এলপিএলে মুস্তাফিজদের ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে যা থাকছে আজ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিলে) মুস্তাফিজদের ডাম্বুলা সিক্সার্সের বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে জাফনা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে। 

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ

ডাম্বুলা সিক্সার্স-জাফনা কিংস 

বেলা ৩টা ৩০ মিনিট, টি স্পোর্টস

গল মার্ভেলস-কলম্বো স্ট্রাইকার্স

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস

উইম্বলডন

২য় রাউন্ড

বিকেল ৪টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১, ২

জিয়ার মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি: পাপন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিখ্যাত দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, 'বিখ্যাত দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান দেশের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দাবাড়ু ছিলেন। দেশের দাবার উন্নয়ন তথা গোটা ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।'

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা প্রদানে মরহুমের মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে কিছুক্ষণের মধ্যে যাবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জনাব নাজমুল হাসান পাপন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার। ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জেতেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে অক্টোবর ২০০৫ সালেই সর্বোচ্চ (২৫৭০) ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া।

;

পঞ্চাশেই চলে যাওয়া জিয়ার জীবনের গল্প



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দাবা দিয়েই পরিচিতি, যশ-খ্যাতি। দাবা খেলাটিই ছিল তার নেশা এবং পেশা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে, দাবাই তার পরিবার, দাবা ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তার দ্বিতীয় ঘর। সেই দাবার বোর্ডেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গ্র্যান্ডমাষ্টার জিয়াউর রহমান। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।

আজ জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৮ তম আসরে আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার রাজীবের বিপক্ষে ১২তম রাউন্ড খেলছিলেন জিয়া। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হঠাৎ মাথা ঘুরে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। সবাই তাকে ধরে রাজধানীর পল্টনের ফেডারেশন ভবন থেকে নিচে নামিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও তার পালস খুঁজে পাননি। আরও কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক কারণ হিসেবে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে জানা যায়।

তার স্ত্রী তাসমিন সুলতানা লাবণ্য, দেশ-বিদেশের সকল টুর্নামেন্টেই তিনি জিয়ার সঙ্গেই উপস্থিত থাকতেন। ভাল-মন্দ সকল সময়েই স্ত্রীকে পাশে পেয়েছেন জিয়া। আজ তার মৃত্যুর সময়ও হাসপাতালেই উপস্থিত ছিলেন লাবণ্য। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ জানার পর আঝোরে কাঁদতে থাকেন তিনি। কোনোভাবেই তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বোঝানো যাচ্ছিল না।

পঞ্চাশ বছর বয়সে অকাল মৃত্যু ঘটল বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের। তার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার পরিবার-পরিজনরা মেনে নিতে পারছেন না জিয়ার এই আকস্মিক মৃত্যু।

দাবাড়ু জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৭৪ সালের পহেলা মে। ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জেতেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে অক্টোবর ২০০৫ সালেই সর্বোচ্চ (২৫৭০) ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া।

জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জিতেছেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হন। সবশেষ হয়েছেন ২০১৮ সালে। এই টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নও তিনি। যেখানে অন্য চার গ্র্যান্ডমাস্টার সম্মিলিতভাবে জিতেছেন ১৬ বার।

দাবা খেলা যেন তার রক্তেই মিশে ছিল। তার বাবা পয়গাম উদ্দিনের হাত ধরেই তিনি দাবার জগতে এসেছিলেন। অর্জন করেছেন একাধিক সম্মাননা ও পুরষ্কার। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও একই পথে হেঁটেছেন। তিনিও হয়েছে ফিসে মাস্টার। যে দাবা খেলাকেই জীবনের প্রথম ও প্রধান ভালোবাসার জায়গায় রেখেছিলেন, সেই দাবা খেলার বোর্ডেই মৃত্যু হলো তার।

বয়সের হাফ-সেঞ্চুরি করা জিয়া নিঃসন্দেহে চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এবং সকল দাবাড়ুর আদর্শ হিসেবে। তার এমন আকশ্মিক মৃত্যুর খবরে শোকাহত বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গন। চোখের জল ফেলে সবাই একটাই কথা বলছেন, বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি, বড্ড দ্রুত চলে গেলেন জিয়া।

