চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি তেল

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সবচেয়ে ঝামেলা হয় চুল নিয়ে। হয় খুশকিজনিত সমস্যা দেখা দিবে নয়তো চুল বেশি পড়বে। এর জন্য আবহাওয়াজনিত সমস্যা তো থাকেই, সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ দূষণের সমস্যাটিও। এর মাঝেও চুলকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার চেষ্টায় রাখতে পারেন ঘরে তৈরি স্পেজালাইজড তেল।

রিফ্রেশিং সাইট্রাস তেল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/07/1551957031201.jpg

বিজ্ঞাপন

এই তেলটি মূলত খুশকি দূর করার কাজে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে। যাদের খুশকিজনিত সমস্যাটি বেশি, তারা এই তেল ব্যবহার করে উপকৃত হবেন। তেলটি তৈরি জন্য প্রয়োজন হবে ১ টেবিল চামচ কমলালেবু কিংবা লেবুর খোসা গুঁড়া এবং ১০০ মিলি অলিভ অয়েল অথবা নারিকেল তেল।

তেল তৈরির পদ্ধতি

বিজ্ঞাপন

প্রথমেই ফলের খোসার গুঁড়া রোদের আলোতে শুকিয়ে নিতে হবে। ভিন্ন একটি পাত্রে তেল গরম করে এতে ফলের শুকনো গুঁড়া মেশাতে হবে। এরপর চুলার তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে যেন তেল ও খোসার গুঁড়া ভালোভাবে মিশ্রিত হতে পারে। কিছুক্ষণ পরে চুলার আঁচ কমিয়ে তেল নামিয়ে নিতে হবে। ব্যবহারের জন্য দুই টেবিল চামচ রেখে বাকি তেল মুখবন্ধ পাত্রে রেখে দিতে হবে।

ব্যবহারের জন্য তেলটি মাথার তালুতে ভালোভালে ম্যাসাজ করতে হবে পনের মিনিট সময় নিয়ে, যেহেতু খুশকি দূর করার জন্যেই তেলটি তৈরি করা হয়েছে। চুলে ৪৫ মিনিট তেল রেখে দেওয়ার পর শুধু পানিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

সপ্তাহে সাইট্রাস তেল অন্তত দুই-তিন বার ব্যবহার করতে হবে। তেলে সাইট্রাস ফলের ভিটামিন-সি উপস্থিত থাকায় তা চুলের ত্বককে সুস্থ রাখতে কাজ করবে।

আমলকির তেল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/07/1551957015326.jpg

চুল পড়ার হার কমাতে ও চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য আমলকির তেল অনন্য। তেলটি তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে ১০০ গ্রাম আমলকির পাউডার, ১ কাপ নারিকেল তেল ও চার লিটার পানি।

তেল তৈরির পদ্ধতি

৭০ গ্রাম আমলকির পাউডার ও চার লিটার পানি একসাথে মিশিয়ে উচ্চতাপে ফুটাতে হবে। মিশ্রণ টেনে ১/৪ অংশে চলে আসলে বুঝতে হবে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে আমলকির পানি আলাদা করতে হবে। বাকি আমলকির পাউডারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এখন আমলকির পেস্ট, আমলকির পানি ও তেল একসাথে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে। যতক্ষণে পানি বাষ্প হয়ে যাচ্ছে, তেল জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেওয়া হয়ে গেলে তেলটি ঠাণ্ডা করে মুখবন্ধ বাক্সে রেখে দিতে হবে।

এই তেলটি মাথার তালু থেকে চুলের আগা পর্যন্ত ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ৪৫-৬০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিতে হবে। এরপর হারবাল শ্যাম্পুর সাহায্যে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

আমলকির পাউডারে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের পরিপূর্ণ পরিচর্যায় কাজ করে। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই তেলটি ব্যবহারই চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট।

আরও পড়ুন: চুলের রুক্ষভাব দূর করবে চার উপাদান

আরও পড়ুন: কীভাবে দূর হবে চুলের আগা ফাটার সমস্যা?