গরমে রোজ ডাবের পানি পান করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ডাব / ছবি: সংগৃহীত

ডাব / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাবের পানি পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রাকৃতিক এক বিস্ময়কর উপাদান ডাব। সতেজতা এবং পুষ্টি বেশ প্রয়োজনীয় দু’টি উপাদানে পরিপূর্ণ এই ফল। কচি, সবুজ ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবেই অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু। তাছাড়া ডাব থেকে পাওয়া শাঁসও একটি উত্তম খাবার। শুধু তাই নয়, ডাব বা নারকেলের পানি নানারকম খনিজ উপাদানের একটি ভালো উৎস। ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট দিয়ে পরিপূর্ণ এই ফলের পানি। এই পানিতে কম ক্যালোরি থাকে এবং ক্ষতিকর চর্বিমুক্ত হওয়ার গুণাবলির কারণে পানিশূন্যতা রোধে বেশ কার্যকরী একটি পানীয় এটি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরমে নারকেলের পানি পান করা খুবই উপকারী। এটি ডিহাইড্রেশন এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করার জন্যও বেশ কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এই কারণেই সকালের হাঁটা শেষ করার পর অনেকে তাজা ডাবের পানি পান করেন। পরিশ্রমের পর ডাবের পানির প্রতিটি চুমুক থেকে আরাম পাওয়া যায়। ফলে মন ও শরীরকে সচল রাখতে এবং শক্তিপ্রদান করতে পারে। তবে ডাবের পানি খাওয়ার কি কোনো নির্দিষ্ট সময় আছে? থাকলে, কোন সময় খাওয়া উচিত?  

ভারতের এক সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান কামিনী সিনহা বলেছেন, ‘ডাবের পানি খুব স্বাস্থ্যকর। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো। শরীরকে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা থেকেও রক্ষা করে। পানিশূন্যতা দূর করে শরীরকে সতেজ রাখার উপকরণ হিসেবে শীর্ষস্থানীয় একটি পানীয় হতে পারে এটি। ডাবের পানি পান করার কোনো সঠিক সময় নেই। যেকোনো সময় পান করাই সমান উপকারী। তবে সকালে খালি পেটে, দুপুরের খাবারের পরে বা রাতের খাবারের পরে পান করতে পারেন। তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।’

ডাব / ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, ‘এই পানির কেবল উপকারিতাই রয়েছে এবং কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মর্নিং ওয়াক বা জিম ওয়ার্কআউটের পর ডাবের পানি পান করা মানুষকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করে। খাবারের পর ডাব বা নারকেল পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। রাতের খাবারের আগে বা পরে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দেয়।’

তবে কিডনির সমস্যা বা অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তাররা নারকেল আর ডাবের পানি খেতে নিষেধ করেন। কচি ডাবের পানিতে ছত্রাক থাকতে পারে। এতে সরাসরি ডাব থেকে ছত্রাক শরীরে প্রবেশ করে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

মানসিকভাবে কম বিকশিত শিশুদের ভবিষ্যতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্ট্রোক / ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রোক / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুরা ছোট ছোট কাজে মন দিতে পারছে না, নতুন জিনিস শিখতে পারছে না- এরকম সমস্যা হয়তো অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বয়স কম বলে হয়তো অসেক বাবা মাই এসব ব্যাপারে অতোটা গুরুত্ব দেন না। তবে, ছোটবেলার এসব লক্ষণই হয়তো দ্রুত স্ট্রোক করার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণার প্রকাশ করা ফলাফলের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেলথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে; যেখানে বলা হয়, ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও স্ট্রোক করার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে মানসিকভাবে অদক্ষ শিশুদের হৃদরোগ এবং মেটাবলিজম সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বেশি। হেব্রু ইউনিভার্সিটির কিছু বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে ১৬ থেকে ২০ বছর বয়েসি ১৭.৪ লাখ ইহুদিদের সামরিক পরিষেবা প্রদানের আগে তাদের উপর এই গবেষণা করা হয়।