;

বুমরাহ'র প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই কোহলির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাতে কী করেননি জসপ্রীত বুমরাহ? ফাইনালের দিন ম্যাচটি তো হাত থেকে বেরই হয়ে যাচ্ছিল প্রায়, কিন্তু যেভাবে ইন্ডিয়ার হাতের মুঠোয় ম্যাচটি ফেরত আনলেন বুমরাহ তা অবিস্মরণীয়! তার সেই স্পেলটাই হয়ে থাকবে সাদা বলের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পেলগুলো একটা। আসরজুড়ে সব ম্যাচেই বুমরাহ রেখেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান।

বিশ্বকাপজয়ী দল দেশে ফেরার পর যে সংর্ধ্বনা পেয়েছে সেটা হয়ে থাকবে অবিস্মরণীয়। এমন আবেগঘণ মূহূর্তে বিরাট কোহলির মতো মহাতারকাও স্মরণ করিয়ে দিলেন বুমরাহ'র কৃতিত্ব।

'এই স্টেডিয়ামের সবার মতো আমরাও একটা পর্যায়ে ভেবেছিলাম, ফাইনাল আবারও ছুটে যাচ্ছে। তবে শেষ পাঁচ ওভারে যা ঘটেছে, সেটি সত্যিই বিশেষ কিছু। আমি আসলে সবাইকে বলব, এ টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলোয় বারবার এবং বারবার আমাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একজনকে বাহবা দিতে। ফাইনালে শেষ ৫ ওভারের দুটিতে বোলিং করে যা করেছে, সেটি দুর্দান্ত ছিল। জসপ্রীত বুমরাহ'র জন্য দয়া করে জোরে একটি হাততালি হোক।'

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে জসপ্রিত বুমরাহ রেখেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান। দলকে ফাইনালে জিতিয়েছেন, টুর্নামেটে ১৫ উইকেট নিয়েছেন, অবাক করা বিষয় বল করেছেন মাত্র ৪.১৭ ইকোনমিতে। গড় ছিলো মাত্র ৮.২৬। প্রতি ১১.৮৬ বলে নিয়েছেন একটা করে উইকেট; ইম্প্যাক্ট রেখেছেন সব জয়ে। তাইতো টুর্নামেন্ট সেরার রেসে থেকে, শেষ পর্যন্ত সেটাই হলেন এই পেসার।

;

দাবা খেলতে খেলতেই প্রাণ হারালেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২ তম রাউন্ডের খেলা। এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে তখন খেলছিলেন জিয়াউর রহমান। আজ (শুক্রবার) দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলাকালীন হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর। তারপরই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। খবরটি বার্তা২৪ কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক আরবিটার হারুনুর রশিদ।

হাসপাতালে নেওয়ার পর শুরুতেই ধারণা করা হয় যে হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি। খেলা চলাকালীনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকে শাহবাগের ইব্রাহিক কার্ডিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই মর্মান্তিক ঘটনার জন্ম হলো বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারান এই গ্রান্ডমাস্টার দাবাড়ু, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

ফেডারেশনের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, রাজীবের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মাথা ঘুরে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। সবাই তাকে ধরে রাজধানীর পল্টনের ফেডারেশন ভবন থেকে নিচে নামিয়ে নিয়ে আসে। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও ডাক্তাররা তার পালস খুঁজে পাননি। অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানানো হয় তার পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনদের।

হারুনুর রশিদ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘খেলতে খেলতে চেয়ার থেকে পড়ে যায় জিয়া। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু তার জ্ঞান ফেরাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত মৃত ঘোষণা করেন।’ তার মৃত্যুর সংবাদে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ, কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিবার-পরিজনরা। জিয়ার অকাল মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

দাবাড়ু জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৭৪ সালের পহেলা মে। ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জেতেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে অক্টোবর ২০০৫ সালেই সর্বোচ্চ (২৫৭০) ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া।

;