মিরোস্লাভ ক্লোসা থেকে রোনালদো-মেসিরা কত দূর?

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিরোস্লাভ ক্লোসা,  রোনালদো, মেসি

মিরোস্লাভ ক্লোসা, রোনালদো, মেসি

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মানির স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৬টি বিশ্বকাপ গোল তার। বিশ্বকাপে ক্লোসা ২৪ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ গোলদাতার অনন্য কীর্তি গড়েছেন।

এরআগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার রোনাল্ড লিমা, ফেনোমেনন বলে খ্যাতি ছিল যার। বিশ্বকাপে রোনাল্ডো লিমার গোলসংখ্যা ১৫। এছাড়া জার্মানির জার্ড মুলার ১৩ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল; ফ্রান্সের জাস্ট ফন্তেইন বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল, এবং তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ফুটবল-সম্রাট পেলে বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল।


পেলে থেকে শুরু করে মিরোস্লাভ ক্লোসার সকলেরই ফুটবল ক্যারিয়ারের গৌরবময় সমাপ্তি ঘটেছে। তাদের গড়া রেকর্ড ভাঙার সুযোগ এখন অন্যদের। এই সময়ে এই তালিকার আগেভাগে আছেন জার্মানির টমাস মুলার, উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেস, পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, ব্রাজিলের নেইমার জুনিয়র এবং আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। তারা কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়েছেন।

ক্লোসার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড আদৌ ভাঙবে, কবে ভাঙবে, কে হতে যাচ্ছেন নতুন রেকর্ডধারী— প্রশ্নগুলোর উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে তুলনামূলক বিচারে যে তালিকা করতে পারি সেখানে প্রথম নাম আসতে পারে টমাস মুলারের। জার্মান এ ফুটবলার কাতার বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপে গোল করেছেন ১০টি; ম্যাচ খেলেছেন ১৬টি। এরপর নাম আসতে পারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লুইস সুয়ারেসের। এই দুই ফুটবলারের নিজেদের নামের পাশে লিখা আছে ৭টি করে বিশ্বকাপ গোল। সুয়ারেস এই ৭ গোল করতে বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলেছেন ১৩টি, অন্যদিকে রোনালদো খেলেছেন ১৭ ম্যাচ।

কাতারে খেলতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে ৬ গোল করা ফুটবলার আছেন আরও তিনজন। হ্যারি কেইন, নেইমার জুনিয়র ও লিওনেল মেসি। ৬ গোল করতে কেইনের লেগেছে মাত্র ৬ ম্যাচ, ম্যাচপ্রতি একটি করে গোল তার। অন্যদিকে নেইমার ১০ ম্যাচ খেলে করেছেন সমসংখ্যক গোল, আর লিওনেল মেসির ৬ গোল করতে ম্যাচ লেগেছে ১৯টি।


টমাস মুলার

জার্মানি ২৩ নভেম্বর গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে জাপানের বিপক্ষে। এরপর স্পেনের বিপক্ষে ২৮ নভেম্বর এবং কোস্টা রিকার বিপক্ষে খেলবে তারা ডিসেম্বরের ২ তারিখে। বড় আসরে জার্মানি তাদের সেরা খেলাটাই খেলে বলে মনে করা হয়ে থাকে। তাদের বিশ্বকাপ রেকর্ড সে কথাই বলে। ব্রাজিলের পর জার্মানিই বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দল। ক্লাব ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে আলো ছড়ানো টমাস মুলার বিশ্বকাপে তার সেরাটা দিতে পারলে কে জানে তিনিই হয়তো মিরোস্লাভ ক্লোসার রেকর্ডের আরও কাছে কিংবা রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ডের মালিক হয়েও যেতে পারেন।

জার্মানির হয়ে এ পর্যন্ত মুলার ১১৮ ম্যাচে করেছেন ৪৪ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ৯৯ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ৫ বার; লালকার্ড দেখেননি একবারও।


লুইস সুয়ারেস

লুইস সুয়ারেস বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭ গোল করা ফুটবলার। উরুগুয়ের হয়ে এ পর্যন্ত সুয়ারেস ১৩৪ ম্যাচে করেছেন ৬৭ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ১২৬ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ১৮ বার; লালকার্ড দেখেছেন ২ বার।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে উরুগুয়ের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল ও ঘানা। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২৪ নভেম্বর, ২৯ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর।


ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ফুটবলার ধরা হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন-গড়েছেন এই পর্তুগিজ। জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড রোনালদোর। গত বছর ভেঙেছেন তিনি ইরানের আলী দাইয়ির ১০৯ গোলের রেকর্ড। বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে রোনালদোর নামের পাশে ১৯১ ম্যাচে ১১৭ আন্তর্জাতিক গোল। জাতীয় দলের হয়ে তিনি শুরুর একাদশে ছিলেন ১৭৮ ম্যাচ; ২৬ বার দেখেছেন হলুদকার্ড, একবারও দেখেননি লালকার্ড।

ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৮ শতাধিক গোলের একমাত্র রেকর্ডধারীও তিনি। পাঁচবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী এই ফুটবলার ২০০৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ মঞ্চে খেলেছেন চারবার। প্রতি বিশ্বকাপে গোল করা ফুটবলারও তিনি।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে পর্তুগালের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে ঘানা, উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২৪ নভেম্বর, ২৯ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর।

ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারলে খেলার সুযোগ হবে ৭ ম্যাচের। এই ম্যাচগুলো থেকে ক্লোসার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙার পর্যায়ে কি যেতে পারবেন তিনি, প্রশ্ন বটেই! তবে সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই রোনালদো। জাতীয় দলের পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এবার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না তিনি। পর্তুগালের হয়ে জিতেছেন তিনি উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা। নামটা রোনালদো বলেই সাম্প্রতিক ফর্মকে বিবেচনায় না দিয়ে তার শেষ দেখা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে বড় আসরে জ্বলে ওঠার অনেক উদাহরণ আছে তার!


হ্যারি কেইন

ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের অন্যতম ফুটবলার হ্যারি কেইন। বিশ্বকাপ মঞ্চে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি ঠিক, কিন্তু তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ছয়-ছয়টি গোল। কেইন প্রিমিয়ার লিগের টটেনহাম হটস্প্যারে খেলে থাকেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে এ পর্যন্ত হ্যারি কেইন ৭৫ ম্যাচে করেছেন ৫১ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ৬৪ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ২ বার; লালকার্ড দেখেননি একবারও।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলস। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২১, ২৬ ও ৩০ নভেম্বর। 


নেইমার জুনিয়র

ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের মিশন মূলত আবর্তিত হচ্ছে নেইমার জুনিয়রকে ঘিরে। নেইমার নিজেও বলছেন এই বিশ্বকাপটাই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ তার। শেষটা তিনি রাঙাতে চান রঙিন করে। ২০০২ সালে ব্রাজিল সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল এশিয়া থেকে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত হয়েছিল সে বিশ্বকাপ। সে বার ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রোনাল্ডো লিমা। ব্রাজিল সমর্থকদের বিশ্বাস নেইমার এবার রোনাল্ডোর মতো কিছু একটা করে দেখাবেন।

২০১৪ সালে নিজেদের দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপে যে ম্যাচে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে নাস্তানাবুদ হয়েছিল ব্রাজিল সে ম্যাচ খেলতে পারেননি নেইমার। আগের ম্যাচে কলম্বিয়ার জুনিগার কড়া ট্যাকলে শিরদাঁড়ার হাড় ভেঙে যায় তার। হাসপাতালে শুয়ে থেকে দেখেছিলেন দলের করুণ পরাজয়। বড় আসরে আগে ইনজুরির সঙ্গে সখ্য জমে তার। তবে এবার ইনজুরিমুক্ত তিনি। আছেন ভালো ফর্মেও। 

নেইমার জুনিয়র খেলেন ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। ব্রাজিলের হয়ে এ পর্যন্ত নেইমার ১২২ ম্যাচে করেছেন ৭৫ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ১১৭ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ২৯ বার; লালকার্ড দেখেছেন  একবার।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষরা হচ্ছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২৫ নভেম্বর, ২৮ নভেম্বর ও ৩ ডিসেম্বর।


লিওনেল মেসি

সাতবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী লিওনেল মেসি এবার তার দেশের বিশ্বকাপ খরা কাটাতে মরিয়া। ফর্মেও আছেন তিনি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলে ৬ গোল করেছেন তিনি। মিরোস্লাভ ক্লোসার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড তার থেকে অনেক দূরে হলেও মেসির মানের ফুটবলার নিজের সেরা ফর্মে থাকলে ফুটবলে আপাত অসম্ভব অনেক কিছুও সম্ভব হয়ে যেতে পারে।

ক্লাব ও জাতীয় দল দুই জায়গাতেই সফল লিওনেল মেসি। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৬৫ ম্যাচে করেছেন ৯০ গোল। শুরুর একাদশে ছিলেন তিনি ১৪৯ বার। জাতীয় দলে এ পর্যন্ত হলুদকার্ড দেখেছেন তিনি ৮ বার; লালকার্ড দেখেছেন ২ বার।