তাদের ওজন, রক্তচাপ, ডায়াবেটিকের স্থিতি এবং শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক বিষয় বিবেচনা করে এই পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তাদের মানসিক ক্ষমতা যাচাই করা হয়, বিশেষ করে একাগ্রতা, যুক্তি এবং সমস্যা সমাধান।

১৯৮৭ এবং ২০১২ সাল মধ্যবর্তী সামরিক তথ্যের রেকর্ড মূল্যায়ন করে ইসরায়েল তাদের পুরো দেশে স্ট্রোক আর ডাটাবেসে আক্রান্ত রোগীর সাথে তুলনা করে। এই রিপোর্টিং ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এবং সব সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য রীতিমতো বাধ্য করা হয়েছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত, গবেষণার অংশে থাকা প্রতিটি ব্যক্তির প্রথমবার স্ট্রোক হওয়া বা মৃত্যুর তথ্যকে বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়।  

কম থেকে মাঝারি মানসিক ক্ষমতা সম্পন্ন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে (বুদি্ধমত্তা বা আইকিউ ১১৮ পর্যন্ত) স্ট্রোক করার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। এরা ৫০ বছর বয়সে পরিণত হওয়ার আগেই প্রথম স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়েছেন। উচ্চ আইকিউ অর্থাৎ, ১১৮ এর বেশি তাদের চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা।

২০১৪ থেকে ১৮ সাল, এই ৫ বছরে মোট ৯০৮ টি স্ট্রোকের তথ্য পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ৭৬৭ জন রক্ত ​​জমাট বাঁধার কারণে স্ট্রোক করেন। তাদের মধ্যে শতকরা ৪১ ভাগ ব্যক্তির বয়স অনূর্ধ্ব ৪০ বছর ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি, মধ্যম আইকিউ সম্পন্ন ব্যক্তিরা অন্তত ২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবার, তাদের মধ্যে যাদের কিশোর বয়সে মানসিক বিকাশ কম হয়েছে তাদের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি। 

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

ক্যাফেইন পানের কারণে যা হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কফি / ছবি: সংগৃহীত

কফি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় কফি খুবই জনপ্রিয়। অনেকে মনে করেন সকালে কফি পান করে দিন শুরু করলে সারাদিন বেশ সতেজতায় কাটে। গরম হোক বা ঠান্ডা, কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন উপাদানের প্রভাবে হরমোনে কিছু পরিবর্তন আসে। ফলে ঘুম ঘুম ভাব কেটে গিয়ে, সতেজ অনুভব হয়। কিন্তু কেন কফি পান করার পর এরকম হয়?

আমাদের ঘুম-জাগরণ চক্র দেহঘড়ি, অর্থাৎ সার্কাডিয়ান রিদমে চলে। কর্টিসল এবং এপিনেফ্রিনের মতো কিছু হরমোন আছে, যার নিঃসরণও এই সার্কাডিয়ান রিদমের অংশ। এই হরমোনগুলোর ইন্দ্রিয়কে সতর্ক এবং একাগ্রচিত্ত হতে সাহায্য করে। কফি এই সার্কাডিয়ান রিদমকে সরাসরি প্রভাবিত করে। যেমন:

১. অ্যাডেনোসিন: কফিতে থাকা ক্যাফেইন মস্তিষ্কের অ্যাডেনোসিন রিসেপ্টরকে আটকে ফেলে। এই অ্যাডেনোসিন মূলত ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এই কারণে কফি পান করলে ঘুম কেটে যায়। এই কারণেই কখনো সন্ধ্যা বা রাতে কফি পান করতে হয় না। তাহলে ঘুম-জাগরণ চক্র ব্যাহত হয়।

২.মেলাটোনিন: সার্কাডিয়ান রিদমকে নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটোনিন হরমোন। ক্যাফেইন মেলাটোনিন নিঃসরণে বাধা দেয়। এই কারণে দেখা যায় অনেকে দেরী করে কফি পান করায় রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।

