শাড়ির রাণী ‘জামদানি’

জমকালো জামদানি



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকে খুব জনপ্রিয় একটি বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন ছিলো, ‘মাছের রাজা ইলিশ, বাত্তির রাজা ফিলিপস’। মুখে মুখে এই কথাটা শোনা যেত তখন। সেই একই সুরে যদি বলা হয়, ‘শাড়ির রাণী জামদানি’ তবে একেবারেই বাড়িয়ে বলা হবে না বা ভুল বলাও হবে না।

বাঙালি নারী মাত্রই শাড়ির প্রতি রয়েছে অন্যরকম এক টান, ভালোবাসা। সময়ের হাত ধরে ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পোশাকের ধরনে ভিন্ন মাত্রা যোগ হলেও শাড়ির স্থানটি রয়েছে বরাবরই অটুট। পরিচিত, ছোট-বড় মার্কেট ঘুরলেই খোঁজ মিলবে দেশীয় ও ভিনদেশীর হরেক শাড়ির। সাম্প্রতিক সময়ের কেনাকাটা অধিকাংশ মানুষের জন্য অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাওয়ায় পছন্দের শাড়ির খোঁজ এখন ঘরে বসেই পাওয়া সম্ভব হয়।

দুঃখজনকভাবে হলেও সত্যি, প্রতিবেশী দেশগুলোর হরেক নামের ও ধরনের শাড়ির প্রভাব দেখা যায় অফলাইন ও অনলাইন দুই জায়গাতেই। দেশীয় শাড়ি যেন সেখানে অনেকটাই বর্ণহীন। অথচ চাইলেই সঠিক চর্চার মাধ্যমে নিজেদের দেশের ঐতিহ্য ও শিল্পকে এগিয়ে রাখা যায় সবার আগে। জামদানি শাড়ি, পাঞ্জাবি, অন্যান্য পোশাকসহ জামদানি মোটিফে তৈরি গহনা হতে পারে এ বছরের বিয়ের মৌসুমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।

জামদানিকে জমকালোভাবে সবার কাছে তুলে ধরতে বার্তা২৪.কমের ধারাবাহিক আয়োজন ‘জমকালো জামদানি’র আজকের পর্বে কথা বলা হবে জামদানি শাড়ি নিয়ে।

কাকলী’স অ্যাটায়ার

দেশীয় বিভিন্ন শাড়ির মাঝে জামদানি শাড়ির কদর ও প্রচলন সবচেয়ে বেশি। সুতার বুননে নজরকাড়া কারুকাজ সহজেই আভিজাত্য এনে দেখ পুরো সাজপোশাকে। জামদানি শাড়ি নিয়ে কথা হয় কাকলী’স অ্যাটায়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও জামদানিপ্রেমী কাকলী রাসেল তালুকদারের সাথে।

ছোটবেলা থেকে মায়ের জামদানি পরা দেখে জামদানির প্রতি ভালোবাসা। সে সময়েই দেখতেন বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে আসলে তার মায়ের কাছ থেকে জামদানি নিয়ে যেতেন পরিচিতরা। ছেলেবেলা থেকে জামদানির প্রতি এই আকর্ষণ থেকেই ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত বিভিন্ন জামদানি হাট ও তাঁতি পল্লী ঘোরা শুরু হয় তার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে নয়, বরং জামদানির প্রতি অকৃত্রিম আকর্ষণ ও মুগ্ধতা থেকেই এই কাজটি করতেন তিনি।

জামদানি
জামদানি শাড়িতে কাকলি'স অ্যাটায়ারের কাকলী রাসেল তালুকদার

পাঁচ বছরের চাকরিজীবনের পর সংসারে মনোযোগ দেওয়া। কিন্তু একটা সময়ে এখানেও হাঁপিয়ে ওঠা কাকলি সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসা শুরু করবেন। প্রথমে বাধা এসেছিল, তবে আত্মবিশ্বাস তাকে এগিয়ে এনেছে নিজের পছন্দ নিয়ে কাজ করার জন্য।

সম্প্রতি ব্যবসা শুরু করলেও, জামদানি শাড়ি ও জামদানির কাজ নিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারি হওয়ায় পরিচিতিরা তার মতামত নিয়ে তবেই জামদানি শাড়ি কেনেন। এ কারণে জামদানি শাড়ি কেনার ক্ষেত্রে খুব সহজেই তাকে বিশ্বাস করতে পারছেন ক্রেতারা।

