পেটের মেদ কমানোর কার্যকর উপায়
ঈদের ছুটি ও আমেজ উভয়ই শেষের দিকে।
এ কদিন যথেচ্ছা খাওয়াদাওয়া করে অনেকেই হয়তো ওজন বেশ কিছুটা বাড়িয়ে ফেলেছেন। হয়তো এ সময়ের মাঝে পেটের মেদও বেড়ে গেছে অনেকটা। পেটের মেদ বেড়ে যাওয়া বেশ চিন্তার বিষয় বটে। সহজে বেড়ে গেলেও, সহজে কমানো সম্ভব হয় না।
পেটের মেদকে কমানোর জন্য একদম না খেয়ে থাকা অথবা হাঁটাহাঁটি করা যথেষ্ট নয়। তার জন্য প্রয়োজন সঠিক ও কার্যকর উপায়। ভারতের ডায়েটেশিয়ান ও পুষ্টিবিদ রাখি তদাঙ্কার জানাচ্ছেন এমন পাঁচটি কাজের কথা, যা পেটের মেদকে কমাতে সাহায্য করবে।
চিনি গ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া
চিনি ও চিনিযুক্ত খাদ্য সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে হবে। অতিরিক্ত চিনি ও ফ্রুক্টোস থেকে শরীরে ফ্যাট জমে। যা ইনস্যুলিন রেসিস্ট্যান্ট ও মেটাবলিজমে সমস্যা তৈরি করে। চা ও কফি পান করতে হলেও চিনি ছাড়া পান করার অভ্যাস গড়তে হবে। এছাড়া কোন খাবার মিষ্টি করতে চাইলে স্প্লেনডা, মধু অথবা খেজুরের পেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
খেতে হবে প্রোটিনযুক্ত খাবার
প্রোটিনকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে গন্য করা হয়। বিশেষত যখন বাড়তি ওজন ও মেদ কমানোর ব্যাপার আসে। কারণ প্রোটিনের বেশিরভাগ ক্যালোরি ভালোভাবে ও পরিপূর্ণভাবে পরিপাক হয়ে যায়। ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই বলা হয় কার্ব তথা শর্করা গ্রহণ কমিয়ে প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে। এতে করে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত এবং মেটাবলিজম বেড়ে যায় আগের চেয়ে অনেকখানি বেশি।
শর্করা গ্রহণ কমিয়ে ফেলা
এখানে নতুন করে কিছু বলার নেই। শর্করার পুরোটাই শরীরে ফ্যাট হিসেবে সঞ্চিত হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেট ও তলপেটে জমে এই ফ্যাট। শর্করা গ্রহণ যতটা কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে, ততই উপকার পাওয়া যাবে। তবে একবারে সম্পূর্ণ শর্করা গ্রহণ বাদ না দিয়ে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।
ক্যালোরি গ্রহণে নজর দেওয়া
সারাদিনে হয়তো খুব বেশি খাবার খাওয়া হয় না। কিন্তু যতটুকু খাবারই খাওয়া হয়, তাতে ক্যালোরি থাকে অনেক বেশি। ফলে সারাদিনের গড় ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা অনেক হয়ে যায়। শরীরের প্রয়োজনের চাইতে বাড়তি ক্যালোরি পরবর্তিতে ফ্যাট হিসেবে জমা হতে থাকে। তাই প্রতিদিনের ক্যালোরি ইনটেক পরিমাপ করতে হবে। ক্যালোরি বুঝে ও জেনে খাবার খেতে হবে।
শরীরচর্চা বাদ দেওয়া যাবে না
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের সাথে শরীরচর্চা যদি না করা হয় তবে পেটের মেদকে কমানো কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। অ্যারোবিক এক্সারসাইজ ও ক্রাঞ্চেস (সাইড, রিভার্স, টুইস্ট) পেটের মেদকে কমিয়ে ফেলতে সবচেয়ে কার্যকর। নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট সময়ের জন্য হলেও এই শরীরচর্চাগুলো করতে হবে।
আরও পড়ুন: চিনির বিকল্পে চার উপাদান
আরও পড়ুন: যেভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার ক্ষুধা