছে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা। আর কিছু বছর আগেও যেসব রোগ সাধারণত ষাটোর্ধ্ব মানুষদের মধ্যে দেখা যেত এখন তা মধ্যবয়সীদেরও গ্রাস করছে।
আশঙ্কাজনক হলেও সত্য যে, ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পর থেকেই এই তথ্যচিত্র আরও স্পষ্ট হচ্ছে। মানুষের জীবন যাপনের রুটিন এমন হয়ে গেছে যে, হৃদয় খুব কম সময়েই দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে সমবয়সী নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে শুধু জীবনধারাই নয়; অতিরিক্ত চিন্তা করা, হাই কোলেস্টেরল এমনকি বংশগত কারণেও হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ছে। জেনে নেওয়া যাক, সেসব কারণ-
জীবনধারা: মূলত বর্তমান সময়ের জীবনধারা হৃদপিণ্ডে চাপ সৃষ্টি করে। আজেবাজে খাওয়া-দাওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি, অতিরিক্ত ধুমপান এবং নেশাজাত দ্রব্য সেবন ইত্যাদি অভ্যাস হার্টের জন্য ভালো নয়। এসব হৃদপিণ্ডতে দুর্বল তো করেই বরং আরও অনেক রোগের বাসা বাঁধায়।
মানসিক চাপ: পারিবারিক, ক্যারিয়ারের চিন্তা, কাজের চাপ, আর্থিক দুশ্চিন্তা নানান কারণে কম বয়স থেকে অধিকাংশ পুরুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্য: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা তাদের মানসিক অসুবিধাগুলো নিয়ে উদাসীন থাকে। ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, মানসিক চাপগুলোর জন্য তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়না। দীর্ঘদিন এসবের প্রভাবে হাইপারটেনশন সৃস্টি হয়, যা হৃদরোগের সূত্রপাত ঘটায়।
কোভিড-১৯: করোনার প্রভাব পৃথিবীব্যাপী বিস্তারের পর অনেক ক্ষেত্রেই ছোট বড় পরিবর্তন এসেছে। এরমধ্যে একটি হলো, এখন হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ আশঙ্কাজনক। কয়েকজনের ক্ষেত্রে করোনার টিকা দেওয়ার পর মায়োকার্ডাইটিসের এমআরএনএ (প্রোটিনবহনকারী ম্যাসেঞ্জার আরএনএ)- এর বিরল রিপোর্ট লক্ষ্য করা গেছে।
নারীদের তুলনায় পুরুষ হৃদয়: মধ্যবয়স্ক নারীদের মধ্যে মেনোপজ পূর্ববর্তী ধাপে কিছু শারীরিক পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনের কারণে তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। অন্যদিকে একই বয়সী পুরুষদের মধ্যে সেই ঝুঁতি থেকেই যায়। তাছাড়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কারণে ধূমপান, মদ্যপানের সঙ্গে নারীদের সম্পৃক্ততা অনেকাংশে পুরুষের তুলনায় কম। এসকল কারণে পুরুষরা নারীদের তুলনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

যে কাজগুলো করলে বাড়বে হ্যাপী হরমোন মাত্রা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্তিষ্ক হলো শরীরের ইঞ্জিন। শরীরের যাবতীয় কাজ পরিচালনার  প্রক্রিয়া চলে ব্রেনে। হাত-পা চলা, ক্ষুধা লাগা, ব্যথায় কাতরানো; এমনকি দুঃখ বা আনন্দ অনুভব করার পেছনেও মস্তিষ্কের হাত রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, আমাদের খুশি থাকার কলকাঠি নাড়ছে মস্তিষ্কই। 

এন্ড্রোফিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিন, সেরোটোনিন - এরকম কিছু হরমোন আছে, যা হ্যাপী হরমোন নামে পরিচিত। এসব হরমোন নিঃসরণের কারণে আমরা আনন্দ অনুভব করি। যখন কোনো কারণে হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন আমরা প্রাণবন্ত থাকি।

