বিশ্ব কাঁপুক বিশ্বকাপে

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


কবির য়াহমদ
শুরু হচ্ছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’

শুরু হচ্ছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড ডকিন্সের একটা বই আছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। বইটি প্রাণির শরীরের কোষে কোষে লিখিত বিকাশের ইতিহাস, বংশগতি সম্পর্কে লিখিত। বইটি সম্পর্কে আমরা যতটা জানি তারচেয়ে বেশি জানি ফুটবল বিশ্বকাপকে। ফুটবল বিশ্বকাপের আবেদনের সঙ্গে এ বইয়ের নাম যেন মিলে গেছে, যদিও প্রসঙ্গ ভিন্ন স্বাভাবিকভাবেই।

বিশ্বকাপ ফুটবলকে আমরা দেখি ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ কিংবা বিশ্বনাগরিকের মেলবন্ধন হিসেবে। যদিও অলিম্পিক গেমসে এই শব্দেরও ব্যবহার আছে। অলিম্পিক গেমসের পাঁচ রিঙয়ে পাঁচ মহাদেশের এবং লাল, নিল, হলুদ, সবুজ ও কালো এই পাঁচ রঙ এমনভাবে নেওয়া আছে যেখানে বিশ্বের প্রতি দেশের পতাকায় যেন অন্তত কোন একটা রঙের দেখা মেলে। 

বিশ্বকাপ ফুটবল যেভাবে পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষদের নাড়িয়ে দেয়, আন্দোলিত করে, বেশিরভাগ মানুষের দৃষ্টি কেবল ফুটবলে নিবন্ধ করে সেটা আর কোন খেলায় হয় না। ফুটবলে প্রকৃতই বিশ্ব কাঁপে। নানা প্রান্তের মানুষদের সব চোখ একটা নির্দিষ্ট বস্তুতে নিবদ্ধ করতে বাধ্য করে! নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্ব না থাকা সত্ত্বেও এই সময়ে আমরা প্রত্যেকেই হয়ে যাই বিশ্বনাগরিক। কেবল বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ অন্তত বিশ্বকাপের মাসে হয়ে পড়ে একেকজন বিশ্বনাগরিক। শূন্য থেকে শুরু যে ফুটবলের সে ফুটবল আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের অন্যতম প্রধান মাধ্যম বিনোদনের, উৎসবের, উপভোগের।

এশিয়ার দেশ কাতারে বসছে এবার ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসর। এই ২২ আসরে এশিয়া মাত্র দুইবারই বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। প্রথমবার ২০০২ সালে এশিয়ার দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। এরবাইরে বাকি আয়োজনগুলোর সবটাই হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায়। আফ্রিকার কোন দেশের সে সুযোগ আসেনি এখনও।

ফিফার সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা ২১১। সদস্যসংখ্যার দিক থেকে এটা জাতিসংঘের চাইতেই বেশি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাইতে বেশি তো বটেই। ফিফা শক্তিশালী এক সংস্থা যেখানে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় নির্দিষ্ট কোন সদস্যরাষ্ট্র যতই শক্তিশালী হোক না কেন  ফুটবলে ফিফার শক্তি তাদের চেয়েও বেশি। এখানে যতই রাজনৈতিক এবং বিবিধ বিরোধ থাকুক না কেন প্রতি দেশকে অংশ নিতে হয়, সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যকার রাজনৈতিক বিরোধ, ফকল্যান্ড নিয়ে ইংল্যান্ড-আর্জেন্টিনা যতই বিরোধ থাকুক না কেন মাঠে ও মাঠের বাইরে এর উত্তাপ ছড়ালেও মাঠের প্রকাশে ফুটবলের নিয়মনীতির মধ্যেই থাকতে হয়।

ফুটবলের জন্মস্থান গ্রিস নাকি চীন এই বিতর্ক থামিয়ে শেষমেশ আধুনিক ফুটবলের জন্মস্থান ইংল্যান্ড বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমান ফুটবলের যে নিয়মকানুন এমনকি প্রতি দলে এগারো খেলোয়াড়ের ব্যবস্থা, একজন গোলরক্ষকের সিদ্ধান্ত, গোলপোস্ট, গোলপোস্টে জাল ব্যবহার, গোলপোস্টে ক্রসবার ব্যবহার, জার্সি নম্বর ব্যবহার, খেলার সময় নির্ধারণ, পেনাল্টি কিকের ব্যবহার এগুলো ধাপে ধাপে এসেছে। প্রথম স্বীকৃত ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ফিফা প্রতিষ্ঠার বহু আগে, যদিও প্রতিষ্ঠার পর ফিফা এটাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিফা প্রতিষ্ঠার চার বছর আগে ১৯০০ সালের অলিম্পিকে ফুটবলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও ওই খেলার জন্যে কোন পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল না; ছিল প্রদর্শনী ম্যাচ। প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজনের আট বছর পরের অলিম্পিকে ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক খেলার স্বীকৃতি দেয় অলিম্পিক। ফিফার বয়স তখন চার বছর; ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, সংক্ষেপিত রূপ এর ফিফা।

প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজন হয় ১৯৩০ সালে। স্বাগতিক ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে। পরের বিশ্বকাপগুলোর আয়োজন যথাক্রমে ইতালি (১৯৩৪), ফ্রান্স (১৯৩৮), ব্রাজিল (১৯৫০), সুইজারল্যান্ড (১৯৫৪), সুইডেন (১৯৫৮), চিলি (১৯৬২), ইংল্যান্ড (১৯৬৬), মেক্সিকো (১৯৭০), জার্মানি (১৯৭৪), আর্জেন্টিনা (১৯৭৮), স্পেন (১৯৮২), মেক্সিকো (১৯৮৬), ইতালি (১৯৯০), যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪), ফ্রান্স (১৯৯৮), দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান (২০০২), জার্মানি (২০০৬), দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১০), ব্রাজিল (২০১৪), রাশিয়া ২০১৮; এবং এবার কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে কেবল মেক্সিকো একাধিকবার বিশ্বকাপের আয়োজন করে। 

নভেম্বরের ২০ তারিখে কাতার ও ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের। ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে ২২তম আসরের। এত কাছে বিশ্বকাপ ফুটবল কিন্তু এখন পর্যন্ত নেই তেমন হাঁকডাক, উৎসব, আয়োজন। কী কারণ এর? আয়োজক দেশ কাতারের ব্যর্থতা, ফিফার উদাসিনতা, নাকি অন্য কিছু? ফিফা ফুটবলের বৃহৎ এই আয়োজন নিয়ে কখনই উদাসিন হয় না ফিফা, স্বাগতিক দেশ হিসেবে কাতারের উদাসিনতাও এখানে নেই। তবে কারণ অন্য, এবং এটা স্বাগতিকদেরই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসেবে কাতার এমনিতেই রক্ষণশীল, কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বহুজাতিক এই ফুটবল টুর্নামেন্টে যেখানে সারাবিশ্বের মানুষের চোখ থাকে সেখানে বিশ্বনাগরিকের চাওয়া মেটাতে পারছে না স্বাগতিক দেশ। এটা মূলত আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারা। সংকীর্ণতা, সংকীর্ণতা থেকে উদ্ভূত সীমাবদ্ধতা।

ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট সেফ ব্লাটার বলছেন, কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্তই ছিল ভুল। কখনও বিশ্বকাপ না খেলতে পারা ‘ছোট দেশ’ কাতারের ম্যাড়ম্যাড়ে আয়োজন দেখে হতাশার মন্তব্য তার। অভিবাসী শ্রমিকদের মৃত্যু ও তাদের প্রতি দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আছে কাতারের বিরুদ্ধে। ডেনমার্ক প্রতিবাদস্বরূপ জার্সিতে প্রতিবাদ আঁকতে চেয়েছিল, নেদারল্যান্ডস দল অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ার কথাও শুনছি আমরা। অংশগ্রহণকারী কয়েক দেশ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কাতারের মানবতাবিরোধী নানা আচরণের। বিশ্বকাপের আয়োজনে ফুটবলকে ছাপিয়ে এই আলোচনায় আসছে। এখানে ব্যর্থতা ভাসছে কাতারের। এগুলো উৎসবে রঙ ফিকে করে দিচ্ছে ক্রমশ।

বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্যে অঢেল অর্থের ব্যবহার করেছে কাতার। কিন্তু অর্থ ব্যয় ফুটবল অনুরাগীদের প্রত্যাশার সঙ্গে মিলছে না। টাকা দিয়ে কি সব হয়? ফুটবল যেখানে শিল্পবোধের সেখানে বেশ পিছিয়ে এখনও কাতার। অর্থ ব্যয় নন্দনের বিকল্প হয় না। এখানে শিল্পবোধের যে ব্যাপার জড়িত তার অভাব প্রকট হয়ে ওঠেছে। ফলে দুয়ারে বিশ্বকাপ, কিন্তু সেভাবে ঝড় এখনও ওঠছে না বিশ্বে।