৩. দেহঘড়ি: আমাদের শরীরের কার্যক্রমের ভিত্তিতে দেহঘড়ির সময়সূচি ঠিক করে রাখে। মূলত এই ফাংশন মস্তিষ্কে গড়ে ওঠে। বাহ্যিক কিছু কারণে বাঁধাগ্রস্থ হলে এই ফাংশন বাঁধা পায়। তীব্র আলো, প্রতিদিনের রুটিনে পরিবর্তন সহ কফিও এই বাঁধার কারণ হতে পারে। এই সমস্যা তীব্রতর আকারও ধারণ করতে পারে, যদি ঘুমের প্যাটার্ন এবং নিত্যকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

যদিও প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। একেকজনের ক্ষেত্রে কফি পান করার প্রভাব ভিন্নও হতে পারে। তবে কফি পান করার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়া প্রতিরোধে এই সতর্কতা গুলো অবলম্বন করতে পারেন-

১. ঘুমের সময় বা এর আশে পাশে সময়ে কফি বা ক্যাফিনেটেড কোনো পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।

২. দিনভর অতিরিক্ত মাত্রায় কফি পান করবেন না। বিশেষ করে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে কফি পানের পরিমাণ কমিয়ে আনুন।

৩. নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কফি পানের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। কিছু রোগের রোগীকে বা শারীরিক কিছু কারণে চিকিৎসকরা কাউকে কফি কমিয়ে পান করতে বললে, সেই নির্দেশনা মেনে চলুন।

৪. ঘুমানোর সময় কফি পান করবেন না। সম্ভব হলে যে সময় ঘুমাতে যান, তার ৬ ঘণ্টা আগে থেকেই কফি গ্রহণ বন্ধ করুন।

৫. যতই পছন্দ হোক না কেন, অতিরিক্ত মাত্রায় কফি পান এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে কোনো শারীরিক অস্বস্তি হলে অবশ্যই পান করা বন্ধ করে দিন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।   

তথ্যসূত্র: বেটারআপ

;

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ড্রাগন ফল। ছবি: সংগৃহীত

ড্রাগন ফল। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেখতে আকর্ষণীয় ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল ড্রাগন। এ ফল বিদেশি হলেও এখন দেশেই এর চাষ হচ্ছে। দিনদিন সবার কাছে এ ফল বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। 

লাল টুকটুকে এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। 

ড্রাগন ফল। ছবি: সংগৃহীত 

পুষ্টি সমৃদ্ধ ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি-র পরিমাণ এতো বেশি থাকে যে, যা একটি কমলা ও তিনটি গাজরে একত্রে পাওয়া যায়। 

ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল করে ও দাঁত সুন্দর করে।

ড্রাগন ফলে রয়েছে লাইকোপিন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে লাইকোপিন গ্রহণ করলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। তাই স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিন একটি ড্রাগন ফল গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া ড্রাগন ফলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন, যা আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সক্ষম। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন একটি ড্রাগন ফল খান তাহলে এনিমিয়া থেকে অনেকাংশে দূরে থাকতে পারবেন।

ড্রাগন ফলে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ড্রাগন ফল খারাপ কোলেস্টেরলকে দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ভালো কোলেস্টেরলকে উন্নত করে। ড্রাগন ফলে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের পরিমাণ কম তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসে এটি গ্রহণ করতে পারবেন। এতে কোনোরকম সুগার লেভেল ফল করবে না। 

এছাড়াও ড্রাগন ফলে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই এটি দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর জলীয় অংশ থাকায় এই ফল খেয়ে সুস্থ ও সজীব থাকা যায়। তাই ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ করার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।

;

যেসব অভ্যাসে বার্ধক্যজনিক লক্ষণ প্রকট হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বয়স বেড়ে যাওয়া / ছবি: সংগৃহীত