মেসির বর্তমান ক্লাব ফ্রান্সের পিএসজি। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর প্রথম মৌসুম বাজে ভাবে কাটলেও এ মৌসুমে ভালো ফর্মে আছেন তিনি। আর্জেন্টিনার পুরো দল তাকিয়ে আছে মেসির দিকে। ফুটবলবোদ্ধাদের কাছে অনেকদিনের রহস্য ছিল জাতীয় দলের হয়ে মেসির কোন শিরোপা না জেতা। এই খরা কাটিয়েছেন তিনি সবশেষ কোপা আমেরিকায়। দক্ষিণ আমেরিকাভিত্তিক ওই টুর্নামেন্ট আর্জেন্টিনা জিতেছে মেসির নৈপুণ্যে।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষরা হচ্ছে সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২২ নভেম্বর, ২৭ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর।

 

   

রোনালদো-বেকহ্যামদের ক্লাবে যাবে বাংলাদেশের ৩ কিশোর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বপ্ন সত্যি করার সুযোগ হাতছানি বাংলাদেশের ৩ কিশোরের সামনে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে যে ডাক পড়েছে তাদের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ‘ইউনাইটেড উই প্লে ২০২৪’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিশেষ অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন কিশোর  গাইবান্ধার রাহাত শেখ, জয়পুরহাটের পাপন রায় ও সিরাজগঞ্জের সাদমান অয়ন। আগামী জুন-জুলাইয়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে ইউনাইটেড উই প্লে’র দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেবেন তারা।

জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর ক্যাম্প শেষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে যাওয়ার সুযোগ পাবেন রাহাত-অয়নরা।  সেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলের ফুটবলার মার্কাস রাশফোর্ড, ব্রুনো ফার্নান্দেজদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে তাদের। এছাড়াও থিয়েটার অব ড্রিমস হিসেবে খ্যাত ওল্ড ট্রাফোর্ডে বসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচ উপভোগেরও সুযোগ পাবেন এই খুদে ফুটবলাররা।

বাংলাদেশের আগে ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে ইউনাইটেড উই প্লে প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হল এই প্রতিযোগিতা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সকার স্কুলের হেড অব কোচিং মাইকেল নিরি দেশের প্রায় ৫ শতাধিক খুদে ফুটবলারের মধ্য থেকে তিন প্রতিভাবানকে বেছে নেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অন্যতম বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষক অ্যাপোলো টায়ার্স। তাদের উদ্যোগেই ইউনাইটেড উই প্লে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরুর পর ব্যাপক সাড়া পায় আয়োজকরা। দুই দিনেই দেড় হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

এমএলএসের এপ্রিল মাসসেরা মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপের পাট চুকিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ লিগ, মেজর লিগ সকারে পাড়ি জমান লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্বের অন্যতম এই মহাতারকার দলে আসার পরই যেন বদলাতে শুরু করে ক্লাবটির ভাগ্য। মেসি আসার পরপরই তারা জেতে তাদের ক্লাব ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ)। 

ফ্লোরিডার ক্লাবটি এমএলএসের গত মৌসুম শেষ করেছিল তলানির দল হিসেবে। তবে চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছে তারা। মাঝে চোটের কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করার পর এপ্রিলে ক্লাবের হয়ে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এবার প্রথমবারের মতো হলেন মাসসেরা। 

লিগে মৌসুমের এই পর্যায়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মায়ামি। গত মাসের পুরো সময় অপরাজিত ছিল মায়ামি। চার ম্যাচে জিতেছে তিনটিতেই, ড্র একটি। এই চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১২ বার বল জড়িয়েছে মায়ামি। যার মধ্যে ১০ গোলেই সরাসরি অবদান মেসির। ৬টি করেছেন নিজে, ৪টিতে করেছেন অ্যাসিস্ট। এতেই এমএলএসের এপ্রিল মাসসেরার খেতাব জিতলেন সাবেক বার্সা ও পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড। 

এর আগে মার্চ মাসসেরার খেতাবও গিয়েছিল মায়ামির ঝুলিতে। সেবার এই খেতাব জিতেছিলেন মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। 

মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯টি গোল করেছেন মেসি। এতে আছেন মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে। 

 

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

৭ ছক্কা ও ৯ চারে সেঞ্চুরি তুলে থামলেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আগের ম্যাচেই ৪৯ রান করেছিলেন তিনি। এবার শতরান তুলে নিলেন সাকিব। বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেন সেরাদের সেরা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে আজ শুক্রবার সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

