যেভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার ক্ষুধা
হুটহাট করে ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটি কিন্তু বেশ জ্বালায়।
ঘন্টাখানেক আগে খাবার খাওয়ার পর পুনরায় ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়া, খাবার না খেলে অশান্তি বোধ হওয়ার সমস্যাটিতে কম কিংবা বেশি সকলেই ভোগেন। এমনটা মূলত কোন শারীরিক সমস্যা নয়। তবে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় খাদ্যাভাসের বেশ কয়েকটি কারণেই।
খুব সহজ কিছু নিয়ম মানতে পারলেই এই সমস্যাটিকে দূর করা যাবে এবং ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। আজকের ফিচারে তেমন কয়েকটি নিয়ম তুলে ধরা হলো।
আঁশযুক্ত খাবার দূর করবে অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধাভাব
প্রত্যেককের প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে পর্যাপ্ত আঁশযুক্ত খাবার থাকা প্রয়োজন। আঁশযুক্ত খাবার পরিপাক হতে আমাদের শরীরের বেশ লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয়। ফলে হুটহাট এবং অকারণে ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই প্রতিবেলার খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে।
ভাগ করে খাবার খাওয়া
খাবার খাওয়া ও ক্ষুধাভাব নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে খুব চমৎকার একটি টিপস হলো, প্রতিবেলার তথা সকালের নাশতা, দুপুর, বিকাল ও রাতেরবেলার খাবারগুলো দুইটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। সকালের নাশতা দুইভাগে ভাগ করে এক-দুই ঘণ্টা অন্তর খাওয়া। এতে করে নাশতা করার ঘন্টাখানেক পর ক্ষুধা লাগলেও সমস্যা নেই। কিছু খাবার খেয়ে নেওয়া যাবে। তবে এতে ক্যালরি ইনটেকের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে না। কারণ প্রতিদিনের নাশতাকেই দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। এতে সঠিক পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করা হবে।
খাবার ধীরে খাওয়া
এই সমস্যাটি আমাদের অনেকের মাঝেই আছে। খাবার অতি দ্রুততার সাথে খেয়ে ফেলা। খাবার অতি দ্রুত খেয়ে ফেলার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে সিগন্যাল পায় না এবং পেটে ক্ষুধাভাব বিদ্যমান থাকে। ফলে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মাঝেই পুনরায় ক্ষুধাভাব দেখা দেয়। যে কারণে পরিমিত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই খাবার খেতে হবে ধীর গতিতে।
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে
শুধু খাবার খাওয়া নয়, খেয়াল রাখতে হবে পানি পানের দিকেও। দিনের মাঝে কত গ্লাস পানি পান করছেন, তার উপরেও ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। পর্যাপ্ত পানি পানের ফলে পেট ভরা থাকে এবং অকারণে ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। এছাড়া পানি শরীরকে সুস্থ ও আর্দ্রতাপূর্ণ রাখতেও কাজ করে। তাই পানি পানের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
খেতে হবে প্রোটিন
আঁশজাতীয় খাবার তো বটেই, তার সাথেই রাখতে হবে প্রোটিনযুক্ত খাবার। প্রোটিন শুধু পেট ভরা রাখতেই নয়, শরীরে শক্তি প্রদানে ও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: খাবার সঠিকভাবে চিবিয়ে খাওয়া হয় কি?
আরও পড়ুন: অমনোযোগে বেশি খাওয়া হচ্ছে?