বয়স বেড়ে যাওয়া / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স আটকাতে কে না চায়! নারী হোক বা পুরুষ; চেহারায় বয়সের ভাজ পড়বে, এ যেন এক দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু নয়! সিনেমা, মডেলিং বা ফ্যাশন সম্পৃক্তরা এই ব্যাপারে বেশ অনেকটা সতর্ক। তাছাড়া যাদের অনেক টাকা আছে, তারা অনেক অ্যান্টিএজিং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সেসব কি আর সাধারণ ঘরের মানুষের দ্বারা সম্ভব? তাই বলে তো, কম বয়সেই মুখে কুঁচকানো চামড়া নিয়ে ঘোরা যায় না!

তবে, বুড়িয়ে যাওয়া কোনো দু-এক দিনের ঘটনা নয়। বেশ লম্বা সময়ের ব্যাপার। তাই এই প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে চাইলে পদক্ষেপও বেশ আগে থেকেই নিতে হবে। শুধু বয়সের ছাপ পড়াই নয়, জীবনে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কিছু অভ্যাস উল্লেখ করা হলো-

১. অসম্পূর্ণ ঘুম: শরীরের ঘাটতি এবং ক্লান্তি দূর করার স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলো ঘুম। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মানসিক চাপজনিত হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে ত্বকের টান টান ভাব কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, চেহারার পেশির টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। চামড়া ঝুলে যাওয়া, চোখের নিচে কালি পড়া, বলিরেখা সহ নানারকম সমস্যার সূত্রপাত হয়। দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরিকল্পনা রাখতে হবে।

২. নেশাদ্রব্য: অতিমাত্রায় নেশাজাত দ্রব্য, বিশেষ করে ধূমপান এবং অ্যালকোহলসমৃদ্ধ পানীয় সেবন ত্বকের ঝুলে পড়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। কারণ, অ্যালকোহল সেবনে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে শুরু করে এবং কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস করে। এছাড়া ধূমপানের কারণে ইলাস্টিন প্রোটিনের ক্ষতি হয়। এই কারণে ত্বকে বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা এবং ত্বকে নিস্তেজ বর্ণ সৃষ্টি হয়।   

৩. পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি পান করা ত্বক সুন্দর রাখার পূর্বশর্ত। পানিশূন্যতা কেবল ত্বকের নয় অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যেরও বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী, যা অনেক রোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

৪. ব্যায়ামের ঘাটতি: প্রতিদিন ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত চলাচল বেশ ভালোভাবে হয়। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ব্যায়ামের ঘাটতি দিন দিন ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলে। এছাড়া ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজনবৃদ্ধির মতো অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

৫. সূর্যরশ্মি: অতিবেগুনি রশ্মি অর্থাৎ ইউভি রশ্মি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধ্বংস করার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বক জলদি বুড়িয়ে যায়। তাই প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

৬. মানসিক চাপ: অনেকে হয়তো জানেন না, বার্ধ্যেকের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানসিক অশান্তির কারণে ত্বকের কোষগুলো অকালে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং জীবনীশক্তি বজায় রাখতে ধ্যান, যোগ ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন।

৭. অস্বাস্থ্যকর খাদ্য: আজেবাজে খাদ্যাভাস শুধু শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিই ঘটায় না, বরং শরীরে একগাদা বাজে জিনিসে পূর্ণ করে। যেমন অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবারে মুখে ব্রণ ও পিম্পল হয়। আবার চিনি এবং প্যাকেটজাত খাবারের কারণে শরীরে প্রদাহ হতে পারে। এসব কারণে কম বয়সেই বার্ধক্যজনিত লক্ষণ ফুটে ওঠে। তাই সুষম এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রুটিন তৈরি এবং অনুসরণ করতে হবে।

এইসব অভ্য়াসের কারণে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। অনেক বেশি অনিয়ম হলে খুব কম বয়সেই এইব লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তাই সময় থাকতেই এইসব বদঅভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। নিজেকে সুন্দর রাখুন, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

 

;