কেটেছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' আতঙ্ক

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল
  • আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

৩ দিন বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কে রেখে অবশেষে শান্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমেল। ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।

সোমবার (২৭ মে) প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে কয়রা, খুলনা হয়ে আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে দুর্বল হতে থাকে। ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' উত্তরদিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ক্রমান্বয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালে রূপান্তরিত হতে পারে এমন শঙ্কায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেয় আবহাওয়া অধিদফতর। পরবর্তীতে নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে ৪ বন্দরে দেওয়া হয় ৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত।

ছবি: বার্তা২৪.কম

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ঘোষণা করা হয় গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রিমালে রূপ নিয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। এরপর থেকে উপকূলের মানুষের মাঝে বাড়তে থাকে আতঙ্ক। তৎপর হয় প্রশাসন। ডাকা হয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা। নেওয়া হয় উপকূলের মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নং মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়।

এরপর থেকে উপকূলের মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় আশ্রয়কেন্দ্রে। মানুষের মাঝে বাড়তে থাকে রিমাল আতঙ্ক। বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে বাড়তে থাকে বাতাস এবং পানি। জোয়ারের পানিতে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে থাকে। কয়েকটি জায়গায় ঘটে প্রাণহানির মতো ঘটনা।

এরপর রাত ৮টায় বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের মূল কেন্দ্র। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয় বাংলাদেশের উপকূল। যেটি তাণ্ডব চালায় সারারাত। উপকূলের মানুষদের ঘুম কেড়ে নেয় এই ঘূর্ণিঝড় রিমাল।

রিমেলের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে অনেক মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক কাটলেও ক্ষয়ক্ষতির কারণে অসুবিধায় পড়েছে অনেকে। সরকারের কাছে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সহযোগিতা চান উপকূলবাসী।