কোনটা জ্যাম, কোনটা জেলি?
সকালের নাশতায় জ্যাম-পাউরুটি কিংবা বিকালে টোস্ট ও জেলি খাওয়ার প্রচলন বেশ পুরনো। এখনও জেলি ছাড়া নাশতার আয়োজন হয় না বহু বাসাতেই। এতো পরিচিত এই খাবারের দুইটি ভিন্ন ধরণ হলো- জ্যাম ও জেলি।
অনেকেই ভাবেন জ্যাম ও জেলি একই খাবার। আদতে জ্যাম ও জেলি দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার খাবার। প্রায় একই রকম ঘনত্ব, স্বাদ ও গন্ধের জন্য জ্যাম ও জেলির মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না বেশিরভাগ মানুষ।
ফল থেকে তৈরি করা হলেও, উভয় খাবারেই রয়েছে বড় ধরনের পার্থক্য। এমনকি জ্যাম ও জেলি তৈরির প্রণালীও একে অপরের থেকে ভিন্ন। জ্যাম ও জেলির মাঝে পার্থক্যটি জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে।
জেলি
আমাদের দেশে জেলিটাই বেশি পাওয়া যায়। অরেঞ্জ জেলি, অ্যাপল জেলি, স্ট্রবেরি জেলি কিংবা মিক্স ফ্রুট জেলি পাওয়া যাবে ঘরের পাশের দোকান থেকেই। এই জেলি তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় ফলটির রস মাত্র, জেলিতে ফলের কোন অংশই রাখা হয় না। ফল খুব ভালোভাবে নিংড়ে তার রস নিঃসৃত করা হয়। ফলের রসে থাকে প্রাকৃতিক ঘনত্ব তৈরিকারী উপাদান, পেকটিন। এই রসের সঙ্গে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে তাপ দিয়ে ফুটানো হয়। রস টেনে আসলে ঠাণ্ডা করে তৈরি করা হয় জেলি। কিছুক্ষেত্রে জেলির ঘনত্ব বৃদ্ধি করার জন্য বাড়তি পেকটিন যোগ করা হয়। তবে এতে স্বাদের কোন তারতম্য হয় না মোটেও।
জ্যাম
জ্যাম তৈরির প্রক্রিয়াটি অনেকটাই জেলি তৈরির মতোই। তবে জ্যাম ও জেলির মাঝে সবচেয়ে বড় পার্থক্যটি হলো, জেলিতে শুধুমাত্র ফলের রস ব্যবহার করা হয় এবং জ্যাম তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সম্পূর্ণ ফল। ফলে জ্যামের ভেতর ফলের ছোট-বড় অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়। এছাড়া সম্পূর্ণ ফল ব্যবহার করার জন্য জ্যামের ঘনত্ব জেলির চাইতে বেশি হয় এবং জ্যামের স্বাদ ও গন্ধও জেলির চাইতে প্রখর হয়।
তবে অনেকেই ফলের অংশবিশেষ সহ জ্যাম খেতে পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে জেলিই হবে সবচেয়ে ভালো সমাধান।
আরও পড়ুন: বাসি পিৎজা গরম হবে চুলাতেই!
আরও পড়ুন: যতগুলো ভুট্টা, ততগুলো পপকর্ন