বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন ঢাকা থেকে শেবাচিম হাসপাতালে পৌঁছায়।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পিসিআর মেশিনটি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের দোতলায় ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপন করা হবে।
মেশিনের পৌঁছানোর বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মো বাকির হোসেন জানান, শেবাচিম হাসপাতালে করোনা শনাক্তকরণ মেশিনটি এসে পৌঁছেছে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা মিলে মেশিনটি স্থাপন করার জায়গা নির্ধারণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার এসে মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু করলে আশা করি ৮/১০ দিনের মধ্যেই করোনা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
বগুড়ায় দুইটি হত্যাসহ তিন মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সদর উপজেলার ফাঁপোড় কৈচর পূর্বপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়ার ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী হাসান ফাঁপোড় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
ডিবি পুলিশের ইনচার্জ জানান, ফাঁপোড় ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের নামে দুইটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে ডিবি জানতে পারে মেহেদী হাসান নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়৷
গ্রেফতার পর তিনি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
শীতকাল মানেই যেন মা-দাদীদের হাতের বিভিন্ন স্বাদ ও নকশার পিঠা আর সেই পিঠাগুলোর পেছনে ইতিহাসের গল্প শোনা। অথবা ধোঁয়া ওঠা গরম ভাপা পিঠা কিংবা চিতই পিঠার সঙ্গে মাংসের ঝোল দিয়ে মজাদার নাস্তা। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বালুবাগানে পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সর্বসাধারণ ও পথ শিশুদের মাঝে পিঠা বিনিময় করে এই উৎসবের কার্যক্রম শেষ হয়। এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে রুট অফ লাইফ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীত অনুভূত হচ্ছে। আর শীতকাল মানেই পিঠা-পুলির আয়োজন। শীতের আমেজকে আরও বাড়িয়ে তুলতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে।
রুট অফ লাইফ’র প্রধান উপদেষ্টা ডা. মাহফুজ রায়হান বলেন, দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করে পথ এগিয়ে চলা আমাদের। তারই অংশ হিসেবে শীতের শুরুর দিকে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। আমরা নিজেরাও এই পিঠা খাব। একই সঙ্গে হাসপাতাল ও এলাকার পথ শিশুদের মাঝেও পিঠাগুলো বিতরণ করা হবে।
মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কমের গাজীপুর প্রতিনিধি আশিকুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বড়ইবাড়ী এলাকার বাসিন্দা কলিম উদ্দিনের ছেলে বিপ্লব হোসেন।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে কালিয়াকৈর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আশিকুর রহমান।
অভিযোগে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের আষাড়িয়াবাড়ী এলাকায় একটি ইট ভাটায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, চাঁদা দাবি, রাস্তা আটকে দেওয়াসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন তিনি। এসব ঘটনায় সাংবাদিক আশিকুর রহমানকে ব্যবহার করার জন্য একাধিকবার বিভিন্ন প্রলোভন দেখান অভিযুক্ত বিপ্লব। তবে এসব প্রলোভন রাজি না হয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের গ্রাম্য সিদ্ধান্তের পক্ষে থাকায় সাংবাদিক পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ হন কথিত ওই নেতা৷
এ ঘটনার জেরে বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সফিপুর-আড়ইবাড়ী সড়কের বাশতলী এলাকায় এসে আশিকুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তুরাগ এন্টারপ্রাইজের সামনে গিয়ে তার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর কিছুক্ষণ পর আশিকুর রহমান পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত বিপ্লবের সাথে দেখা হলে সে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তার দুই হাত ভেঙে দেওয়া ও তার গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্ত বিপ্লব।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের সময়ে দলের নেতাদের পকেট ভারী করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাটির ব্যবসাসহ অবৈধ কাজে জড়িত ছিলেন অভিযুক্ত বিপ্লব। তবে গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ খোলস পাল্টে বিএনপির বড় নেতা পরিচয়ে এলাকায় চলাচলের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে বিক্রি, পুকুর খনন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাধা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বিপ্লবের মুঠোফোনে কল করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসব কিছু করিনি। কীসের অভিযোগ, আমাকে অভিযোগের কপি পাঠান।
কালিয়াকৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলমান।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক আশিকুর রহমান মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম -এর গাজীপুর জেলা করেসপন্ডেন্ট ও কালিয়াকৈর উপজেলা প্রেসক্লাবের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
নীলফামারীতে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্চিতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু আল হাজ্জাজ। এদিকে এ ঘটনার বিচার দাবি করে সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের।
আসামিরা হলেন- রোগী তানহার (১৪) বাবা শামীম শাহ আলম তমু ও চাচা আব্দুস সালাম বাবলা। শামীম শাহ আলম তমু সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও আব্দুস সালাম বাবলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে নীলফামারী জেনারেল হাসাপাতালে তানহা (১৪) নামের এক কিশোরীকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাকে রাখা হয় মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে। এরপর রোগীর বাবা শামীম শাহ আলম তমু ও আব্দুস সালাম বাবলা সোয়া চারটার দিকে মেডিসিন বিভাগের ইন্টার্ন কক্ষে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পার কাছে রোগী তানহার ভর্তি ফাইল দিয়ে বলেন মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে গিয়ে তার রোগী দেখে আসতে। চিকিৎসক ফাইলে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তির বিষয়টি দেখতে পেয়ে শিশু বিভাগের ইন্টার্ন কক্ষে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। এতে চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পার ওপর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আগ্রাসী আচরণ এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের গায়ে হাত তুলেন এবং সাধারণ জখম করেন। সে সময় তারা ইন্টার্ন কক্ষে ঢুকে মূল্যবান আসবাবপত্র ও একটি কম্পিউটার ভাঙচুর করেন। এসময় চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই ভিডিও ধারণ ও তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে চলে যান তারা।
বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে ছুটে আসেন অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এরপর সেদিন সন্ধ্যা থেকে ওই ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন তারা। গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকে।
এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমরুল কায়েস বলেন, আমাদের সহকর্মী সুরাইয়া জান্নাত শম্পাকে শারিরীক ও মানুষিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে। সে বর্তমানে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজকে (বৃহস্পতিবার) মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যহাত থাকবে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু আল হাজ্জাজ বলেন, যে দুস্কৃতিকারীরা রোগীর সঙ্গে এসেছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের শাস্তির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেন আবেদন করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনগত যথাযথ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটার সুবিচার হবে আশা করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা শিগগিরই তাদের কাজে যোগদান করবেন।’
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, গত পরশুদিন বিকালে (মঙ্গলবার) হাসপাতালে একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজকে একটি এজাহার দিয়েছে। সে এজাহারের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা তৎপর আছি।