বইমেলা শেষ হয়েও হলো না, বই বিক্রিতে মিশ্র অভিজ্ঞতা

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • কানজুল কারাম কৌষিক, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪। সাধারণত বাংলা ও বাঙালীর প্রাণের এ মেলা চলে ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই। এবারও পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পর্দা নামার কথা ছিলো প্রাণের বইমেলার। বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি থেকে সমাপনি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল তবুও ছোট গল্প নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিখ্যাত সেই চরণের মতোই অবস্থা বইমেলার। বইমেলার অবস্থাও তুলে ধরছে সেই চরণ ‘অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে, শেষ হইয়াও হইল না শেষ’। সব সময়ের মতো আজ এবং কালও পর্দা উঠছে না বইমেলার। তবে এই বর্ধিত সময়ে প্রকাশক-বিপণন ব্যাবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে তৈরি হয়েছে মিশ্র অভিজ্ঞতা।

শুক্রবার (১ মার্চ ) অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সরেজমিনে এ চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবারের মতো এবারও বেশ তোড়জোড়ের মাধ্যমে বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছে 'কথা প্রকাশ' প্রকাশনী। এবারের বইমেলা উপলক্ষে তারা বিগত বছরগুলোর চেয়েও বেশি বই ছাপিয়ে মেলার প্রস্তুতি নেন। তবে বই বিক্রি ছাপিয়ে গেছে তাদের প্রত্যাশাকেও।

কথা প্রকাশের কর্ণধার জসীমউদ্দিন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, আমাদের এবারের বই মেলায় খুব ভালো বিক্রি হয়েছে। আমাদের একবারে বই ছাপিয়ে বিক্রির প্রস্তুতি ছিলো। কিন্তু এতোই বেশি বিক্রি হয়েছে যে কিছু বই ৩য় এবং ৪র্থ সংস্করণে বের করতে হয়েছে। আশানুর রহমান এর লেনিন বইটি প্রথম প্রকাশ হয়েছে এটিও ৩য় বার বের করেছি। আর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি বই আমরা ৪র্থ বার ছাপিয়েছি এবার।

বিজ্ঞাপন

বর্ধিত ২ দিনে ভালো বিক্রি হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন আসল পাঠকরা বই কিনতে আসছেন। এর আগে ভিড় ছিলো। এখন শুধু পাঠক ও ক্রেতা মেলায় আসছে এবং শান্তিতে বই কিনতে পারছে।

বহু বছর যাবৎ বইমেলার আয়োজনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন 'মাওলা ব্রাদার্স' প্রকাশনী। এবারও এ বইমেলায় তারা শতাধিক নতুন বইসহ হাজারো বই নিয়ে উপস্থিত হন বইমেলায়। 'মাওলা ব্রাদার্স' এর আইটি বিভাগের প্রধান নিহাল মাহমুদ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, এমনিতে আমরা এ বছরের মেলায় সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট। তবে এই বর্ধিত সময়ে এসে শুক্রবার সন্ধার আগে অবধি যা দেখলাম তা থেকে বলা যায় আশানুরূপ কোন সাড়াই পাই নি। এখনো সময় বাকি আছে। রাত ৯ টা অবধি দেখি এবং আগামীকাল শেষ দিনটা দেখে বিস্তারিত বুঝতে পারবো বেচা-কেনার অবস্থা।

বইমেলায় অন্যতম আলোচিত প্রকাশনীদের মধ্যে একটি 'ঐতিহ্য'। 'ঐতিহ্য' প্রকাশনীর বিপণন ব্যাবস্থাপক আমজাদ হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, এবার বইমেলায় ঐতিহ্য থেকে ভালো বই বিক্রি হয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট। তবে এই যে দুই দিন বাড়ানো হলো সময়, এই শুক্রবার এর বেচাকেনা আমরা আরো ভালো হবে বলে আশা করেছিলাম। সে অনুযায়ী সাড়া পাচ্ছি না ক্রেতাদের।

প্রসঙ্গত, প্রকাশকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনায় বইমেলার সময় বেড়েছে দুই দিন। এই দুই দিনই সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা অবধি চলবে বইমেলা। তবে অন্যান্য ছুটির দিনের মতো থাকছে না শিশু প্রহর।