সকালে হঠাৎ জনসমাগম, সেনা টহলে ফের ফাঁকা রাজশাহী

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
সেনা টহলে ফের ফাঁকা রাজশাহী, ছবি: বার্তা২৪.কম

সেনা টহলে ফের ফাঁকা রাজশাহী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের মণিরামপুরে এসিল্যান্ড কাণ্ডে সমালোচনার মুখে শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেল থেকে রাজশাহী নগরীতে চোখে পড়ে পুলিশের ‘ঢিলেঢালা’ নজরদারি। দেখা মিলছিল না সেনা সদস্যদের টহলও।

ফলে শনিবার বিকেল থেকে মহানগরীতে মানুষের বেশ আনাগোনা দেখা যায়। রোববার (২৯ মার্চ) সকালে তা আরও বেড়ে যায়।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, সোনাদিঘী মোড়, মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজার, বৈশাখী মার্কেটসহ আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক জনসমাগম চোখে পড়ে। ফলে জিরোপয়েন্ট থেকে কলেজিয়েট স্কুলের গেট পর্যন্ত মাঝে-মধ্যেই রিকশা-অটোরিকশার জটও সৃষ্টি হতে থাকে।

 সেনা টহলে ফের ফাঁকা রাজশাহী, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা কেউ কেউ ব্যবহার করছিলেন না মাস্কও। মানছিলেন না দোকানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর নিয়ম। মোড়ে মোড়ে দুই থেকে তিনজন করে পুলিশের টিম থাকলেও তারা ছিলেন কার্যত নির্বিকার। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে টহল অব্যাহত থাকলেও জনসাধারণের মাঝে সচেতনতার তেমন প্রভাব ছিল না।

রোবাবর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দু’টি গাড়িতে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আসে সেনা সদস্যদের একটি টিম। গাড়ি থেকে নেমেই তারা দুই অথবা তিনজনের টিমে বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়েন নগরীর সাহেববাজারের আশেপাশের মূল রাস্তা ও কাঁচাবাজারের অলি-গলিতে।

 সেনা টহলে ফের ফাঁকা রাজশাহী, ছবি: বার্তা২৪.কম

মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ও ফলের দোকানে গিয়ে তারা মানুষকে সচেতন করেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে বলেন। অটোরিকশা ও রিকশাচালকদের নিয়ম মেনে চলাচলের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তাদের মাত্র আধা ঘণ্টার কার্যক্রমে ফের ফাঁকা হয়ে যায় রাজশাহী নগরী।

সেনা সদস্যদের সঙ্গে ঘুরে বেশ কিছু অভিনব কার্যক্রমও চোখে পড়ে। যেমন- রাস্তার ধারে অস্থায়ী মাস্ক বিক্রেতাদের থেকে পাইকারি দরে মাস্ক কিনে মাস্ক ব্যবহার না করা সাধারণ মানুষকে পরিয়ে দেওয়া, টিসিবি’র পণ্য কিনতে দূরত্ব না মেনে দাঁড়ানো মানুষদের লাইনে দাঁড়ানোর নিয়ম শিখিয়ে দেওয়া, অটোরিকশার চালকদের ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রেখে সিরিয়ালে দাঁড় করানো, সবজি বিক্রেতাদের ক্রেতাদের সাথে লেনদেনের নিয়ম শেখানো ইত্যাদি।

ভাড়ার অপেক্ষায় রোদ উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন বয়োবৃদ্ধকেও সেনাবাহিনীর দু’জন সদস্যকে পকেট থেকে নগদ টাকা বের করে দিতে দেখা যায়। সেই দৃশ্য ধারণ করলেও তা প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান সেনা সদস্যরা।

 সকালে হঠাৎ জনসমাগম, ছবি: বার্তা২৪.কম



তবে সেনা সদস্যদের সাহায্য পাওয়া রিকশাচালক আমির খাঁ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকাল থেকে ২০ ট্যাকার ভাড়া মারছি। আরডি মার্কেটের সামনে রিকশার উপরে বসেছিলাম। আর্মি দেখে একটু ভয় পেয়ে আমি রিকশা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছিলাম। আর্মির দুই মামা এসে বলল- ভাড়া পাচ্ছেন না চাচা? আমি বললাম- সকাল থেকে ২০ ট্যাকা ভাড়া হইছে। তখন একজন আমাকে ৩০০ টাকা দিয়ে আজকের মতো বাড়ি চলে যেতে বললেন।

