টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার ৭০৪ জন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসএ পর্যন্ত করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) টিকার আওতায় এসেছে দেশের ১ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার ৭০৪ জন। এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৫ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ৮৭ হাজার ২০১ জন। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৮ জন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৪০২ এবং নারী ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ২১৩ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৭ এবং নারী ১৫ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চীনের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত সারাদেশে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮৭ হাজার ২০১ জন। এদের মধ্যে ৪০ হাজার ৬৬৭ জন পুরুষ এবং ৪৬ হাজার ৫৩৪ জন নারী রয়েছেন।
সিনোফার্মের প্রথম চালান আসার পর ২৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় ধরনের টিকা প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
এছাড়া ঢাকার ৭টি কেন্দ্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ২৬৭ ও নারী ১ হাজার ৬২১ জন। গত ২১ জুলাই এই টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এরপর গত ১ জুলাই থেকে ফাইজারের প্রথম ডোজ গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এর প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ থাকলেও গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ৮৯৩ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫৮৬ এবং নারী ৩০৭ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৫ লাখ ২০ হাজার ৯৭০ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ২০৮ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৮ হাজার ৭৮ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৮৭ হাজার ১১৮ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৯৭ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন।
রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮৩ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৯ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ১৪৫ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ২০ হাজার ৩৪০ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৯৯৮ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।