কিছু শারীরিক ধারাবাহিকতায় এই হরমোনগুলোর নিঃসরণ মাত্রা বাড়ানো  যায়।  নিজেকে হাসি-খুশি এবং প্রাণচ্ছল রাখতে প্রতিদিন কিছু কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

আমাদের মেজাজ এবং ভালো থাকার অনেকাংশ নির্ভর করে শরীরের হরমোনগুলোর উপর।  খুশি থাকা মানে কেবল কোনো আনন্দঘন অনুষ্ঠান উপভোগ করা নয়। মনে আনন্দ থাকলে প্রতিদিনের সাধারণ কাজগুলোও উৎফুল্ল হয়ে করা যায়। তাই প্রতিদিন এমন কাজগুলো করতে হবে যা বেশি করে হ্যাপী হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াবে।

১. কৃতজ্ঞতা: দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করতে পারেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আমাদের যা কিছু, তার কিছুই মূলত আমাদের নয়! স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। তাই আল্লাহর প্রতি কিছুটা সময় নিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রতিদিন প্রকাশ করা উচিত, এতে দিনের শুরু থেকেই ইতিবাচক মেজাজ এবং প্রভাব বজায় রাখা সম্ভব।

 উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

২. ব্যায়াম: প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা শরীর এবং মেজাজ দুটো ভালো রাখার ক্ষেত্রেই কার্যকর। কায়িক পরিশ্রম করলে শরীরে এন্ড্রোফিনের  নিঃসরণ বাড়িয় দেয়।

৩. সূর্যের আলো: প্রকৃতির মধ্যে যেমন আছে পবিত্রতা, তেমন শান্তি। তাই প্রকৃতির স্পর্শ মনকে উৎফুল্ল করে। সকালের স্নিগ্ধ রোদের আলো অনেক আরামদায়ক। প্রাকৃতিক এই আলোরশ্মির নানান শারীরিক উপকার ঘটাতে হাত রয়েছে। তাই অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য হলেও সকালে হাঁটতে বের হন। এতে কোমল রোদের ছোঁয়াও পাবেন, আবার ফ্রেশ অক্সিজেন সমৃদ্ধ মুক্ত বাতাসও পাবেন।

৪. ধ্যান:  সারাদিনের একগাদা কাজের হিসাব মাথার মধ্যে জমে থেকে দুশ্চিন্তা বাড়ায়। এতে হ্যাপী হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। তাই নিজেকে ভালো এবং হাসিখুশি রাখতে মনকে শান্ত করা প্রয়োজন। এর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ধ্যান বা মেডিটেশন। মেডিটেশনের মাধ্যমে গভীর শ্বাস গ্রহণ ও নিঃশ্বাস ত্যাগ করার চর্চা করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকে, আবার হ্যাপী হরমোন লেভেলও বাড়ে।  

 উৎফুল্ল মন / ছবি: নূর-এ-আলম

৫. খাদ্যাভ্যাস: খাবারের উপর মূলত আমাদের শরীরের চাল-চলনের অনেকাংশ নির্ভর করে। গ্রহণ করা খাদ্য উপাদানের ভিত্তিতে শরীরের ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত হয়। তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর এবং ফ্রেশ খাবার খাওয়া উচিত। খাদ্যতালিকায় ‍সুষম উপাদান থাকা নিশ্চিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যেতে হয়। এছাড়া হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো। তেলযুক্ত মাছ, শস্যজাত খাবার, আখরোট ইত্যাদি খাবার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় মেজাজ ভালো ও মস্তিষ্কে শান্তি বজায় থাকে। 

৬. সামাজিক সম্পর্ক: পরিবার-পরিজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। এতে মন ভালো থাকবে। বাড়তি চিন্তা থাকবে নাা আর আনন্দে থাকতে পারবেন। সকলের প্রতি দয়াবান হউন। কারো প্রতি রাগ পুষে রাখবেন না।

৭. গান: গান শোনা, মন ভালো করার এবং হ্যাপী হরমোন নিঃসরণের খুব সহজ একটি পদ্ধতি। পছন্দের গান শুনলে তা মেজাজে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিজের পছন্দের গানগুলো বাছাই করে একটি প্লে-লিস্ট তৈরি করতে পারেন।   

