নোয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা গৃহকর্তাসহ বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে থাকা নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল, ১টি মোটরসাইকেল লুট করে।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তালিবপুর গ্রামের শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতি করার জন্য হানা দেয়। এরপর ডাকাতরা সু-পরিকল্পিতভাবে হাবিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের একটি রুমে আটকে রেখে তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা এবং মোবাইল এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে একই কায়দায় ডাকাত দল হাবিবুর রহমানের ভাই ফারুক এবং ভাতিজা জিয়াউল হাসান রুপমের ঘরে ডাকাতি করেন। এ সময় ডাকাতরা ৫ টি মোবাইল, ১২ ভরি স্বর্ণ, নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, ১ টি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়।

ছয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবদুল আজিজ বলেন, হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করে। গতকাল রাতে এই শিক্ষক দম্পতির ঘরে ডাকাত দল হানা দিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের দেখে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী স্ট্রোক করে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় ডাকাতরা একই বাড়ির আরও দুটি ঘরে ডাকাতি করে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে ডাকাতির ঘটনায় এখনো কেউ থানায় কোনো এজাহার দাখিল করেনি।

চুয়াডাঙ্গায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃষ্ণপুরে ত্রিফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কৃষকসহ দুইজন জখম হয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেনের দলীয় অফিস। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা ও সংঘর্ষ এড়াতে মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রায়পুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত ছনু বিশ্বাসের ছেলে কৃষক ওসমান গনি (৫০) ও একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কীটনাশক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাঠে তিন ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্তে আসেন চার সদস্যের একটি দল। এসময় কৃষকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বিক্ষোভকারীরা। এরই জের ধরে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত কীটনাশক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় রায়পুর বাজারে আমার দোকানে বসেছিলাম। এসময় স্থানীয় চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জতের দুই ছেলে সবুজ মির্জা ও সাচ্চু মির্জাসহ আরও কয়েকজন দোকানে ঢুকে আমাকে রড দিয়ে আঘাত এবং দোকান ভাঙচুর করে চলে যায়। মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

আহত কৃষক ওসমান গনি বলেন, ‘সকালে কৃষ্ণপুর গ্রামে ত্রিফসলি জমি নিয়ে কৃষকদের আন্দোলনে আমি ছিলাম। বিকেলে রায়পুর বাজারে এলে চেয়ারম্যানের দুই ছেলের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে আমার ওপর হামলা করে।’

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবাহ বিন মজিদ বলেন, ‘দুইজন জখম হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এদের মধ্যে একজন ওখান থেকে সেলাই দিয়ে এসেছে। অন্যজনের মাথায় আমরা কাটা দেখেছি। আপাতত তারা ভালো আছে। তবে সিটি স্ক্যান ব্যতীত আসলে কিছু বলার সুযোগ নাই। আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণে রাখব।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমি বাজার থেকে বাড়ি চলে আসার পর শুনতে পাই সাজ্জাদ ও আকবর মেম্বারের নেতৃত্বে আমার দলীয় অফিসে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আমার অফিসে থাকা একটি টেবিল, ২০টি প্লাস্টিকের চেয়ার ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে তারা।’

হামলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে কৃষ্ণপুর গ্রামে যুগ্ম সচিব এসেছিলেন তদন্ত করার জন্য। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সেখানে ছিলাম। সে সময় উচ্ছৃঙ্খল মানুষ আমার গায়ে হাত তোলে। তারা হয়তো ভেবেছে আমি কোম্পানির লোকজনের সাথে আছি।’ তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমি বাজারে ছিলাম না। তাই কী ঘটেছে সঠিক জানি না।’ তবে তার অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, ‘সন্ধ্যায় একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমি ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থলে রয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

;

কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাপের দংশনে সোয়াদ ইসলাম (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। বুধবার দিবাগত রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর একটি সাপে তাকে দংশন করে।

