সকল টেক্সচারের চুল থাকবে সুন্দর
মানুষ ভেদে চুলের টেক্সচার ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
কারোর চুল একদম সিল্কি, কারোর হালকা ঢেউ খেলানো, কারোর হালকা কোঁকড়া, কারোর অনেক বেশি কোঁকড়া, কারোর চুলের উপরের অংশ সোজা হলেও নিচের দিকে কোঁকড়া, কারোর আবার উসকোখুসকো চুল। চুলের ধরণ বা টেক্সচার যেমনই হোক না কেন, চুলের সঠিক যত্নের অভাবে চুল নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করা অসম্ভব।
এখনে একটা বিষয় যোগ করা প্রয়োজন। সোজা ও সিল্কি চুলের চাইতে কোঁকড়া চুল তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুলের সমস্যাও বেশি দেখা দেয়। যে কারণে চুলের টেক্সচারের উপর ভিত্তি করেও চুলের সমস্যাগুলো দেখা দেয়।
তবে সকল ধরনের চুলের জন্যে উপকারী উপাদানের ব্যবহার, চুলকে তুলনামূলক অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। আজকের ফিচার থেকে দেখে নিন এমন তিনটি উপাদানের ব্যবহার।
গ্রিন টির ব্যবহার
যা প্রয়োজন হবে: এক চা চামচ গ্রিন টি ও এক কাপ পরিমাণ পানি।
যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করতে হবে: পানিতে গ্রিন টি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। পানি ছেঁকে গ্রিন টি ঠাণ্ডা করে তৈরিকৃত গ্রিন টিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন গ্রিন টি এইভাবে ব্যবহার করতে হবে।
অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার
যা প্রয়োজন হবে: প্রয়োজন মতো অ্যালোভেরা জেল ও উষ্ণ তোয়ালে।
যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করতে হবে: অ্যালোভেরা পাতার জেল চামচের সাহায্যে তুলে নিতে হবে এবং ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্টের মতো তৈরি করতে হবে। এই অ্যালোজেল পুরো মাথার চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে গরম পানিতে ভেজানো হালকা ভেজা ও উষ্ণ তোয়ালেতে পুরো মাথা মুড়ে নিতে হবে। অন্তত আধা ঘন্টা এভাবে রাখার পর তোয়ালে খুলে শুধু পানিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এইভাবে অ্যালোজেল ব্যবহার করতে হবে।
ল্যাভেন্ডার অয়েলের ব্যবহার
যা প্রয়োজন হবে: ৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ও ১-২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল।
যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করতে হবে: নারিকেল তেলে ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে হবে। ৩০-৯০ মিনিট চুলে তেল রাখার পর খুব হালকা ঘরানার হারবাল শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে এইভাবে তেল ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: উফ খুশকি!
আরও পড়ুন: চুল পড়া কমাতে চার উপাদান