তবে আমাদের প্রত্যাশা মাঠে বল মাঠে গড়ানোর ঠিক আগে এবং অথবা বল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে দৃশ্যপট, মরুর বুকে শিল্পী ছুটে রেখে যাবে চিহ্নের পর চিহ্ন; শিল্পচিহ্ন। মাতবে বিশ্ব ফুটবলে, কাঁপবে বিশ্ব ফুটবলে; বিশ্বকাপ ফুটবলে!

   

রোনালদো-বেকহ্যামদের ক্লাবে যাবে বাংলাদেশের ৩ কিশোর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বপ্ন সত্যি করার সুযোগ হাতছানি বাংলাদেশের ৩ কিশোরের সামনে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে যে ডাক পড়েছে তাদের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ‘ইউনাইটেড উই প্লে ২০২৪’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিশেষ অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন কিশোর  গাইবান্ধার রাহাত শেখ, জয়পুরহাটের পাপন রায় ও সিরাজগঞ্জের সাদমান অয়ন। আগামী জুন-জুলাইয়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে ইউনাইটেড উই প্লে’র দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেবেন তারা।

জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর ক্যাম্প শেষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে যাওয়ার সুযোগ পাবেন রাহাত-অয়নরা।  সেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলের ফুটবলার মার্কাস রাশফোর্ড, ব্রুনো ফার্নান্দেজদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে তাদের। এছাড়াও থিয়েটার অব ড্রিমস হিসেবে খ্যাত ওল্ড ট্রাফোর্ডে বসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচ উপভোগেরও সুযোগ পাবেন এই খুদে ফুটবলাররা।

বাংলাদেশের আগে ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে ইউনাইটেড উই প্লে প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হল এই প্রতিযোগিতা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সকার স্কুলের হেড অব কোচিং মাইকেল নিরি দেশের প্রায় ৫ শতাধিক খুদে ফুটবলারের মধ্য থেকে তিন প্রতিভাবানকে বেছে নেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অন্যতম বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষক অ্যাপোলো টায়ার্স। তাদের উদ্যোগেই ইউনাইটেড উই প্লে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরুর পর ব্যাপক সাড়া পায় আয়োজকরা। দুই দিনেই দেড় হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

এমএলএসের এপ্রিল মাসসেরা মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপের পাট চুকিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ লিগ, মেজর লিগ সকারে পাড়ি জমান লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্বের অন্যতম এই মহাতারকার দলে আসার পরই যেন বদলাতে শুরু করে ক্লাবটির ভাগ্য। মেসি আসার পরপরই তারা জেতে তাদের ক্লাব ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ)। 

ফ্লোরিডার ক্লাবটি এমএলএসের গত মৌসুম শেষ করেছিল তলানির দল হিসেবে। তবে চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছে তারা। মাঝে চোটের কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করার পর এপ্রিলে ক্লাবের হয়ে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এবার প্রথমবারের মতো হলেন মাসসেরা। 

লিগে মৌসুমের এই পর্যায়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মায়ামি। গত মাসের পুরো সময় অপরাজিত ছিল মায়ামি। চার ম্যাচে জিতেছে তিনটিতেই, ড্র একটি। এই চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১২ বার বল জড়িয়েছে মায়ামি। যার মধ্যে ১০ গোলেই সরাসরি অবদান মেসির। ৬টি করেছেন নিজে, ৪টিতে করেছেন অ্যাসিস্ট। এতেই এমএলএসের এপ্রিল মাসসেরার খেতাব জিতলেন সাবেক বার্সা ও পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড। 

এর আগে মার্চ মাসসেরার খেতাবও গিয়েছিল মায়ামির ঝুলিতে। সেবার এই খেতাব জিতেছিলেন মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। 

মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯টি গোল করেছেন মেসি। এতে আছেন মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে। 

 

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

৭ ছক্কা ও ৯ চারে সেঞ্চুরি তুলে থামলেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আগের ম্যাচেই ৪৯ রান করেছিলেন তিনি। এবার শতরান তুলে নিলেন সাকিব। বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেন সেরাদের সেরা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে আজ শুক্রবার সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

