বিয়েতে ইসলামী আইন লঙ্ঘনের মামলার রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রীর আপিল আবেদন খারিজ করেছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত।
ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইমরান দম্পতি ২০১৮ সালের বিয়ের মাধ্যমে ইসলামী আইন লঙ্ঘন করেছেন।
ইসলামাবাদের আদালতের বৃহস্পতিবারের (২৭ জুন) সিদ্ধান্তের অর্থ হলো ইমরান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে কারাগারেই থাকতে হবে।
এই মামলায় গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ইমরান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আল জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে ওই রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকা গত বছর এই দম্পতির বিরুদ্ধে বেআইনি বিবাহের মামলা দায়ের করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ইমরানকে বিয়ে করার আগে ইসলামিক আইনে প্রয়োজনীয় তিন মাসের বিরতি (ইদ্দত) পালন করেননি।
মানেকা দাবি করেন, ২০১৭ সালের নভেম্বরে বুশরাকে তালাক দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাস আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বুশরা বিবির সঙ্গে তার তৃতীয় বিয়ের ঘোষণা দেন ইমরান।
এই মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় স্থগিত চেয়ে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে একাধিক আপিল দায়ের করেন ইমরান দম্পতি।
এই মামলার আরেকটি আপিল শুনানি আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের রায়কে বিচার বিভাগের জন্য একটি দুঃখজনক দিন হিসাবে বর্ণনা করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সিনিয়র নেতা এবং ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৈয়দ জুলফিকার বুখারি।