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

ঈদে বেশি মাংস খেয়ে পেটের যত গণ্ডগোল!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঈদের মাংস খাওয়ার আধিক্যে পেট ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

ঈদের মাংস খাওয়ার আধিক্যে পেট ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুরবানির ঈদে গরু-ছাগল সহ নানারকম মাংস রান্না হয়। ঘরে ঘরে ঈদ আর ঈদের পরবর্তী বেশ কয়েকদিন এইরকম ভরপুর রান্না-বান্না হয়। এমনকি বেশ কয়েকদিন ধরে চলে আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের বাড়িতে দাওয়াত। মোটামুটি বেশ কয়েকদিন তাই প্রায় প্রতিদিনই গরু, ভেড়া, ছাগলের মাংস বা রেডমিট খাওয়া হয়।

এই রেডমিট বা লাল মাংস বেশি পরিমাণে খাওয়ায় কারো ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং বদহজম অবধি হতে পারে। ঈদের মৌসুমে অতিরিক্ত মাংস খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে, জেনে নিন সেসব-

ফুড ইনটলারেন্স/অস্বস্তি: অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার পরে পেটে ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে। এর লক্ষণগুলো হতে পারে- পেট ফুলে যাওয়া, থেকে থেকে ব্যথা হওয়া, বমি বমি ভাব, অম্বল, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এছাড়া খিটখিটে বা নার্ভাস বোধ করাও হতে পারে।

প্রতিবার রেডমিট খাওয়ার সময় বা পরে যদি বমি বমি ভাব বা অন্য হজমের লক্ষণ দেখা গেলে তা ফুড ইনটলারেন্স বা অস্বস্তির লক্ষণ। এই সমস্যার কোনো সরাসরি প্রতিকার নেই। তাই এইরকম সমস্যা খাওয়া এড়াতে বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়া এড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি রাখুন। এছাড়া সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অ্যালার্জি: রেডমিট একটি অত্যন্ত অ্যালার্জি জনিত খাবার। অনেকেরই এইরকম রেডমিট খেলে অ্যালার্জি দেখা যায়। যদিও এই ধরণের খাবারের অ্যালার্জি খুব স্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে বমির সাথে ডায়রিয়া, কাশি-শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরার লক্ষণও দেখা যেতে পারে। রেডমিটে যদি অ্যালার্জি থাকে তবে তা একেবারেই এড়িয়ে চলা ভালো। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে মুরগী বা টার্কি খেতে পারেন। তাছাড়া টফু, মটরশুটি এবং ডিমের মতো খাবার প্রোটিনের উৎস হিসেবে বেছে নিন। অ্যালার্জির কারণে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে, যেমন জ্ঞান না থাকা এবং শ্বাসকষ্ট হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সহায়তা নিন।

বদহজম: কোরবানি ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি এই সমস্যা দেখা যায়। বার বার অনেক বেশি মাংস খাওয়ার কারণে বদহজম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর ফলে বমি, পেট ব্যথাসহ কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে।  অল্প কিছুদিন ধরে এরকম সমস্যা হলে বেশ কিছুদিন তরল খাবার খেলে অন্ত্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সমাধান না হলে ডাইভার্টিকুলাইটিসের চিকিৎসা নিতে হতে পারে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করুন।

গ্যাস্ট্রাইটিস: এই সময় পেটে ব্যথার আরেকটি কারণ হতে পারে গ্যাস্ট্রাইটিস। পেটের আস্তরণে জ্বালাপোড়া, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ সেবনসহ আরও অনেক কারণেই এই সমস্যা হতে পারে।

ফুড পয়জনিং: অনেক সময় মাংস খাওয়ার পর ফুড পয়জনিং হতে পারে। খাবারে ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এরকম হয়। সাধারণত গরুর মাংসে থাকা দু’টি ব্যাকটেরিয়া ই. কোলাই এবং সি. পারফ্রিনজেন এর প্রভাবে বেশি সমস্যা দেখা যায় ।

;

ঈদুল আজহায় গোশত সংরক্ষণ করবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাঁচা মাংস / ছবি: সংগৃহীত