ছুটির দিনে বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৭৩ বলে সেঞ্চুরি তুলেন সাকিব। ৭ ছক্কা ও ৯ চারে সাকিব আউট হয়েছেন ৭৯ বলে ১০৭ রানে। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে প্রায় ৫ বছর পর শতক পেলেন এই তারকা ব্যাটার।

২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এবার লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এসে সেঞ্চুরি তুললেন। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি সাকিবের দশম সেঞ্চুরি।

এদিকে তার দল শেখ জামাল সুপার লিগের এই ম্যাচটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৮০ রান। 

মাঠের খেলায় ফিরলেও এখনই জাতীয় দলে ফিরছেন না সাকিব। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখানে শুরু তিন ম্যাচের দলে না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে দেখা মিলতে পারে এই তারকা অলরাউন্ডারের। 

ডিপিএলের এবারের মৌসুমে এ নিয়ে মোট পাঁচ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৬২ রান করেছেন সাকিব। যেখানে একটি সেঞ্চুরি ছাড়াও আছেন একটি ফিফটি পেরোনো ইনিংস। 

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও শেষ বলে হারল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু ওভার শেষে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোরকার্ডে ২ উইকেটে ১ রান! রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে দলটির দুই তারকা ব্যাটার জশ বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন। সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে রিয়ান পরাগ ও যশস্বী জয়সওয়ালের ১৩৪ রানের দারুণ জুটি। এমনকি ১৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৫৭ রানের। এতে শেষ ৩০ বলের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৫ রানের সহজ সমীকরণের। তবে শুরুর বড় ধাক্কা সামলে প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখেও শেষ পর্যন্ত হারের মুখ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। 

শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। বোলিং প্রান্তে শুরুর ওভার রাজস্থানকে পেস তোপে ভোগানো সেই ভুবনেশ্বর কুমার। তার ফুলার লেংথের বল সোজা রভম্যান পাওয়েলের প্যাডে। সেখানে লেগ বিফোরে জোরালো আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া এবং ১ রানের নাটকীয় জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। 

এই হারের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রাজস্থান। ১০ ম্যাচ এ নিয়ে স্রেফ ২ হারের পর তাদের পয়েন্ট ১৬। এদিকে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল হায়দররাবাদ। এতে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে তালিকার চারে।

নিজেদের মাঠে গতকালের ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০১ রান তোলে অরেঞ্জ আর্মি খ্যাত দলটি। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু ওভারেই ভুবনেশ্বরের পেস তোপের মুখে পড়ে রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ তারকা ব্যাটার জশ বাটলারকে ফেরানোর পর একই ওভারের পঞ্চম বলে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে বোল্ড করে ফেরেন এই ডানহাতি পেসার। ১ রানের স্কোরবোর্ডেই নেই ২ উইকেট। 

সেখান থেকে ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন জয়সওয়াল ও পরাগ। হায়দরাবাদের ফিল্ডারদের ব্যর্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৩৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন দুজন। শুরুতেই লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে দাঁড়ালেও এই দুই ব্যাটারের নৈপুণ্যে সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল রাজস্থান। 

তবে ১৪ বলের ব্যবধানে ২২ গজে থিতু হওয়া জয়সওয়াল ও পরাগ ফেরার পর জয়টাও যেন হাতছাড়া হয়ে যায় রাজস্থানের থেকে। ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কার দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান আসে পরাগের ব্যাটে। এদিকে ৪০ বলে ৬৭ রান করেন জয়সওয়াল। তাদের ফেরার পর শেষ চার ওভারে ৪২ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। হাতে তখনো ৬ উইকেট। তবে মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ বলে এসে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাজস্থানকে। সেই ইনিংসে হায়দরাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর, দুটি করে নেন কামিন্স ও নটরজন। 

এদিকে আগে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন-আপ খ্যাত হায়দরাবাদের শুরুটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। ৫ ওভার ১ বলে ৩৫ রানেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। এদিন ট্রাভিস হেড শেষ কয়েক ম্যাচে ব্যর্থতা ছাপিয়ে রানে ফিরলেও তা ছিল ধীরগতির। ৪৪ বলে করেন ৫৮ রান। নিতিশ রেড্ডীর ৪২ বলে অপরাজিত ৭৬ রান এবং শেষ দিকে হেন্রিখ ক্লাসেনের ১৯ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে দুইশ পেরোনো লক্ষ্যে পোঁছায় হায়দরাবাদ। 

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;