দল থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে: কাদের

  আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল-২০১৯
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, অপকর্মকারীদের আওয়ামী লীগের পদ থেকে বাদ দিতে হবে। দল থেকে দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। দলের প্রতিটি পর্যায়ে এটি করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনের সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় মাঝে মাঝে বিশৃঙ্খলা হয়। আমাদের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কর্মী দলের জন্য কাজ করছে। শীতের অতিথি পাখিরা সুসময়ে আসবে, দু:সময় আর থাকবে না। সেই মরুভূমির অতিথি পাখিদের আমাদের দরকার নেই।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের মধ্যে দলকে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। দল যদি শক্তিশালী না হয়, সরকার কোনদিনও শক্তিশালী হবে না। শক্তিশালী শেখ হাসিনার সরকারের জন্য শক্তিশালী আওয়ামী লীগ অপরিহার্য। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে কর্মীদের বাঁচাতে হবে।

অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে একশন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে যারা মাদক ব্যবসা করে, লুটপাট করে, জমি দখল করে, টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার একশন শুরু হয়ে গেছে। একশন শুধু ঢাকায় নয় সারা বাংলাদেশে চলবে। কেউ যদি মনে করে একশন থেমে গেছে, না সেটি হয়নি। অপকর্ম যারা করেন তারা নজরদারিতে আছেন। কখন কে ধরা পড়বেন অপেক্ষা করুন।

আওয়ামী লীগ বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে না। আমাদের বিরুদ্ধে বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। আমাদের নেত্রীর ওপর বারবার হামলা চালানো হয়েছে। একুশে আগস্ট হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন। সেদিন যদি গ্রেনেড স্টেজে বিস্ফোরিত হতো আর শেখ হাসিনা যদি সেখানে থাকতেন তাহলে কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো, হত্যার বিচার হতো? পৃথিবীর কোথাও ছিটমহল হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি, সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন শেখ হাসিনা।