কাঁচা মাংস / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানেই আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস। তার সাথে নতুন পোশাক-জুতা, আর নানা পদের খাওয়া-দাওয়া। কোরবানির ঈদে খাওয়া দাওয়ার পাট টা একটু বেশি ভারী থাকে। কারণ, ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি করা সুন্নত, যা প্রতিটি মুসলমানকেই করার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে। তাই গরু, ভেড়া. ছাগলসহ নানান পশু কোরবানি করার প্রচলন রয়েছে। যে প্রাণীই জবাহ করা হোক না কেন, দেখা যায় প্রত্যেকের ঘরেই রান্না-বান্না, খাওয়া-দাওয়ার পরও অনেক পরিমাণে মাংস রয়ে যায়। এই মাংসগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

পশুর মাংসে সাধারণত আর্দ্রতার পরিমাণ শতকরা ৭৫ ভাগের মতো থাকে। পানি হল অণুজীবের প্রধান প্রজনন স্থান। মাংসে পানি জমে থাকলে দ্রুত পচতে শুরু করে অণুজীবের ক্রিয়ার ফলেই। তাই মাংস সংরক্ষণ করতে এদের থেকে পানি অপসারণ করা দরকার।

মাংস বিভিন্ন ভাবে সংরক্ষণ করা যায়। যেমন চুলায় সেকে পানি শুকিয়ে এবং সেটি ফ্রিজে হিমায়িত করে রাখতে পারেন। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এই কৌশল অবলম্বন করে নিরাপত্তার মান পূরণ করা হলে মাংস দীর্ঘদিনের জন্য মাংস সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

তাছাড়া রোদে শুকিয়েও অনেকে মাংস সংরক্ষণ করে। তবে এইসময় মাংসে মাছি, পোকামাকড় বা ধুলাবালি পরতে পারে। এসব অস্বাস্থ্যকর দিক থেকে মাংস সুরক্ষিত করে মাংস শুকাতে হবে। পাতলা একটা কাপড় দিয়ে মাংস পোকা ও ধূলা থেকে রক্ষা করা যায়। তিন বা চার ঘণ্টা করে কড়া রোদে শুকাতে দিন। এতে পুরো মাংসের উপরে প্রোটিনের আবরণ তৈরি হয়, আর্দ্রতা শুকিয়ে যায় এবং মাংস দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

কাঁচা গোশত

অ্যাসিড বা অম্লজাতীয় পদার্থে জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। তাই মাংস রোদে শুকানোর আগে লবণ, লেবুর রস (সাইট্রাস এসিড) বা ভিনেগার ছিটিয়ে দিন। সাইট্রাস এসিড বা লেবুর রস দিয়ে শুকানো মাংস আয়রনের ঘাটতি আছে যে ব্যক্তিদের, তাদের জন্য বেশি উপযুক্ত।

এখন যেহেতু বর্ষাকাল, যেকোনো সময় বৃষ্টি হতে পারে বা আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে সূর্যের তাপ পর্যাপ্ত না পাওয়ায় বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। মাংসগুলো কেটে তার উপর লবণ ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে বা চুলায় কিছুক্ষণ গরম করুন।

যদিও দীর্ঘ সময়ের জন্য মাংস সংরক্ষণের জন্য ডিপফ্রিজে রাখা সবচেয়ে  নিরাপদ উপায়। কারণ বরফ অবস্থায় জীবাণুর বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়। ডায়েটিশিয়ানদের মতে ফ্রিজের মাংস তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি ফ্রিজার ঘনঘন খোলা না হয় বা দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং-এর সমস্যা না হয়, তাহলে প্রায় ৬ মাস পরও সংরক্ষিত করা মাংস ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোরবানির মাংস খেয়ে শেষ করা উচিত।

মাংস ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে ছোট প্লাস্টিকের পাত্র এবং নিউজপেপার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। কারণ খবরের কাগজে ব্যবহৃত প্রিন্টের কালিতে সীসা থাকে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তার বিকল্প হিসেবে বাটার পেপারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র: ফুড সাইন্স ইউনিভার্স

 

;