মাখন ব্যবহারের চমৎকার চার টিপস
সকালের নাশতা কিংবা পাস্তা তৈরিতে অন্যান্য উপাদানের সাথে প্রয়োজন হয় মাখন। অতি পরিচিত এই উপাদানটির একঘেয়ে ব্যবহারের বাইরেও মাখনের রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি মজার ব্যবহার। এখানে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
গ্রেট করে নিন মাখন
ফ্রিজ থেকে মাখন বের করার পর কোনভাবেই সেটা কাটা যায় না। শীতল আবহাওয়ায় অতিরিক্ত শক্ত হয়ে থাকা মাখন ব্যবহারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় অনেক লম্বা সময়। অথচ এই সমস্যাটি থেকে সহজেই পরিত্রাণের উপায় হলো মাখন গ্রেট করে নেওয়া। গ্রেটারের সাহায্যে শক্ত মাখন খুব ভালোভাবে গ্রেট করা যাবে। এই মাখনগুলো ব্যবহারের সময় সহজেই গলে যাবে। তাই ব্যবহারে আর ঝামেলা থাকবে না।
কম্পাউন্ড মাখন
নাম শুনেই অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়। এ আবার নতুন কোন মাখন নাকি! অবশ্যই নতুন ধরনের মাখন, তবে সেটা তৈরি করবেন আপনি। প্রথমে প্রয়োজন মতো মাখন গলিয়ে নিন। এতে পছন্দসই ধনিয়া বা পুদিনা পাতা, মশলা অথবা পনির মিশিয়ে নিন। এবারে আইস কেসে মশলা মিশ্রিত মাখন ঢেলে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। রান্নার সময় এই কম্পাউন্ড মাখনের একটি কিউবই খাবারের স্বাদ বদলে দেবে।
মাখনও পুড়ে যায়
মাখন খুব সহজেই শীতল আবহাওয়ায় শক্ত হয়ে যায়। আবার একটু গরম আবহাওয়ায় সহজেই গলে যায়। বোঝাই যাচ্ছে এই খাদ্য উপাদানটির স্মোক পয়েন্ট খুবই কম। অর্থাৎ অল্প আঁচে সহজেই মাখন পুড়ে যায়। চুলায় মাখন দিয়ে আপনি যদি অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তবে দেখবেন মাখন বাদামী রঙ ধারণ করে পুড়ে গেছে। তাই একেবারে অল্প আঁচে ধীরে ধীরে মাখন গলিয়ে রান্না করতে হবে।
সল্টেড নয়, আন-সল্টেড মাখন
হোক ঝাল কিংবা মিষ্টি, যেকোন ধরনের খাবার তৈরিতে অবশ্যই সবসময় আন-সল্টেড মাখন ব্যবহার করতে হবে। কখনোই সল্টেড মাখন নয়। আন-সল্টেড তথা লবণবিহীন মাখন ব্যবহারে খাবারের স্বাদ পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায়। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবারের। কিন্তু মাখন যদি সল্টেড হয়, তা খাবারের স্বাদে অনেকটা পরিবর্তন এনে দেয়। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ি খাবার তৈরির সময় লবণ যোগ করা কোন বিষয় নয়।
আরও পড়ুন: মাখনের প্যাকেটটি ফেলে দেবেন না!
আরও পড়ুন: বেকিং সোডার চমৎকার ছয় ব্যবহার