শীতকালেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকুক অটুট
শীতকালের শুরু থেকেই অসুস্থতার মাত্রা হুট করেই বেড়ে যায়।
শীতকালীন জ্বর, ঠাণ্ডার সমস্যা, সর্দি-কাশি যেন নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এমনটা হওয়ার কারণ হলো, শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সহজেই ভাইরাসের আক্রমণ ঘটে।
তাইতো এই আবহাওয়ায় প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করার মতো উপকারি ও পুষ্টিকর কিছু খাদ্য উপাদান। প্রতিদিনের খাদ্যাভাসের মাঝে উপকারি এই সকল খাবারের উপস্থিতি অসুস্থতার হার কমিয়ে দেবে অনেকটাই।
মুরগীর স্যুপ
ঠাণ্ডার সমস্যার ক্ষেত্রে অন্যান্য স্যুপের চাইতে মুরগীর স্যুপ সবচেয়ে বেশি উপকারি। গবেষণা থেকে দেখা গেছে বন্ধ নাসারন্ধ্রের সমস্যা ও প্যাথোজেনিক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সমস্যায় মুরগীর স্যুপ দ্রুত কাজ করে। এছাড়া স্যুপ পানে শরীরে পানিস্বল্পতা দূর হয় বলেও অসুস্থ হবার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা।
দই
নিয়মিত দই খাওয়ার বিষয়টিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ভালো ব্যাকটেরিয়া’ গ্রহণ করা। যা একইসাথে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ দইয়ে আরো থাকে ভিটামিন-ডি। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ্রিন টি
পলিফেনল ও প্ল্যান্ট অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় বেশ অনেকটা। গবেষণা সুপারিশ করে, গ্রিন টি থাকা ক্যাটেশিনস ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস মেরে ফেলতে কার্যকর। গরম পানিতে গ্রিন টির ব্যাগ চুবিয়ে এক-দুই মিনিট রেখে তুলে ফেলতে হবে। এর সঙ্গে মধু কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সর্বাধিক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আঁশসমৃদ্ধ খাবার
আঁশযুক্ত খাবারের নাম দেখে সম্ভবত একটু অবাক হচ্ছেন। কারন এটা মোটেও নতুন কিছু নয়। প্রতিদিনের খাদ্যভাসে আঁশযুক্ত বিভিন্ন ধরণের খাবার থাকা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে চেষ্টা করতে হবে অন্যান্য সময়ের চাইতে শীতকালে তুলনামূলক বেশি আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার জন্য। ‘ব্রেইন, বিহেভিয়ার এন্ড ইম্যুনিটি’ নামক জার্নাল জানায়, সল্যুবল ফাইবার তথা দ্রবণীয় আঁশ যেমন- সাইট্রাস ফল, মটরশুঁটি, গাজর, ওটস প্রভৃতি শরীরের অভ্যান্তরিন প্রদাহ কমায় ও প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে মিশিগান ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্রিস্টিনা শেরি জানান, ইন্সল্যুবল ফাইবার তথা অদ্রবণীয় আঁশ যেমন শস্যদানা সমৃদ্ধ খাদ্য, বাদাম ও পাতাযুক্ত সবজি শরীরকে সুস্থ ও নীরোগ রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ শীতকালীন সময়ে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় উভয় ধরণের আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত ২৫-৩৮ গ্রাম আঁশ গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: প্রতিদিন কফি পানে কী ঘটে শরীরে?
আরো পড়ুন: অ্যাসিডিটি বাড়ছে যে সকল কারণে