জমকালো

কাকলী জানালেন তার কাকলী’স অ্যাটায়ারে সর্বনিম্ন ১৬৫০ টাকা থেকে পাওয়া যাবে জামদানি শাড়ির সংগ্রহ। সর্বোচ্চর কোন সীমা নেই, কারণ জামদানি শাড়ির বুনন, কাজ, সুতা ও সুতার কাউন্ট যত বেশি হবে, জামদানি শাড়ির দাম ততই উপরের দিকে উঠবে। জানালেন বর্তমানে তার সংগ্রহে সর্বোচ্চ ১২৫০০ টাকার জামদানি রয়েছে।

জমকালো

বিয়ের অনুষ্ঠানে বউদের জন্য জামদানি শাড়ির মাঝে কোন রঙ ভালো হবে জানতে চাইলে কাকলী জানালেন, ‘লাল রঙটা সবসময়ই বউদের জন্য ঐতিহ্যবাহী একটা লুক এনে দেয়। তবে লালের বাইরে শাড়ির রঙে ভিন্নতা আনতে চাইলে হালকা রঙ বেছে নিতে হবে অবশ্যই। কারণ বিয়ের দিনের ভারি সাজ, গহনা ও লাইটিংয়ের মাঝে হালকা রঙের জামদানি খুব জমকালো একটা লুক তৈরি করবে। হালকা রঙের মাঝে থাকতে পারে হালকা পিচ, বেবি পিংক, মিন্ট, সাদা এমন রঙগুলো।’

জামদানি ভিলা

তাঁতিদের সাথে নিজে বসে থেকে নকশা দেখিয়ে দেওয়া, সুতা নর্বাচন করা, বুনন পর্যবেক্ষন করা- সবকিছুই তদারকি করে একদম নিখুঁতভাবে তৈরি করা জামদানি শাড়ির পশরা নিয়ে গড়ে তুলেছেন ইফাত শারমিন তার জামদানি ভিলাকে। প্রতিটি শাড়ির ডিজাইন কীভাবে ব্যতিক্রম করা যায় তার জন্য চেষ্টায় কোন কমতি রাখেন না তিনি।

জমকালো

ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ি রঙ ও নকশার উপর ভিত্তি করে এবং তাঁতিদের সাথে আলোচনা করে তৈরি করা হয় এক একটি জামদানি। তার জামদানি শাড়ি তৈরির জন্য নির্ধারিত তাঁতিদের সাথেই কাজ করেন তিনি। ফলে জামদানি ভিলার প্রতিটি জামদানিই হয় অনন্য। ফলে ২০১৪ সালে এক্কেবারে শূন্য থেকে শুরু করা জামদানি ভিলা পেইজ পৌঁছে গেছে ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের কাছে। ইফাত জানালেন সর্বনিম্ন ৬,৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫,০০০ বা তারও বেশি মূল্যের জামদানি পাওয়া যাবে তার জামদানি ভিলায়।

জমকালো
তাঁতিদের সাথে নিজে জামদানির কাজ দেখছেন জামদানি ভিলার ইফাত শারমিন

বিয়ের আয়োজনে জামদানি শাড়ির পরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জামদানি হলো একেবারে হ্যান্ড ক্রাফট পণ্য, যার সাথে মেশিনের কোন সম্পর্ক নেই। এ কারণে জামদানি পরলে এর সাথে ঐতিহ্যগত দিকটা যেমন ফুটে ওঠে তেমন প্রশান্তির ভাবও কাজ করে। কনে বাইরের দেশের শাড়ির বদলে ১২-১৫ হাজার টাকার সাধারণ জামদানি পরলে তার মাঝে যে স্নিগ্ধতা ফুটে উঠবে সেটা কিন্তু লাখ টাকার শাড়িতেও আসবে না।’

ফারাহ’স ওয়ার্ল্ড

এক্সক্লুসিভ শাড়ি ও পোশাক নিয়ে কাজ করেন ফারাহ’র ওয়ার্ল্ডের সামিয়া ফারাহ। রুচিশীল, মার্জিত ও ভারি নকশার শাড়ি ও পোশাকে যাদের আগ্রহ, ফারাহ’স ওয়ার্ল্ডের কালেকশন হতে পারে তাদের প্রথম পছন্দ। বিভিন্ন ধরনের তন্তুর উপর নিজস্ব নকশায় তৈরি হয় করা প্রতিটি শাড়ি ও পোশাকই হয় অনবদ্য।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের নবম ‘সিল্ক কার্নিভাল’ অনুষ্ঠানে থাই সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে উপস্থাপন করে এসেছেন 'তাতাল কন্যা' হিসেবে সুপরিচিত ফারাহ। মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা ও নিজের কাজকে ৭৪টি দেশের কয়েক হাজার মানুষের সামনে উপস্থাপন করার অনুভূতি জানাতে তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি আসলে কয়েক কথা বা কোন ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’

