রংপুরে আরও ৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩০

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগে করোনায় একদিনে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩০ জনের। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুর জেলার তিনজন, লালমনিরহাটের দুইজন, পঞ্চগড়ের দুইজনসহ দিনাজপুর ও গাইবান্ধার একজন করে রয়েছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে,২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ১ হাজার ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ১৭১ জন, রংপুরের ১০৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১০ জন, নীলফামারীর ৭ জন, কুড়িগ্রামের ৫ জন, গাইবান্ধার ২৭ ও লালমনিরহাটের ২ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৭৪ জন।

বিভাগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২৩৮ জন, রংপুরের ১৪৭, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৩৪, নীলফামারীর ৫১, লালমনিরহাটের ৪৫, কুড়িগ্রামের ৩৮, পঞ্চগড়ের ৩৭ ও গাইবান্ধার ৩৫ জন রয়েছেন।

করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে ৩৬ হাজার ১০৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুুর জেলায় ১১ হাজার ১৪৪ জন, রংপুরের ৭ হাজার ৮৪৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ হাজার ৪০ জন, গাইবান্ধার ২ হাজার ৯৫৯ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৭৩৬ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৫৮৪ জন, লালমনিরহাটের ১ হাজার ৯৩৩ জন এবং পঞ্চগড়ের ১ হাজার ৮৬৭ জন রয়েছেন।

সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

   

‘বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেছেন, বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ভৌগোলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর। 

রোববার (৫ মে) সকালে টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মেয়রে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান। 

মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬ টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। সিঙ্গাপুর এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া, নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

জবাবে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ বিধায় সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দিবে। বিভিন্ন দেশে সিঙ্গাপুর যে কো-অপারেশন প্রোগ্রাম চালায় তার আওতায় চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।

এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি, সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২

চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২

  • Font increase
  • Font Decrease

আশুলিয়ায় একটি আঞ্চলিক সড়কে রিকশা-অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলছিল কয়েকজন যুবক। হঠাৎ পুলিশের আগমন। পুলিশের গাড়ি দেখে দৌড় দিলে তাদের পিছু নিয়ে দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চাঁদার টাকাও। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

রোববার (০৫ মে) সকালে আশুলিয়া থানা থেকে আটককৃতদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার (০৪ মে) বিকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার মো. সুমন মিয়া (৩৬) ও ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার মো. সাগর খান (২৭)। তারা আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও গোমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। এ ঘটনায় পলাতক আরও ২ সহযোগী হলেন, মো. ছাগির ও নুরুল দেওয়ান। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মোট ২ হাজার ২ শ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা নরসিংহপুর এলাকায় রিকশা ও অটোরিকশা চালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করত। রিকশা প্রতি তারা ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গেলেই পুলিশ দেখে দৌড় দিয়েছিল চাঁদা আদায়কারীরা। পরে ধাওয়া করে ২ জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছি। চাঁদাবাজির যেকোনো তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরই প্রেক্ষিতে নরসিংহপুর থেকে ২ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের সহযোগীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

কর্ণফুলী নদী থেকে অপরিশোধিত ২২ বস্তা চিনিসহ নৌকা জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী নদী থেকে অপরিশোধিত ২২ বস্তা চিনিসহ নৌকা জব্দ

কর্ণফুলী নদী থেকে অপরিশোধিত ২২ বস্তা চিনিসহ নৌকা জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে ২২ বস্তা অপরিশোধিত চোরাই চিনি ভর্তি একটি নৌকা জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই নদীতে লাফ দিয়ে পায়ে যান দুই চোরাকারবারি।

গতকাল শনিবার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা খালের মুখে তাতিয়া পুকুর পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে এসব অপরিশোধিত চিনি জব্দ করা হয়।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাতিয়া পুকুর সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই চোরাকারবারি নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে যান। রাত হওয়ায় তাদের আর ধরা যায়নি।

এসময় তাদের নৌকা থেকে ২২ বস্তা চিনির কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আমদানি করা চিনির কাঁচামাল ভর্তি জাহাজ থেকে এসব র’ চিনি চোরাকারবারিরা চুরি করে পাচার করছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন: হারুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের আশ্রিত গরিব-অসহায় মানুষগুলোকে কষ্ট দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাদকাসক্ত মিল্টন সমাদ্দার। 

যখন মানুষগুলোর অপারেশনের প্রয়োজন হতো, তখন নিজ হাতে ব্লেড দিয়ে তাদের আঙুল কেটে ফেলতো মিল্টন। ব্লেড, ছুরি দিয়ে কাটাছেঁড়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো অমানবিক কষ্ট পেতেন, আর্তনাদ করতেন। এসব দেখে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন। 