আমির খাঁ বলেন, গত এক সপ্তাহে কোনো দিনই ২০০ টাকার ওপরে ভাড়া হয়নি। দিনে ৩০০ টাকা আয় হওয়া এখন কল্পনার বাইরে। আর্মির মামাদের দেয়া টাকা দিয়ে চাল-ডাল কিনে আমি বাড়ি চলে যাব। খুব খুশি হইছি, আল্লাহ উনাদের বাঁচিয়ে রাখুক।

আরডি মার্কেটের পাশের ফল বিক্রেতা শাহজাহান আলী বলেন, আর্মির লোকেরা বোঝায় এবং নির্দেশ দেয় খুবই ভদ্রভাবে। যেভাবে উনারা বলেন তাতে মন থেকে ইচ্ছে করে কষ্ট হলেও তাদের নির্দেশ মেনে চলি।

কাঁচাবাজার থেকে কেনাকাটা করে অটোরিকশায় ফিরছিলেন আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাজারে সবজি কিনতে এসে ভিড় দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মানুষ সুযোগ পেলেই বাজারে ভিড় করে ফেলছে। আর্মি আসার পর বিনা কাজে যারা বাইরে ঘুরছিল, সব হুটহাট করে সরে পড়েছে। শহর এখন আবার ফাঁকা।

 সেনা টহলে ফের ফাঁকা রাজশাহী, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুলিশও মাঠে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি আমরাও। গত কয়েকদিনের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিল, সেদিকে নজর রেখে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। আইজিপি’র দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতিতে সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে আরএমপি।

এক রিকশাচালককে নগদ টাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন সেনা সদস্যরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করে ঘরে থাকার পরামর্শ অব্যাহত রাখা হয়েছে। রাজশাহীবাসী প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকছে। এখানে এখনও পর্যন্ত কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।

   

বাস উঠল রেললাইনে, পুলিশের চেষ্টায় রক্ষা পেল হাজারো যাত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল লাইনে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়। এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ ও হৃদয় ইসলামসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারো যাত্রী। 

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষ বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ কন্টোলরুম বা রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চমগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।

এসআই টিটু আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যথাসময়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদ স্পেশাল-৯ নামের একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও বিকল্প আরও তিনটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।

স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে বিশেষ ট্রেনটি ছেড়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকট শব্দে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তবে বিকল্প আরও তিনটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

যথাসময়ে বিকল্প লাইন দিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ট্রেনটি উদ্ধার করতে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী দল।

লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধারের বিষয়ে চকরিয়ার স্টেশন মাস্টার এস এম ফরহাদ জানান, ইঞ্জিন ট্যুল ভ্যান কাছাকাছি চলে এসেছে। এটার উপর নির্ভর করছে কতক্ষণে সেকশন ক্লিয়ার হবে। তবে আশা করছি বিকেলের আগেই এই লাইনটিও স্বাভাবিক হবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের বোদা—দেবীগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন পথচারী নারীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চার জন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কলাপাড়া নামক স্থানে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন বোদা পৌরসভার সদ্দার পাড়া গ্রামের সাফিরের স্ত্রী পথচারী নুরজাহান (৬০) ও একই উপজেলার মাজগ্রাম এলাকার মানিক ইসলামের ছেলে জাহিদ ইসলাম (২৫)।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, দেবীগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়গামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক ও বিপরীতমূখী একটি দ্রুতগামী ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এসময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একজন পথচারী নারীকে গাড়িগুলো চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। একই সময় মারা যায় ট্রলির চালক জাহিদ। এদিকে স্থানীয়দের সহায়তায় উভয় গাড়ির আহতের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করছে দেশবাসী। তাই বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন কুষ্টিয়ার মুসল্লিরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করেন মুসল্লিরা।

এতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

নামাজ ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন।

মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন বলেন, মানুষের পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইসতিসকার নামাজ তিন দিন আদায় করা সুন্নত।

প্রসঙ্গত, কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে উঠছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল ।

নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। তবে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;