নেদারল্যান্ডস-সেনেগাল: গ্রুপের দুই ফেবারিটের লড়াই
‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামছে ইউরোপের শক্তিশালী দল নেদারল্যান্ডস ও আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী সেনেগাল। ‘এ’ গ্রুপের এ দল দু’টিকে ফেবারিট ভাবা হচ্ছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি দেখাবে বিটিভি, টেন স্পোর্টস ও গাজী টিভি।
নেদারল্যান্ডস ও সেনেগালের দুই দলই তাদের আক্রমণভাগের দুই ভরসা মেমফিস ডিপাই ও সাদিও মানেকে হারিয়েছে। মেমফিস ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারছেন না, এদিকে একই কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সাদিও মানের।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডাচ কোচ লুই ফন গাল মেমফিসের অনুপস্থিতির তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘আমরা শুরুতে আমাদের সেরা স্কোরার এবং অ্যাসিস্টটেন্টকে মিস করব। সে এখনও টুর্নামেন্ট শুরুর করার মতো অবস্থানে নেই।’
বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডস তুরস্ক, নরওয়ে, মন্টিনিগ্রো, লাটভিয়া ও জিব্রাল্টারের সমন্বয়ে গঠিত ‘জি’ গ্রুপের সেরা দল হয়ে বিশ্বকাপে এসেছে। বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ১৮ গোলে অবদান ছিল মেমফিস ডিপাইয়ের। ১০ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৬ গোল।
মেমফিস ডিপাই না থাকলেও নেদারল্যান্ডের মূল ভরসা শক্তিশালী রক্ষণ ও মধ্যমাঠ। ২০১০ বিশ্বকাপে ফাইনাল, ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা নেদারল্যান্ডস বাছাইপর্বে খেলা ১০ ম্যাচে ৭ জয়, ২ ড্রয়ের বিপরীতে হেরেছে মাত্র ১টি ম্যাচ।
কেবল নেদারল্যান্ডসই নয়, সেনেগালও হারিয়েছে তাদের আক্রমণভাগের প্রধান অস্ত্র সাদিও মানেকে। এই নভেম্বরে জার্মান বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখ–ভের্ডার ব্রেমেন ম্যাচের ১৫ মিনিটের সময় হাঁটুর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মানে। তাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত আশাবাদী ছিলেন সেনেগালের কোচ আলিউ সিসে। প্রাথমিক দলেও রেখেছিলেন মানেকে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাড়তে বাধ্য হন। গত ফেব্রুয়ারিতে পেনাল্টি শুটআউটে মিসরকে পরাজিত করে প্রথমবার আফ্রিকান নেশনস কাপ জেতে সেনেগাল। দলের পক্ষে জয়সূচক পেনাল্টি শটটি নেন মানে। এছাড়া বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফে মানের পেনাল্টি গোলেই জয় পায় সেনেগাল।
সাদিও মানেকে না পেয়ে শক্তি হারিয়েছে ঠিক সেনেগাল, কিন্তু দলটিতে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা একাধিক ফুটবলার। কাতারে মাত্র তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা সেনেগাল এশিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে ২০০২ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। গত আসরে তারা অবশ্য বাদ পড়ে গ্রুপ পর্যায় থেকেই।
বিশ্বকাপে সেনেগাল এ পর্যন্ত ৮ ম্যাচের কোনোটিতেই গোলহীন ছিল না। দলটি ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিন ম্যাচের মধ্যে দুই জয়ের বিপরীতে ড্র করেছে একটি ম্যাচ, হারেনি একটিতেও।
এছাড়াও আগের দুইবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে আফ্রিকার দলটি। ২০০২ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে এবং ২০১৮ সালে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় সেনেগাল।
‘এ’ গ্রুপের অন্য দুই দল হচ্ছে স্বাগতিক কাতার ও লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশ ইকুয়েডর। রোববার উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক কাতারকে হারিয়েছে ইকুয়েডর। ইনার ভ্যালেন্সিয়ার জোড়া গোলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম স্বাগতিক কোন দেশ হারল অতিথি দলের কাছে।