কীটনাশক ছিটিয়ে কৃষকের পেঁয়াজ-রসুন নষ্ট করল দুর্বৃত্তরা
রাতের আঁধারে কে বা কারা বপণকৃত পেঁয়াজ-রসুনের ক্ষেতে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ছিটিয়ে তা নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষক বাদশা সিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর ইউনিয়নের বারুগ্রাম আবাসন এলাকায়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক নিজেই। এতে তার প্রায় ৪ একর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ, রসুন, হালি পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে দেড় হেক্টর জমিতে শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ, দেড় হেক্টর জমিতে রসুন ও পাঁচ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপণ ও দুই হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপণ করেন তিনি। হঠাৎ করে তিনি দেখতে পান তার ক্ষেতের ফসল মরে যাচ্ছে। সম্ভবত সপ্তাহখানেক আগে দুর্বৃত্তরা তার প্রতিটি ফসলের ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। এতে করে তার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই কৃষক।
ভুক্তভোগী এই কৃষক আরও বলেন, আমি কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। চলতি মৌসুমে সবার আগে পাঁচ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ লাগাইছি। এছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও রসুন সবার চেয়ে আমার ভালো হয়েছে। আমার হালির আতালে গেলে বুক ছিড়ে যাচ্ছে। এক এক কেজি পেঁয়াজের বীজ কিনছি ১৬-১৭ হাজার টাকা করে। আমি সহযোগিতা চাই না। আমি চাই যারা এভাবে রাতের অন্ধকারে আমার জমির ফসল নষ্ট করেছে তাদের প্রশাসন চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিক। এতে করে আমি নির্ভয়ে মাঠে অন্যান্য ফসলের চাষ করতে পারবো।
স্থানীয় সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী মিলন মন্ডল জানান, এই সকল ফসলে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি সাধারণত ধীরে ধীরে কাজ করে। আস্তে আস্তে প্রতিটি ফসলের গোড়া পচে শেষ হয়ে যাবে। আরও এক সপ্তাহ গেলে ক্ষতিটা দৃশ্যমান হবে।
তিনি বলেন, আমার ধারণা যে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে সেটা মাটিতে প্রায় ১৫ দিন ধরে কাজ করে। এতে করে আগামী ১৫ দিন পরে এই জমিতে চাষ করতে হবে। ততদিনে পেঁয়াজ লাগানোর মৌসুম শেষ হয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, তাদের ধারণা শত্রুতা করে এমন কাজ করা হয়েছে। এখন তারা নিজেরাও আতঙ্কে রয়েছে। তাদের দাবি অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। এতে করে তারা সবাই নির্ভয়ে চাষাবাদ করতে পারবে।