সাজেক নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর, পর্যটন সেক্টরে বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাঙামাটির সাজেক, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাঙামাটির সাজেক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাঙামাটির সাজেকে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ডুবে গিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় দেড় শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকেই বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেলসহ গণমাধ্যমে সাজেকে ৭ থেকে ৮ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে উল্লেখ করে খবর প্রকাশ হওয়ায় সারাদেশে সাজেক নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বিভ্রান্তিকর এমন তথ্যে রাঙামাটির পর্যটন সেক্টরেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

এই বিষয়ে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, একটি পক্ষ সাজেকে পর্যটক যাওয়া কমিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মূলত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সাজেকে যাওয়ার সময় বাঘাইহাট জোনে পর্যটকসহ তাদের বহনকারী গাড়ির তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।

নিরাপত্তাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, সোমবার (১ জুলাই) সাজেকে মোট ৭৮ জন পর্যটক প্রবেশ করেছে। তার মধ্যে পুরুষ-৪৮ জন, মহিলা-৩০ জন। ২টি জীপ, ৬টি সিএনজি, ৩টি মাইক্রো ও ৪টি বাইক নিয়ে সর্বমোট ১৫টি যানবাহন সাজেকে প্রবেশ করেছে। সোমবার বিকেলে সাজেকে কোনো বিদেশি পর্যটক প্রবেশ করেনি। এছাড়া আগে থেকে ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছিল। সবমিলিয়ে দেড় শতাধিক পর্যটক মঙ্গলবার সকাল থেকে সাজেকে আটকে রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে রাঙামাটির পর্যটন উদ্যোক্তাদের সংগঠন টোয়ার’র সহ-সভাপতি ও সাজেকের পর্যটন উদ্যোক্তা পারভেজ আহম্মেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রকৃত তথ্য হলো সবমিলিয়ে ১৫০ জনের মতো পর্যটক আটকে আছে এবং তাদের সুবিধার লক্ষ্যে হোটেল ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না, শুধুমাত্র পানি খরচ বা নিজস্ব খরচটাই পর্যটকদের ব্যয় করতে হচ্ছে।

তিনি জানান, প্রকৃত চিত্র না জেনে শুধুমাত্র শোনা কথার ভিত্তিতে সাজেক নিয়ে অনুমান নির্ভর খবর প্রকাশ করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে করে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির অর্থনীতির চরম ক্ষতির পাশাপাশি দেশ-বিদেশে পাহাড়ের পর্যটন সেক্টর নিয়ে নীতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, যা মোটেও মঙ্গলজনক নয়।

এদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীণ আক্তার জানিয়েছেন, সাজেকে শতাধিক পর্যটক আটকে আছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

ভুল চিকিৎসায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর পর অপচিকিৎসায় প্রসূতি নাজমুন নাহার (২৫) মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত প্রসূতি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের উত্তর চরভুতেরদিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ব্রানদিয়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে মৃত নাজমুন নাহারের ননদ আছমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বুধবার (০৩ জুলাই) দুপুরে পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার সরিকল বন্দরস্থ হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টক সেন্টারে তার ভাবির সিজারিয়ান অপারেশন হয়। সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যুর খবর জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এসময় কর্তৃপক্ষ জানায় প্রসূতি সুস্থ আছে। পরবর্তীতে নাজমুন নাহার অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে বরিশাল আরিফ মেমোরিয়ালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। এরপর শেবাচিমে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে (নাজমুন) মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আছমা বেগম অভিযোগ করেন, ‘হেলথ কেয়ারে বসেই নাজমুন নাহারের অবস্থা খারাপ ছিল। তারা একবার বলে তিন ব্যাগ রক্ত লাগবে। আরেকবার বলে পাঁচ ব্যাগ লাগবে। এরপর বলে আপনারা রোগী এখান থেকে নিয়ে যান। মূলত হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে বসেই ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতকসহ নাজমুন নাহারের মৃত্যু হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে সিজারকারী ডা. মুসলিমা জাহান অসি’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে ক্লিনিকের শুভাকাঙ্খী পরিচয় দিয়ে সুমন হোসেন নামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতিকে ভর্তি করতে চায়নি। তার স্বজনদের অনুরোধে ভর্তির পর সিজার করা হয়েছে। এখানে ভুল চিকিৎসার কোনো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে সংবাদটি প্রচার না করতে অনুরোধ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

সিলেটে কুশিয়ারা আতঙ্ক!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬ পয়েন্টের পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে। তবে আতঙ্ক বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী উপজেলা বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জে।

কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ (ডাইক) ভেঙে পানি প্রবেশ করছে এসব উপজেলায়। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ওই উপজেলার মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর থেকে বৃষ্টি হয়নি। তবে দুপুরের দিকে আকাশে কখনো রোদ কখনো মেঘে ঢাকা পড়েছে। বিকাল ৫টার দিকে সিলেটে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত দুই দিন ধরে সিলেটে বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে অনেক এলাকা থেকে পানি কিছুটা নেমে গেছে। কিন্তু কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙছে বাঁধ।

জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৪-৫টি স্থানে কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ (ডাইক) ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৭৩টি গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রও। সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিয়ানীবাজার -চন্দরপুর বৃষ্টির পানি আর ঢলে কুশিয়ারা নদীর ডাইক অতিক্রম করে পানি ডুকছে লোকালয়ে। কুশিয়ারা নদীর পানিতে বালাগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে প্লাবিত। ৬টি ইউনিয়ের বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য খোলা হয়েছে ৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। বালাগঞ্জের প্রধান সড়কে হাঁটুর উপরে পানি। উপজেলা পরিষদ, বালাগঞ্জ থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন ও এলজিইডি সড়ক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একইভাবে ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাজারসহ নিচু এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যেই পানি ঢুকে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৫২ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৪৭সে.মি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০৩ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে পানি ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯৬টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৬০টি গ্রামের ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৩ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ২৩৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, গত কয়েকদিন ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। সিলেটের নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় উজানের পানি ধীরগতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান বন্যায় সিলেটের ২৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মেরামতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে বন্যার পানি পুরোপুরি না নামলে এসব বাঁধের কাজ করা যাবে না।

বালাগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সময়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণও প্লাবিত। উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ণের জন্য। এ পর্যন্ত চলমান বন্যায় প্রায় ১৩১ মেট্রিক টন চাল বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানবৃন্দকে দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ, শুকনো খাবার ৯৫০ প্যাকেটসহ শিশু খাদ্য, গোখাদ্য দেওয়া হয়েছে ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বন্যার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসনিম জানান, প্রথম দফায় বন্যার পানিতে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভাঙে এখন সেগুলোর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের ৭৩টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বেশ কিছু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। যেসব আশ্রয়কেন্দ্রে পানি উঠেছে সেগুলো থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি।

;

বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে বলে জানা গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদনদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে এবং টাঙ্গাইল জেলার কিছু পয়েন্টে পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদী-নদীগুলির পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য প্রধান প্রধান নদীগুলির পানি সমতল সার্বিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদীগুলির পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে তিস্তা ও দুধকুমার নদীগুলির পানি সমতল কিছু পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং সেইসঙ্গে ধরলা ও ঘাঘট নদীসংলগ্ন কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনাশ্বরী, করতোয়া, বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনার নদীগুলির পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

;

থানচিতে নৌকা ডুবির তিনদিন পরও ২ শিক্ষার্থীর সন্ধান মেলেনি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
সাঙ্গু নদীতে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দলের উদ্ধার কার্যক্রম/ছবি: বার্তা২৪.কম

সাঙ্গু নদীতে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দলের উদ্ধার কার্যক্রম/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচিতে নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পার হলেও এখনো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বুধবার (০২ জুলাই) ঘটনার পর থেকে সাঙ্গু নদীতে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম চালালেও শিক্ষার্থীদের সন্ধান মেলেনি।

থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা অরুন জ্যেতি বড়ুয়া জানান, গতকাল সারাদিন শিক্ষার্থীদের উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ৭২ ঘণ্টা পার হলেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ সাঙ্গু নদীতে থাকলে ৪৮ ঘন্টা পার হলে ভেসে উঠার কথা। তবে সাঙ্গু নদীতে এখন যে পরিমাণ পানি এবং স্রোত রয়েছে, আমাদের ধারণা এতোক্ষণে নিখোঁজরা ভাঁটির দিক হয়ে সমুদ্রে চলে গেছে। তাই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

থানচি সদর থেকে তিন্দু পদ্মঝিরি দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এলাকাটি দুর্গম ও নেটওয়ার্ক বিহীন।

জানা যায়, সোমবার (০২ জুলাই) সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী নৌকা যোগে হরিসচন্দ্র পাড়া থেকে রুনাধন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিকে যাওয়ার পথে তিন্দু ইউনিয়নের পদ্মঝিরি এলাকায় পৌঁছালে পানি স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা সাতার কেটে প্রাণ রক্ষা করতে পারলেও শান্তি রানী ত্রিপুরা (১০) ও ফুলবানু ত্রিপুরা (৯) দুই শিক্ষার্থীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর উদ্ধারের চালালেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, গতকাল ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী যৌথভাবে নদীতে খোঁজখুজি চালিয়েছে। তবুও শিক্ষার্থীদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজকে আবার উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

;