নিহত শিশু সোয়াদ দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী চৌহদ্দিরমাঠ গ্রামের সুখ চাঁদ আলীর ছেলে।

দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহি জানান, সোয়াদ তার বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল। বুধবার দিবাগত রাতে ঘুমের মধ্যে সোয়াদকে কিছু একটা কামড় দেয়। এসময় শিশুটি টের পেয়ে চিৎকার দিলে বাবা-মা ঘুম থেকে জেগে শিশুটির পাশেই একটি সাপ দেখতে পাই। পরে সুখ চাঁদ ঘরে থাকা ধারাল হাসুয়া দিয়ে সাপটিকে কোপ দিলে সাপটি মারা যায়। এরপর সোয়াদকে দ্রুত দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মৃত্যু হয়। তবে কি প্রজাতির সাপ তা কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এন্টিভেনম প্রয়োগ চলছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

;

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে প্রতারণা, দুই ভুয়া চিকিৎসককে জরিমানা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈধ কাগজপত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের সেবা দেয়ার অপরাধে দুই ভুয়া চিকিৎসককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের চেম্বারও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুমারখালী পৌরসভার হলবাজার এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল আরাফাত জানান, বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আবুল বাসার সেতু মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা দেয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। তিনি প্রায় এক বছর ধরে হলবাজার এলাকায় ডক্টর ভেলি নামক চেম্বার খুলে এ কাজ করছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভুয়া চিকিৎসক সেতুকে ৫০ হাজার টাকা এবং একই এলাকায় বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়ায় দন্তজনিত রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করায় ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরু প্রায় তিন বছর ধরে জনসেবা ডেন্টাল কেয়ার নামক চেম্বার খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, তাদের চেম্বার দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এসময় তাকে সহায়তা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রিফাত হিমেল।

এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সৌদিতে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল নওগাঁর ৩ প্রবাসীর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের রিয়াদের মুসাসানাইয়া এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রয়েছেন তিনজন।

বুধবার (৩ জুলাই) সৌদির স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ আগুনের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। নিহতের খবর পাওয়ার পর থেকে এই তিন জনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

নিহতদের মধ্যে আত্রাই উপজেলার তেজনন্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), শিকারপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে এনামুল হোসেন (২৫) ও দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের কবেজ আলীর ছেলে শুকবর রহমান (৪০)।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে তেজনন্দি গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের লোকজন,পাড়া-প্রতিবেশি এবং আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করে আছেন। গ্রাম জুড়েই যেন কান্না আর শোকের রোল পরে গেছে। ফারুকের স্ত্রী-দুই সন্তানকে যেন কেউ থামাতেই পারছেন না। বার বার কান্নায় ভেঙে পরছেন।

ফারুকের ভাতিজা পিন্টু আলী জানান, চাচা ফারুক হোসেন গার্মেন্টসে কাজ করতেন। গত প্রায় ৬ বছর আগে ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। কিন্তু যাবার পর থেকেই সেখানে নানা সমস্যার মধ্যে পরে যায়। গত প্রায় ৮ মাস হচ্ছে স্থায়ীভাবে সোফা তৈরির কারখানায় কাজে যোগদান করেছেন। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মোবাইল ফোনে জানতে পারেন কারখানায় আগুনে ফারুক নিহত হয়েছেন।

উপজেলার দিঘা গ্রামের নিহত শুকবর আলীর জামাই বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, তার শ্বশুর কৃষি শ্রমিক ছিলেন। গত আড়াই বছর আগে একমাত্র সম্বল ১১ শতক জায়গা বিক্রি করে তার সাথে ধার-দেনার টাকায় সৌদি আরবে যান। এখন পর্যন্ত ধার-দেনার টাকা শোধ করতে পারেননি।

নিহতদের তিন পরিবার থেকেই দ্রুত মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সৌদি আরবে আগুনে পুড়ে তিনজনের নিহতের খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। এছাড়া নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরাতে এবং সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা থাকলে সেক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

;