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত লোমহর্ষক তথ্য সম্পর্কে জানান ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রোববার (০৫ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ আক্ষেপ করে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের মতো সাইকোপ্যাথিক মানুষ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি যে নির্যাতন করে, ব্লেড ছুরিতে নিজেই অপারেশন করতেন, টর্চার সেলে মানুষকে পেটাতেন, তাদেরকে তিনি বানর বলে অভিহিত করতেন। পিটিয়ে নিস্তেজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, এসব করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। আমরা তার টর্চার সেল থেকে আলামত জব্দ করেছি। কথিত অপারেশন থিয়েটার থেকে ব্লেড,  ছুরি জব্দ করেছি।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার ভয়াবহ অপরাধ করেছেন। একটি দুটি অপরাধ করেননি, তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ তো ভয়াবহ। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার একাউন্টে এখনো ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আছে। এতোগুলো টাকা থাকার পরও তিনি কাউকে চিকিৎসা করাননি। তিনি নিজেই হয়ে গেছেন অপারেশন থিয়েটারের হেড। তার অপারেশন থিয়েটারে থাকতো একটা ছুরি ও কিছু ব্লেড। তিনি এগুলো দিয়েই নিজেই অপারেশন করাতেন। এরকম ভয়াবহ, অমানবিক আচরণ, অসভ্য আচরণ, এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্যই তো লজ্জাজনক। যারা তার সঙ্গে জড়িত, যারা পেট্রনাইজড করেছে, সহযোগিতা করেছে, ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য যারা পেট্রন করেছে, ফাউন্ডেশনের মেম্বার তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

হারুন বলেন, যে ছেলেটা সেই উজিরপুর থেকে বাবাকে পিটিয়ে ঢাকায় এসে ঔষধের দোকানে চুরি করেছেন, এরপর একটা আশ্রম গড়ে তোলেছেন। যেখানে সে অসহায়, গরীব শিশু, বৃদ্ধ, প্যারালাইজড, বাকপ্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে সংগ্রহ করে আশ্রমে নিতেন। তাদের দেখিয়ে তিনি ফেইসবুকে ফলোয়ারের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতেন। সেই টাকা আবার তিনি খরচা করতেন না।

তার আশ্রমে ৯০০ লোক মারা গেছে বলে নিজেই প্রচার করতেন উল্লেখ করে হারুন বলেন, মানুষগুলো মারা গেছেন। জানাজা হলো না, রাতের অন্ধকারে কবর দেয়া হলো, আত্মীয়-স্বজনকে জানানো হলো না, মিথ্যেভাবে সিল স্বাক্ষর দিয়ে নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট দিলেন, পরেও স্বজনদের জানালেন না, এসবই আমাদের তদন্তে আসবে।

যেসব শিশু তার আশ্রমে ছিল, তাদের খোঁজ পাবার পর দেখা করতে দেয়া হতো না স্বজনদের। ওই শিশুদের ক্ষেত্রে আসলে কী ঘটেছিল? বিক্রি করতো? কিছু পেয়েছেন আপনারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে হারুন বলেন, একটু ধৈর্য ধরেন সবই বেরিয়ে আসবে। এরকম আরও যেসব মিল্টন সমাদ্দার বাংলাদেশে যদি আরও থেকে থাকে, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা নামে এ ধরনের অপকর্ম করে থাকে তাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেই বলেছেন, ৯০০ লোকের প্রাণ নিভে গেলো! কীভাবে নিভে গেলো? তিনি তো তাদের হাসপাতালে নেননি, ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি, থানা পুলিশকে অবহিত করেননি। আবার ৯০০ লোকের প্রাণ যাবার যে কথা তিনি বলেছেন, সেটা আদৌ সত্য কিনা, নাকি এটা টাকা ইনকামের একটা কথার কথা! সত্য হলে কি করেছেন। সব তদন্তে নিয়ে আসবো। এই আশ্রমের সঙ্গে আরও যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

হারুন বলেন, অটিজম শিশুদের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাতনী প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের (ডব্লিউএইচওএসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বৈশ্বিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। আর সেই দেশে অটিজমের নাম ধারণ করে অসহায়, বাক প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন মানুষ সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রচার করে ফলোয়ারদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে তিনি সেই টাকা খরচা করেননি। এটা তো লজ্জাজনক।

তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন। আমরা তো সেখানে যাতায়াত করা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, মিল্টন সমাদ্দার তার সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেন, যা তিনি জানতেন না। মিল্টন সমাদ্দার নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তিনি নাকি মানবতার ফেরিওয়ালা। এসব অপকর্ম করে কীভাবে একজন মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হয়?

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা সিটি করপোরেশনের মৃত সনদ জাল কারার অভিযোগের মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।

রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে স্থানীয়রা। গ্রেফতারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;