সমুদ্র মোহনার দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর পানির তলায়  

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান


রফিকুল ইসলাম মন্টু, স্পেশালিস্ট রাইটার বার্তা২৪.কম ঢাকা
পানিতে ডুবে আছে ঢালচর

পানিতে ডুবে আছে ঢালচর

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭০ সালের প্রলয়ের স্মৃতি উসকে দিয়ে সমুদ্র মোহনার দ্বীপ ঢালচরকে আছড়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। দিবসের প্রথম জোয়ারে দ্বীপটি পানির তলায় ডুবেছিল। সে পানি না সরতেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় জোয়ার। সেখানে অবস্থানরত পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন। ছোট আকারের তিনটি পাকা দালান সেখানে থাকলেও তাতে হাজারখানেক লোকের বেশি আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগেরদিন বেশকিছু লোক সরিয়ে আনা হলেও অবস্থানকারীরা বিপদে রয়েছেন।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার এই দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর সমুদ্র মোহনায় অবস্থিত। এর তিন দিকে মেঘনা নদী এবং দক্ষিণে সমুদ্র। ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল দ্বীপটি। ভাঙনের মুখে থাকা এই দ্বীপের চারিদিকে নেই কোন বেড়িবাঁধ নেই। ফলে স্বাভাবিক জোয়ারেও ঝুঁকির মুখে থাকে দ্বীপটি।   

ঢালচরের বাসিন্দা এম আবদুর রহমান বিশ্বাস জানান, আম্পানের প্রভাবে ঢালচরের নদীতে পানি বেড়েছে। প্রবল বাতাস বইছে। দিনের প্রথম জোয়ারে দ্বীপের প্রাণকেন্দ্র হাওলাদার বাজার পানিতে ডুবে যায়। এখানকার সকল দোকানপাট পানিতে ডুবে যায়। মালামাল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে যায়। উঁচু এলাকার মাত্র কয়েকটি বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে পারেনি। সেখানকার মানুষেরা এখন চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে জোয়ারের পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে।

পানি ঢুকেছে ঘরবাড়িতে

ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বর্তমানে ঢালচরে অবস্থান করছেন। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে থাকতে আহবান জানিয়েছেন তিনি। আলাপ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান আবদুল সালাম হাওলাদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর। এখানকার মানুষদের মূল ভূখণ্ডে সরিয়ে নিতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। অনেক মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে; কিন্তু পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ এখনও রয়ে গেছে দ্বীপে। এখানে যারা রয়েছে; তাদের ভরসা আল্লাহ। এই রকম বিপদে আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আম্পানকে কেন্দ্র করে আমরা খুবই ঝুঁকিতে আছি।

সূত্র বলছে, গত কয়েক বছর ধরে দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর ক্রমাগত ভাঙনের মুখে রয়েছে। প্রায় সারা বছরই ভেঙে চলেছে। বহু মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায়ও এ দ্বীপে বসবাসের অবস্থা নেই। ঘূর্ণিঝড় থেকে দ্বীপবাসীকে বাঁচাতে এখানে নির্মিত হয়েছিল বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র। কিন্তু একে একে একে সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র নদীর ভাঙনে হারিয়ে গেছে। এছাড়া আশ্রয় নেওয়ার মত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও ইউনিয়ন পরিষদের পাকা ভবনও নদীতে হারিয়ে গেছে। এখন আশ্রয় নেওয়ার মত পাকা দালান আছে মাত্র তিনটি- পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভবন, বন বিভাগের ভবন এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের একটি ভবন। এতে হাজার খানেক লোকও আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। 

বাজারের সড়ক পানির নিচে

ঢালচরের বাসিন্দা নুরুদ্দিন মাঝি আমাকে ফোনে জানালেন, পরিবারসহ তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। কিন্তু কেন মূল ভূখণ্ডের আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমার বাড়ি। এভানে আমার ট্রলার। এগুলো রক্ষা করতেই আমাকে এখানে থাকতে হয়েছে। নুরুদ্দিন মাঝির কথার সঙ্গে সুর মেলালেন আরও অনেকে। নিজেদের সম্পদ রক্ষার জন্যে এরা দ্বীপ ছেড়ে যায়নি। কেননা এই সম্পদ দিয়েই তারা বেঁচে আছেন।   

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পড়ে ঢালচরে ভেসে উঠছে ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি। সে বার ভেসে গিয়েছিল এ দ্বীপ। ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ন দ্বীপটিতে তখন কেবল জনবসতি শুরু হয়েছিল ষাটের দশকে। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন সেখানে ঘর বাঁধতে শুরু করে। অনেকে গরু মহিষ চড়াতে ওই চরে মৌসুমভিত্তিক অবস্থান করতেন। প্রলয়ংকরী ঝড়ের তোড়ে পানি বাড়তে থাকে। মানুষগুলো তখন অসহায় হয়ে পড়েন। একটিমাত্র দোতলা ভবনে আশ্রয় নেন কিছু মানুষ। বনজঙ্গলের কারণে দূরের মানুষেরা আশ্রয়ে আসতে না পেরে ভেসে যায় সকলেই। 