ছুটির দিনে বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৭৩ বলে সেঞ্চুরি তুলেন সাকিব। ৭ ছক্কা ও ৯ চারে সাকিব আউট হয়েছেন ৭৯ বলে ১০৭ রানে। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে প্রায় ৫ বছর পর শতক পেলেন এই তারকা ব্যাটার।

২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এবার লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এসে সেঞ্চুরি তুললেন। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি সাকিবের দশম সেঞ্চুরি।

এদিকে তার দল শেখ জামাল সুপার লিগের এই ম্যাচটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৮০ রান। 

মাঠের খেলায় ফিরলেও এখনই জাতীয় দলে ফিরছেন না সাকিব। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখানে শুরু তিন ম্যাচের দলে না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে দেখা মিলতে পারে এই তারকা অলরাউন্ডারের। 

ডিপিএলের এবারের মৌসুমে এ নিয়ে মোট পাঁচ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৬২ রান করেছেন সাকিব। যেখানে একটি সেঞ্চুরি ছাড়াও আছেন একটি ফিফটি পেরোনো ইনিংস। 

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও শেষ বলে হারল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু ওভার শেষে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোরকার্ডে ২ উইকেটে ১ রান! রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে দলটির দুই তারকা ব্যাটার জশ বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন। সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে রিয়ান পরাগ ও যশস্বী জয়সওয়ালের ১৩৪ রানের দারুণ জুটি। এমনকি ১৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৫৭ রানের। এতে শেষ ৩০ বলের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৫ রানের সহজ সমীকরণের। তবে শুরুর বড় ধাক্কা সামলে প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখেও শেষ পর্যন্ত হারের মুখ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। 

শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। বোলিং প্রান্তে শুরুর ওভার রাজস্থানকে পেস তোপে ভোগানো সেই ভুবনেশ্বর কুমার। তার ফুলার লেংথের বল সোজা রভম্যান পাওয়েলের প্যাডে। সেখানে লেগ বিফোরে জোরালো আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া এবং ১ রানের নাটকীয় জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। 

এই হারের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রাজস্থান। ১০ ম্যাচ এ নিয়ে স্রেফ ২ হারের পর তাদের পয়েন্ট ১৬। এদিকে টানা দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল হায়দররাবাদ। এতে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে তালিকার চারে।

নিজেদের মাঠে গতকালের ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০১ রান তোলে অরেঞ্জ আর্মি খ্যাত দলটি। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু ওভারেই ভুবনেশ্বরের পেস তোপের মুখে পড়ে রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ তারকা ব্যাটার জশ বাটলারকে ফেরানোর পর একই ওভারের পঞ্চম বলে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে বোল্ড করে ফেরেন এই ডানহাতি পেসার। ১ রানের স্কোরবোর্ডেই নেই ২ উইকেট। 

সেখান থেকে ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন জয়সওয়াল ও পরাগ। হায়দরাবাদের ফিল্ডারদের ব্যর্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৩৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন দুজন। শুরুতেই লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে দাঁড়ালেও এই দুই ব্যাটারের নৈপুণ্যে সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল রাজস্থান। 

তবে ১৪ বলের ব্যবধানে ২২ গজে থিতু হওয়া জয়সওয়াল ও পরাগ ফেরার পর জয়টাও যেন হাতছাড়া হয়ে যায় রাজস্থানের থেকে। ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কার দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান আসে পরাগের ব্যাটে। এদিকে ৪০ বলে ৬৭ রান করেন জয়সওয়াল। তাদের ফেরার পর শেষ চার ওভারে ৪২ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। হাতে তখনো ৬ উইকেট। তবে মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ বলে এসে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাজস্থানকে। সেই ইনিংসে হায়দরাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর, দুটি করে নেন কামিন্স ও নটরজন। 

এদিকে আগে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন-আপ খ্যাত হায়দরাবাদের শুরুটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। ৫ ওভার ১ বলে ৩৫ রানেই তারা হারিয়ে বসে ২ উইকেট। এদিন ট্রাভিস হেড শেষ কয়েক ম্যাচে ব্যর্থতা ছাপিয়ে রানে ফিরলেও তা ছিল ধীরগতির। ৪৪ বলে করেন ৫৮ রান। নিতিশ রেড্ডীর ৪২ বলে অপরাজিত ৭৬ রান এবং শেষ দিকে হেন্রিখ ক্লাসেনের ১৯ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে দুইশ পেরোনো লক্ষ্যে পোঁছায় হায়দরাবাদ। 

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;