ঘরের মাটিতে ক্যারিবীয়দের স্বপ্নভঙ্গ, ১০ বছর পর সেমিতে প্রোটিয়ারা
ক্রিকেট কার্নিভালসবশেষ ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ আসরে সেমিতে খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি তিন আসরে আর সেমিতে উঠা হয়নি প্রোটিয়াদের। তবে পুরো এক দশক পর স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয়ে সেমিতে পৌঁছাল এইডেন মারক্রামের দলটি। ৩ উইকেটের এই জয়ে সুপার এইটের গ্রুপ ‘টু’-থেকে শেষ চারের টিকিট কাটল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই ম্যাচে যে দল জয় তুলে নিবে, ইংল্যান্ডের পাশাপাশি তারাই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করবে। হিসেবটা বেশ সহজই ছিল। যদিও এই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দুই ম্যাচ খেলে প্রোটিয়াদের পয়েন্ট ছিল ৪, উইন্ডিজদের ছিল ২। নেট রানরেটে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। সেই সুবাদে ইয়াচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হলেও সেমিতে জায়গা পেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু তা হতে দেয়নি মারক্রাম-ক্লাসেনরা।
এদিন টসে জিতে শুরুতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তৃতীয় বলেই গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার শাই হোপ। দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই প্রোটিয়া অধিনায়কের শিকার হন নিকোলাস পুরান। পরপর দুই ব্যাটার হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।
এরপর দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার কাইল মায়ার্স ও তাকে সঙ্গ দেন রস্টন চেস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৫২ রান আসে চেসের ব্যাট থেকেই। বাকি আর কেউই ব্যাট হাতে ঝলক দেখাতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ওয়েস্ত ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নামার আগেই বৃষ্টির দেখা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় খেলা কমিয়ে আনা হয় ১৭ ওভারে, যেখানে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য কমে হয় ১২৩ রান।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম এবং শেষ বলে দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে বেশ হিমশিম খেতে থাকেন মারক্রাম-স্টাবস-শামসিরা। তবে রানের গতি সচল থাকে তাদের।
খেলা গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত। যেখানে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন দলের শেষ ভরসা মার্কো ইয়ানসেন। ছক্কা মেরেই জয় তুলে নেন তিনি। মূলত ইনিংসের শেষভাগে মার্কো ইয়ানসেনের ১৪ বলে ২১ রানই প্রোটিয়াদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়।
এই জয়ের মাধ্যমে সুপার এইটের গ্রুপ ২-থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সঙ্গে সেমিতে পৌঁছেছে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ১৩৫/৮ (২০ ওভার); চেস ৫২, মায়ার্স ৩৫; শামসি ৩-২৭, রাবাদা ১-১১।
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ১২৪/৭ (১৬.১ ওভার); স্টাবস ২৯, ক্লাসেন ২২; চেস ৩-১২, রাসেল ২-১৯।।
ফলাফলঃ বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরাঃ তাবরিজ শামসি।