ফেনীতে নেই বড় ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা, আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছে মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল


ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ফেনীতে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হলেও এর তাণ্ডব খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়নি। রিমালের প্রভাবে ফেনীর উপকূলীয় উপজেলায় সোনাগাজীতে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া, ঘর-বাড়ির টিন উপড়ে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কয়েক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি ব্যতীত কোন বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে ফেনী জেলাপ্রশাসন।

রিমালের প্রভাবে মধ্যরাত থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হয় ফেনীতে। সকাল থেকে থেমে থেমে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। এরমধ্যে বৈদ্যুতিক তারে গাছ পড়ে সম্পূর্ণ সোনাগাজী উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার বেশকয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝোড়ো বৃষ্টি হলেও সকালের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায় সাধারণ মানুষ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রিমালের জন্য প্রস্তুত ছিল জেলার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। এরমধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন ৪৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৬৫জন , মহিলা ১৩৮জন, প্রতিবন্ধী ১৯জন এবং শিশু ৪৬জন। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের শেডে ৮৬টি গবাদিপশুকে নিরাপদে রাখা হয়। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৬২টি এবং ছাগল-ভেড়া ২৪টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার কোথাও আহত বা নিহত নেই বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুর রহমান জানান, এখন জোয়ার ও আবহাওয়া স্বাভাবিক আছে। মাঝে মাঝে মাঝারি বৃষ্টি এবং দমকা বাতাস বইছে। বাতাসে বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ায় সোনাগাজী উপজেলায় বিদ্যুৎ নেই। পাশাপাশি অন্যান্য উপজেলার অধিকাংশ স্থান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তিনি জানান, জেলার কোথাও রাস্তা/বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেনি। ফসলাদি কিছু বাতাসে নুইয়ে পড়লেও উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতি হয়নি। সোনাগাজীসহ জেলার কোথাও মাছ/চিংড়ি ঘেরের ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য নেই। তবে কয়েকটি ঘরবাড়ির চালের টিন উড়ে গেলেও জেলার কোথাও ঘরবাড়ি একেবারে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি নদীতে ভাটা থাকায় নিম্নাঞ্চল/চরাঞ্চল প্লাবিত হয়নি বলে জানান তিনি।


তবে সোনাগাজীতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কিছু ঘরবাড়ির টিন উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তৌহিদ রুদ্র নামে সোনাগাজীর একজন জানান, 'রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়েছে। সেগুলো অপসারণের জন্য লোক এসেছে। এছাড়া তেমন বড় কোন ক্ষতি হয়নি। জোয়ারের পানি স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি হলেও পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি।'

উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা ও সিপিপির দলনেতা নুর নবী বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতি থেকে মানুষকে সতর্ক করতে সিপিপি সদস্যরা এখনো মাঠে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস হলেও মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাইছেন না। যারা ছিল তাদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন।'

উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, 'যেকোনো দুর্যোগে এ ইউনিয়নের লোকজন বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। সকাল থেকে কয়েকটি এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির কথা শুনেছি। তবে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।'

সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বলাই মিত্র বলেন, 'রোববার রাতে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে বেশ কিছু এলাকায় গাছপালা পড়ে তার ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মেরামতের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। তবে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একটু সময় লাগবে।'

ফেনী আবহাওয়া দপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, 'ফেনীতে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। আজ সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।'

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, 'এখন পর্যন্ত উপজেলায় বড় ধরনের ক্ষতি কিংবা আহতের তথ্য নেই। বাতাসে কারও কারও ঘরের টিন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। উপজেলার কোথাও পানি উঠার কোন ঘটনা ঘটেনি। রাতে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ এসেছিল, অনেকের জন্য খাবারের ব্যবস্থা ছিল তবে অনেকেই রাতেই আবার ফিরে গিয়েছেন। বৃষ্টির আগেই ধান কেটে ফেলার ফলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।'

এদিকে যেকোন পরিস্থিতে জরুরি সেবা প্রদান করার জন্য সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। তিনি জানান, 'সমগ্র জেলায় ৭৬টি মেডিক্যাল টিম গঠিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ছিল। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল রাত থেকে আশ্রিতদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বাঁধ পরিস্থিতি ও নদীর পানি বৃদ্ধির গতিবিধি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, ;উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে শুকনা খাবারের জন্য ২ লাখ টাকা, ২ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ১ লাখ টাকা গোখাদ্য ক্রয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।'

   

জামালপুরে বজ্রপাতে এক নারী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
জামালপুরে বজ্রপাতে এক নারী নিহত

জামালপুরে বজ্রপাতে এক নারী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মেলান্দহে বৃষ্টিতে গোসল করার সময় বজ্রপাতে আঁখি আক্তার (৩০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আঁখি আক্তার গুজামানিকা এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ আলীর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিনের তীব্র তাপদাহ শেষে আজ বুধবার বিকাল তিনটার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। আঁখি আক্তার নিজ বাড়ির উঠানে বৃষ্টিতে গোসল করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হয়। পরে আঁখিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর নিহতের খবর শুনেছি।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন।

বুধবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকার হাসপাতালে ৯ জন, উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে ৮ জন এবং অন্যরা ঢাকা বিভাগের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ঢাকার বাইরে পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রামের হাসপাতালে। এ ছাড়া খুলনা ও বরিশাল বিভাগে তিনজন এবং রাজশাহী বিভাগে দুজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যে ৪৩ জন মারা গেছেন, এর মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ২৩ জন। চলতি মাসে ডেঙ্গুতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ১১৮ জন ও নারী ১ হাজার ৩৭৮ জন।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

চীন-ভারতসহ উন্নত দেশ থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত দেশগুলো থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

সরকার প্রধান বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমানে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের লক্ষ্যে যথাসম্ভব সকল বাস্তবমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অদ্যাবধি সেনাবাহিনীর জন্য ক্রয়কৃত বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জামাদির মধ্যে কাসা ইউটিলিটি বিমান, ডওফিন ইউরোকপ্টার, ডায়মন্ড প্রশিক্ষণ বিমান, এমবিটি-২০০০ ট্যাংক, ভিটি-ফাইভ লাইট ট্যাংক, আর্মার্ড রিকভারি ভেহিক্যাল, সেলফ প্রপেল্ড (এসপি) কামান, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড ভেহিক্যাল, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, র‍্যাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম, নাইট ভিশন মনোকুলার, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামাদি উল্লেখযোগ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবিলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক/অস্ত্র/মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে একটি শক্তিশালী নৌশক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।

একইসঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিকেল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র‍্যাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়াও, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

সমাজ পরিবর্তনে সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য একটি বৈষম্যহীন ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই।

‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে বুধবার (২৬ জুন) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলভিত্তিই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের শুরু। সুশিক্ষিত ও মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে শিক্ষাই মূল চাবিকাঠি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উদ্যাপন ও ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এ উপলক্ষ্যে তিনি দেশের সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক ঘোষণা, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ পুনর্নির্মাণ ও বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা দর্শনকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার হ্রাস, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি হার বৃদ্ধি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাব্বিশ হাজারের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং শিক্ষকের সংখ্যাও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশে পাঠদান একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন চৌকস প্রজন্ম গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে- যাতে শিশুরা স্কুলে যেতে উৎসাহী হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য- ‘শিশুবান্ধব শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন।
একটি সুশিক্ষিত, মেধাবী ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসতে রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জিত হবে এবং অচিরেই আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বিজ্ঞানমনস্ক স্মার্ট জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো।

প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ প্রাপ্ত সকলকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;