জমকালো
থাইল্যান্ডের সিল্ক কার্নিভালে সামিয়া ফারাহ

জামদানি নিয়ে ফারাহর কাজ শুরু হয় নিজের জামদানি শাড়ি দিয়েই। একই জামদানি শাড়ি ঘুরেফিরে কয়েকবার পরার পর জামদানিতে কিছুটা নতুনত্ব আনতে এতে এমব্রয়ডারি, কারচুপি ও কাটওয়ার্কের (তাতাল) কাজ জুড়ে দেন। সে শাড়িগুলো জনপ্রিয়তা পেলে সবার আগ্রহে জামদানি শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।

বিয়ের মতো জমকালো অনুষ্ঠানে পরার জন্য জামদানি শাড়ি যাদের কাছে সাদামাটা মনে হয়, ফারাহ’স ওয়ার্ল্ডের এক্সক্লুসিভ জামদানি শাড়ির সংগ্রহ তাদের সেই ধারণাকে ভেঙে দেবে। চমৎকার জামদানি শাড়ির উপর বিভিন্ন ধরনের কাজের সমন্বয়ে তৈরি করা প্রতিটি শাড়িই দারুণ আকর্ষণীয়।

জমকালো

জানালেন তাঁতিদের কাছ থেকে সরাসরি জামদানি শাড়ি কিনে এরপর সম্পূর্ণ নিজস্ব নকশায় তার উপরে কাজ করেন তিনি। এমন এক একটি শাড়ির মূল্য সর্বনিম্ন ৫০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০০ বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে কাজের ধরণ অনুযায়ি।

জমকালো

ইফাত ও ফারাহ দুজনেই কাজের প্রসঙ্গে জানালেন, দেশের মানুষের চাইতে প্রবাসীদের কাছে জামদানির চাহিদা ও কদর দুটোই বেশি। এমনকি তাদের কাছে দেশের বাইরে থেকেই জামদানি শাড়ির অর্ডার আসে বেশি। সকলে দেশীয় ঐতিহ্য ও অনন্য এই শিল্পকে সমাদর করবে এমনটাই আশা করেন তারা।

   

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;

যেসব খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যকর ইফতার

স্বাস্থ্যকর ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ।

টানা একমাস রোজা রাখার কারণে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। জেনে নিন, রোজা ভাঙার সময় যেসব খাবার বেশি উপকারী হতে পারে-

ফল: রোজা ভাঙার সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজেই হজম করা যাবে। এজন্য ফল একটি ভালো উপকরণ হতে পারে। সারাদিন নির্জলা উপবাসের কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও হয়। তাই তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো ফল খেতে পারেন। এসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।  

ডিম: রোজা রাখার কারণে যে পেশিক্ষয় হয়, সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিম যেমন প্রোটিনের একটি উত্তম মাধ্য, তেমন খাওয়ার জন্য রান্না করতেও সময় কম লাগে। ডিম অমলেট, মামলেট বা সিদ্ধ যেভাবেই খেতে চান, প্রস্তুত করতে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেই হয়।

মাছ: মাছে প্রোটিন ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ভিটামিন ডি’ থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ মাছেই পর্যাপ্ত চর্বি থাকে। খাবার তেলের থেকে মাছের থেকে পাওয়া তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের উৎস হিসেবে, মাংসের চেয়ে মাছ উত্তম। বিশেষ করে রেডমিট (গরু, খাসি) খেয়ে একদমই রোজা ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এসব হজম করা বেশ কঠিন।

প্রোবায়োটিকস: সারাদিন রোজা রাখার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। তাই অন্ত্রে অস্বাভাবিকা দেখা দিতে পারে। হজমে সমস্যা ছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন- দই, কম্বুচা ইত্যাদি।  

অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একপ্রকার বিদেশী ফল। এটি অনেক নরম হয়, তাই সহজেই হজমযোগ্য। একটু খাওয়ার নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সাথে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি: রোজা রেখে ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে ফুলকপি, ব্রকলির মতো ফল রোজার পর অধিক কার্যকরী হতে পারে।   

তথ্যসূত্র: ফেয়ারপ্রাইস

;