অসাধারণ অ্যালোভেরা!
শত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা অন্যতম জনপ্রিয় মেডিসিনাল প্রাকৃতিক উপাদান হলো অ্যালোভেরা। বিশেষ করে ত্বকের যেকোন ধরণের সমস্যা দূর করতে এই পাতার জেল সবচেয়ে বেশি কার্যকরি। এছাড়াও অ্যালো পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতাও লক্ষণীয়। অ্যালোভেরার পাতার জেল ফার্মাসিউটিক্যাল, কসমেটিক ও ফুড ইন্ডাস্ট্রির উপর দারুণ ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে ইতিমধ্যে।
ত্বক কিংবা চুলের যত্নে যেমন এই পাতাটি ব্যবহার করা যায়, ঠিক তেমনিভাবেই পাতার জেল বা নির্যাসটি পান করাও যায়। বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড তথা ভিটামিন সমূহ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কেন অসাধারণ বলা হচ্ছে সেটা জেনে নিন আজকের ফিচারটি থেকে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান
অ্যালোভেরা পাতার জেল থেকে সবচেয়ে পরিচিত ও উপকারি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যার নাম পলিফেনলস। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি মানবদেহে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা প্রতিরোধ করে।
কাটা ও পোড়ার ক্ষত দ্রুত সারায়
ত্বকের সমস্যায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করা হয় বহু আগে থেকেই। ত্বক ছিলে যাওয়া, কেটে যাওয়া, কিংবা ছোটখাটো পুড়ে যাওয়ার সমস্যায় অ্যালো জেলে দারুণ উপকারি ও কার্যকরি।
দাঁতের ক্ষত সারায়
টুথ ডিকে কিংবা দাঁতের ক্ষতরোগ সারাতে এবং দাঁতের মাড়ির সমস্যা কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যালোভেরার জেল। বিশেষত ওরাল ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা দারুণ কাজে আসে।
কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমায়
অ্যালোভেরা পাতার জেলে থাকা ল্যাটেক্স কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। অ্যালো জেলের স্টিকি অংশে থাকে এই ল্যাটেক্স। এর মাঝে আরো পাওয়া যায় অ্যালোইন ও বারবালন। যা খাদ্য ভালোভাবে পরিপাকে সাহায্য করে।
বলিরেখা প্রতিরোধ করে
নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমে যায় অনেকাংশে। কারণ প্রত্যেহ অ্যালোভেরা পাতার জেল ব্যবহারে ত্বকে কোলাজেন তৈরির মাত্রা এবং ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে বলে ত্বক সহজেই শুষ্ক হয় না।
রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
একটা সময়ে ডায়বেটিসের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের প্রচলন ছিল। কারণ অ্যালোভেরা পাতার জেল ইনস্যুলিন সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি করে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়বেটিসকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে সাহায্য করে। বিশেষত তাইপ-২ ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে অ্যালভেরা জেল বেশি উপকারি।
আরো পড়ুন: ঠাণ্ডার সমস্যায় যা খাওয়া প্রয়োজন
আরো পড়ুন: কেন খাবেন মুলা?