পানিতে ডুবে আছে ঢালচর

ঢালচরের একমাত্র পাকা ভবনে আশ্রয় নিয়ে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দা ইউসুফ আলী পাটোয়ারীর বয়স এখন ৬৬ বছর। ’৭০-এর ঘূর্ণিঝড়ে ছিলেন কিশোর। সেদিনের ভয়াল চিত্র তুলে ধরে তিনি জানালেন, সে প্রলয়ের কথা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। কীভাবে যে বেঁচে আছি আল্লাহই জানেন। ঘূর্ণিঝড়ের দু বছর আগে বড় ভাইয়ের সঙ্গে এই চরে আসি। ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিন দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবল বেগে বাতাস আসে, পানি বাড়তে থাকে। কিছু মানুষ পাকা ভবনে আশ্রয় নিতে পারলেও অনেকেই সে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। পাকা ভবনের বাইরে থাকা মানুষদের সকলেই ভেসে গেছে। শুধু মানুষ নয়, শত শত মহিষ, গরু পানির প্রবল তোড়ে ভেসে যায়। ঢালচরের বাসিন্দা ৯৫ বছর বয়সী আমিন উদ্দিন বলছিলেন, আমাদের তো আল্লায় বাঁচাই রাখছে।

চরফ্যাশনের কুলসুমবাগ গ্রামে ৭২ বছর বয়সী হাসান আহাম্মদের সঙ্গে আলাপকালে উঠে আসে ঢালচরের ভয়াল চিত্র। চরফ্যাশনে বাড়ি থাকলেও গবাদিপশু ও জমি দেখাশুনা করতে ঢালচরে থাকতেন হাচান আহাম্মদের বাবা মৌলভী মন্তাজ উদ্দিন, বড় ভাই হোচেন আহাম্মদ ও ছোটভাই নূর মোহাম্মদ। প্রবল ঝড়ের তোড়ে মহিষ-গরু, অন্যান্য সম্পদসহ তারা সকলেই ভেসে যায়। এদিকে হাসান আহাম্মেদ নিজেও পড়েছিলেন প্রবল ঝড়ে। পাঁচদিন পরে বাবা ভাইদের খোঁজে ঢালচরে যান হাসান। কাউকেই আর খুঁজে পাননি। ওখানে গিয়ে জানতে পারেন, অধিকাংশ মানুষ, গবাদিপশুসহ সবকিছু ভেসে গেছে।

এদিকে বাবা-ভাইদের হারিয়ে বিপাকে পড়েন হাসান আহম্মেদ। বড় ভাইয়ের স্ত্রী সুফিয়া বেগমের কিছুদিন আগেই বিয়ে হয়েছিল। স্বামী হারিয়ে তিনিও পাগলপ্রায়। বাবা এবং বড় ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে বয়সে পরিপক্ব না হলেও সংসারের দায়িত্ব নিতে হয় হাসানকেই। কিন্তু বড় ভাইয়ের স্ত্রী সুফিয়া বেগম কোথায় যাবেন! দুই পরিবারের সম্মতিতে তাকে বিয়ে করেন হাসান। এভাবেই নতুন করে শুরু হয় জীবন। হাসান-সুফিয়ার সংসার বয়ে চলে। শূন্য থেকে শুরু হওয়া জীবনে এসেছে সমৃদ্ধি। তবে সেই ভয়াল রাতের কথা এখনও ভুলতে পারেন না তারা।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঢালচরবাসীকে সেই স্মৃতি উসকে দিচ্ছে। একই সঙ্গে ঢালচরের মানুষদের এ ধরণের বিপদ থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে।

   

নতুন ঠিকানা পেল সড়কে মা হারানো শিশু জায়েদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
নতুন ঠিকানা পেল সড়কে মা হারানো শিশু জায়েদ

নতুন ঠিকানা পেল সড়কে মা হারানো শিশু জায়েদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়কে মা হারানো দেড় বছরের জায়েদ হাসানকে সচ্ছল নিঃসস্তান দম্পতির কাছে দত্তক দিয়েছে শিশু কল্যাণ বোর্ড।

সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই শিশুকে হস্তান্তর করা হয়।

জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব ও জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক আ. কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শিশু কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় শিশু জায়েদকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে ১০টি আবেদন জমা পড়ে। ওই সভায় আবেদনকারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দিক গুরুত্ব দিয়ে দুইটি আবেদন বিবেচনায় রাখা হয়। তবে, আদালতের নির্দেশনা থাকায় শিশু জায়েদকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। পরে আজ আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শিশুটিকে নিঃসন্তান সচ্ছল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়ে।

তিনি আরও বলেন, আদালত প্রথমে শিশুটিকে তার মামা রবিন মিয়ার কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে, তার মামা রবিন মিয়ার আর্থিক সংকট রয়েছে। তিনি একজন পিকআপ চালক। তার আরও তিনটি সন্তান রয়েছে। এ কারণে তিনি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জায়েদকে নিজের কাছে রাখতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সেই মর্মে ইতোমধ্যে তিনি লিখিত একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন। এরপর শিশু কল্যাণ বোর্ডের আহ্বানে দশটি পরিবার জায়েদকে দত্তক নিতে আবেদন করেছিল।

শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে শিশুটির মামা রবিন মিয়া বলেন, জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাই আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন।

সূত্রমতে, গত ৯ মে রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন জায়েদা খাতুন (৩০) ও তার দেড় বছর বয়সী শিশুপুত্র জায়েদ হাসান। সেখানে গত ১০ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জায়েদা। তবে তখনও জায়েদার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জায়েদার মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিছানায় দেড় বছরের স্বজনহীন অজ্ঞাত শিশুর কান্নাকাটি ও চিৎকারের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন খবর জানতে পেরে গত ১১ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নিহত জায়েদার ভাই রবিন মিয়া।

পরে রবিন মিয়া ওইদিন বোনের মরদেহ বুঝে পেলেও শিশুটি সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু হাসপাতালে এসে রবিন মিয়া শিশুটিকে লালন পালন করতে প্রথমে সম্মতি জানালেও পরে তিনি অসম্মতি জানান। এরপর জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে তরুণীকে বিয়ে, ডিভোর্স দেওয়ায় অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি জাহাজের খালাসী হিসেবে কর্মরত মো. আবুল কালাম শেখ নিজেকে জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে এক কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিদেশে থাকাকালে ইংরেজিতে কথাবার্তা বলে মুগ্ধ করে দেশে ফিরে নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য গোপন করে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেন।

পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রী সন্তানের কথা বলে তাদের সাথে একত্রে ঘর-সংসার করার জন্য ভিকটিমকে মারধর করাসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে ভিকটিম ডিভোর্স দিলে আসামি আবুল কালাম শেখ ভিকটিমের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেন। ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে নেমে প্রতারক আবুল কালামকে মংলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২০ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা আজাদ রহমান।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মোংলা থানার বাগেরহাট জেলার আরাজি মাকরঢোন গ্রামের মো. আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আবুল কালাম শেখ। সমুদ্রগামী জাহাজে খালাসী হিসেবে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন। তার দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকার পরও ফেসবুকে কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে মামলার বাদীকে বিয়ে করে খুলনা শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা স্বীকার করে সবাইকে নিয়ে একসাথে সংসার করার জন্যে দ্বিতীয় স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রী তার কথায় রাজি না হলে, আসামি ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।

ভিকটিম একপর্যায়ে আসামিকে ডিভোর্স দিয়ে ঢাকায় এসে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন। আসামি ভিকটিমের বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে সে বাসায় এসে ভিকটিমকে মারধর করে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। ভিকটিম এতে রাজি না হলে আবুল কালামের কাছে থাকা দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটকে আপলোড করে ছড়িয়ে দেন।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত লালবাগ থানাকে মামলা রুজু করার আদেশ দেন এবং সিআইডিকে মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় জড়িত আবুল কালামকে মংলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন ভালো আছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এখন ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি ছাত্রদের কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা জানান।

মন্ত্রী জানান, পাশের দেশ উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থানরত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে (বিসকেকে) যেতে বলা হয়েছে। তিনি স্থানীয় সময় বিকেলে বিসকেকে পৌঁছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে ক্যাম্পাস ভিজিট করবেন এবং কিরগিজ পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। একজন শিক্ষার্থীর দেশে ফেরার জন্য খোলা চিঠি দেওয়া প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো আবেদন করেননি।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওঙের ঢাকা সফরকালে মঙ্গলবার বিকেলে তার সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসীদের কল্যাণ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে বলে জানান মন্ত্রী।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;

রিটার্নিং কর্মকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কর্মকর্তা-প্রার্থীদের মেসেজ!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহে ভোটের আগের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুলের নামে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের মেসেজ করছে প্রতারক চক্র। মেসেজ করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তা করতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আরিফুল হক মৃদুল সদর, মুক্তাগাছা ও গৌরীপুর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সোমবার (২০ মে) সকাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের কাছে মেসেজ করছে প্রতারক চক্রটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আরিফুল হক মৃদুল।

তিনি বলেন, প্রতারক চক্রটি আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের নম্বরে মেসেজ করে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান আমাকে অবহিত করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে ও ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান বলেন, প্রতারক চক্রটি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে মুক্তাগাছা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মেসেজ করে। এছাড়াও উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রার্থীদের মেসেজ করে বলা হয়, এই নম্বর থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফোন করবেন এবং যেকোন সহায়তা চাইলে তা করতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এবিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান

;