যেভাবে সেমির টিকিট পেতে পারে বাংলাদেশ
ক্রিকেট কার্নিভালসুপার এইটে টানা দুই ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশের আশাটা প্রায় শেষ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল, এখনো হচ্ছে। তবে আশাভঙ্গ হচ্ছে না টাইগার সমর্থকদের। নতুন করে আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। কিভাবে? চলুন জানা যাক।
রবিবার সকালে আফগানিস্তান হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। আর তাতেই বাংলাদেশের সামনে খুলে গেছে সুযোগের নতুন দুয়ার। অস্ট্রেলিয়ার এই হারের পর ভারত নিশ্চিতভাবেই জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে। অপরদিকে বাকি তিন দলের সেমিফাইনালের পথ হয়ে গেছে আরও দুর্গম। এই গ্রুপ থেকে শেষ চারের শেষ দল হয়ে যেতে হলে তিনটি দলের সামনে সমীকরণটা যেমন–
অস্ট্রেলিয়া–
অস্ট্রেলিয়াকে এখন ভারতের বিপক্ষে জিততে হবে। সেটা না হলেও চলবে, যদি অস্ট্রেলিয়া নিজেরা ভারতের কাছে ছোট ব্যবধানে হারে। আর বাংলাদেশ এদিকে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় ছোট ব্যবধানে।
জিতলেও আবার স্বস্তি নেই দলটার। কেন? যদি ওদিকে আফগানিস্তান জিতে যায় বিশাল ব্যবধানে! নিজেরা জিতলেও তাই আফগানদের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
আফগানিস্তান–
শেষ ম্যাচটা তাদের বাংলাদেশের বিপক্ষে। এই আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটা। ওই ম্যাচটা তাদেরও জিততে হবে। হেরে গেলেও ক্ষতি নেই। ভারত যদি অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। আর বাংলাদেশের কাছে তারা হারে ছোট ব্যবধানে, তাহলেই কেল্লাফতে, প্রথম বারের মতো সেমিফাইনালে খেলবে আফগানরা।
অস্ট্রেলিয়া যদি অন্য ম্যাচে জিতে যায়, তাহলেও একটা সুযোগ আছে আফগানিস্তানের। তবে তখন ব্যবধানটা বাড়াতে হবে আরও। যা মোটামুটি অসম্ভবের কাতারেই চলে যায়।
বাংলাদেশ–
সেমিফাইনালে যাওয়ার সবচেয়ে কঠিন সমীকরণটা বাংলাদেশের সামনেই। এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট পায়নি দলটা। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জিততেই হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।
শেষ চারের আশাটা তখনই বাস্তব হবে, যখন জয়টা আসবে সমীকরণ মিলিয়ে। আফগানিস্তানকে নিদেনপক্ষে ৫০ এর আশেপাশে রানে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। ওদিকে অস্ট্রেলিয়াকেও ভারত হারাতে হবে একই ব্যবধানে। তবেই সমীকরণ মিলিয়ে বাংলাদেশ যাবে সেমিফাইনালে। তা না হলে বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে।