চ্যাম্পিয়নদের মতোই শুরু ফ্রান্সের
‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’ম্যাচের বয়স তখন ৯ মিনিট, সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ফ্রান্সের জাল কাঁপাল অস্ট্রেলিয়া। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল। দিনের শুরুতে সৌদি আরবের আর্জেন্টিনা-বধের গল্পের সঙ্গে এখানেও হতাশার গল্প বুঝি লিখার অপেক্ষায়!
না, শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। অস্ট্রেলিয়া থামল ওখানেই। এরপর শুরু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। আক্রমণের পর আক্রমণ আছড়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার অর্ধে। গোলও করল তারা। ম্যাচ শেষে তাই চ্যাম্পিয়নদের জয় চ্যাম্পিয়নদের মতোই।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে কাতারের আল ওয়াকরার আল জানোব স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচের সমাপ্তি ঘটে ৪-১ গোলে। জয়ী দিদিয়ে দেশমের ফ্রান্স। ক্রেইগ গুডউইনের গোলে এগিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার জালে জোড়া গোল করেন ফ্রান্সের অলিভার জিরুদ, একটি করে গোল করেন আদ্রেঁয়া রাবিও ও কিলিয়ান এমবাপে।
গোলের শুরু ম্যাচের নবম মিনিটেই। অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি সুটার লম্বা পাসে বল পাঠালে দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ম্যাথু লেকি পাস দেন ক্রেইগ গুডউইনকে। সেই পাস ঠেকাতে গিয়ে ব্যর্থ হন লুকাস হার্নান্দেজ। বল পেয়ে প্রায় অরক্ষিত গুডউইন দুর্দান্ত শটে ফ্রান্সের জাল কাঁপান।
এক গোল খেয়ে যেন সম্বিৎ ফেরে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। সুযোগও আসে। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে লুকাস হার্নান্দেজের বদলে মাঠে নামা থিও হার্নান্দেজের দারুণ এক ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আদ্রেঁয়া রাবিও। এনিয়ে রাবিও সবশেষ খেলা তিন ম্যাচে দুই গোল করলেন, জাতীয় দলের হয়ে সবমিলিয়ে গোল তার তিনটি।
১-১ গোলে সমতায় থাকেনি ম্যাচ বেশিক্ষণ। পরের গোল আসে ম্যাচের এর পাঁচ মিনিটের মাথায়। এবার অ্যাসিস্টের ভূমিকায় সেই রাবিও। এমবাপের দুর্দান্ত এক ব্যাক হিল ফ্লিক থেকে বল পাওয়া রাবিও বল সামনে বাড়ালে অরক্ষিত গোলপোস্টে বলে ঠেলে দিয়ে উল্লাসে মাতেন অলিভার জিরুদ।
২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স। তৃতীয় গোল আসে ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে। গোলদাতা এবার কিলিয়ান এমবাপে। বাঁ-দিক থেকে এমবাপের কোনাকুনি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে অন্য পাশে বল ধরে ওসমান দেম্বেলে ক্রস বাড়ান ছয় গজ বক্সে। প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে লাফিয়ে হেড করেন এমবাপে, বল পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
এনিয়ে বিশ্বকাপে ৫ গোল হলো এমবাপের। শিরোপা জয়ের পথে গত বিশ্বকাপে তিনি ৪টি গোল করেছিলেন।
ম্যাচের ৭১তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে বাঁ-দিক দিয়ে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ক্রস বাড়ান বক্সে, বল পেয়ে হেডে স্কোরলাইন ৪-১ করেন জিরুদ। এরমাধ্যমে জাতীয় দলের হয়ে তার গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৫১-তে। এরমাধ্যমে ফ্রান্সের হয়ে থিয়েরি অঁরির পাশে নাম লিখালেন জিরুদ।
ডি-গ্রুপে ফ্রান্সের অপর দুই প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া। দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে তারা যথাক্রমে ২৬ ও ৩০ নভেম্বর।
এরআগে গ্রুপের অপর ম্যাচে ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে।