আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় গুলশান ও বসুন্ধরা এলাকায়

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-05-23 20:45:29

রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে হলুদ ও মশলা মাখিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার জন্য রাজধানীর গুলশান ও বসুন্ধরা এলাকায় একাধিক মিটিং করেন হত্যাকারীরা। গুলশান-২ এর ৬৫ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাসায় ও বসুন্ধরার- এল ব্লকের ৩২ নম্বরের ১৯২৯ নম্বর বাসায় তাকে হত্যার পরিকল্পনায় মিটিংগুলো করা হয়। গুলশান-২ এর ১৭ নম্বর বাড়িতে রয়েছে একটি মদের বার। এর মধ্যে বসুন্ধরার- এল ব্লকের বাড়িটি আনোয়ারুল আজিম আনারের ছোটবেলার বন্ধু ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকরী হিসেবে অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীনের মালিকানাধীন বলেও ডিবি সূত্রে জানা যায়। 

সূত্র জানায়, শাহীন দুই থেকে তিন মাস ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। আনারকে হত্যা করতে প্রথমে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।  তবে গোয়েন্দা পুলিশের শক্তিশালী তদন্ত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কলকাতাকে বেছে নেন।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন- হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ, ফয়সাল, আমানের বান্ধবী সিলিস্তি রহমান, জিহাদ ওরফে জাহিদ ও সিয়াম। আটকদের মধ্যে আটকদ দুইজন জিহাদ ওরফে জাহিদ ও সিয়াম ভারতের নাগরিক।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অ্যাপচালিত এক ট্যাক্সিক্যাবচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার নাম পত্রিকাটি প্রকাশ না করলেও ঢাকার গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, তার নাম রাজা। 

উল্লেখ্য, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিনদিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরাহনগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস। তারপরই গণমাধ্যমে আসে তার মৃত্যুর খবর।

এ সম্পর্কিত আরও খবর