তিলের তেলে চুলের যত্ন
পরিচিত বিভিন্ন তেলের পাশপাশি চুলের যত্নের জন্য তিলের তেলটিও দারুণ গুরুত্ব বহন করে। রান্নাতে খাবারের স্বাদ বাড়াতে যে তেলটি ব্যবহার করা হয়, সে তেলটি যদি চুলের কমন সমস্যাগুলোকে দূর করতে পারে তবে তাকে গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি। বিশেষত চুলের বৃদ্ধির জন্য তিলের তেল সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু এই উপকারিতাটির পাশাপাশি প্রাকৃতিক এই তেলের আরও বেশ দারুণ কিছু উপকারিতা রয়েছে। সেটাই আজকের ফিচারে জানানো হল।
অকালে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে
চুলের গোড়ায় তিলের তেলের ম্যাসাজ অকালে ও অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যাটি প্রতিরোধ করে এবং চুলের স্বাভাবিক রঙকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে চুলের রঙকে গাড় হতেও সাহায্য করে এই তেলটি।
চুলের বৃদ্ধিতে অবদান রাখে
তিলের তেল মাথার ত্বকের নিচে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে, যা সরাসরিভাবে চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া তিলের তেল চুল ও মাথার ত্বকের কেমিক্যাল ড্যামেজকে কমিয়ে আনতেও কাজ করে। যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে চুলকে দ্রুত বড় হতে সাহায্য করে।
ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখে
তিলের তেলের সবচেয়ে চমৎকার উপকারিতাটি হল, প্রাকৃতিক এই তেলটি সান- ব্লকিং উপাদান হিসেবে কাজ করে। ফলে তিলের তেলের ব্যবহার চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলকে প্রখর রোদের মাঝে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে। রোদের আলোর পাশাপাশি বাইরের দূষণের ভেতরেও চুলকে সুরক্ষিত রাখতে তিলের তেল কার্যকরি।
আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি করে
তিলের তেলে রয়েছে আরামদায়ক ও প্রশান্তি তৈরিকারী উপাদান। অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া ও স্ট্রেইটনারের উষ্ণতা চুলের জন্য ক্ষতিকর তিলের তেলের আরামদায়ক উপাদান চুলের জন্য উপকারিতার পাশাপাশি মাথায় আরামদায়ক ো প্রশান্তিভাবও নিয়ে আসে। এমনটা হওয়ার কারণ, তিলের তেলে মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে দারুণ কার্যকর একটি উপাদান।
খুশকির সমস্যায় উপকারী তেল
যারা বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করেও খুশকির সমস্যা কমাতে পারেননি, তাঁরা তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে মাথার ত্বকে তিলের তেল ব্যবহার খুশকির সমস্যাটিকে দ্রুত কমিয়ে আনে।