‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে সংসদ সদস্য আজীমকে হত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কলকাতার নিউ টাউনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার।

হত্যা প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া অনেকেই পরিকল্পনকারী বা হত্যায় অংশ নেওয়াদের চেনেন না। আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর কেটে কেটে টুকরো করাকেই ‘কাটআউট’ পদ্ধতি বলছে পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সংসদ সদস্যের মরদেহ যেন খুঁজে না পাওয়া যায়, এ জন্য হয়ত কোনো জঙ্গলে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মরদেহের বিভিন্ন অংশ টুকরো টুকরো করে একাধিক স্থানে ফেলে দেওয়ায় খুঁজে পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। ১৩ মে তিনি নিখোঁজ হন। সেদিনই হত্যা করা হয় তিনবারের এ সংসদ সদস্যকে। সংসদ সদস্য হত্যার ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশের একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে।

জানা গেছে, আনোয়ারুল আজিমকে হত্যায় ‘কাটআউট’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। হত্যা এবং মরদেহ গুমে একাধিক টিম কাজ করেছে। পুরো প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া অনেকেই পরিকল্পনকারী বা হত্যায় অংশ নেওয়াদের চেনেন না। ডিএমপির ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, দুই, তিন মাসের পরিকল্পনায় সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করা হয়।

এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার বাল্য বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন।

হত্যার কাজটি করেছেন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমান উল্লাহ আমান ওরফে শিমুল। শিমুল তার আসল নাম। কলকাতায় গিয়ে তিনি ‘আমান উল্লাহ আমান’ নামটি ধারণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে।

হত্যার পর সংসদ সদস্যের দেহের টুকরোগুলো একটি ব্রিফকেসে ভরে হত্যাকারী আমান, সিয়াম এবং জাহিদ মিলে একটি গাড়িতে ওঠান। এরপর সিয়াম ও জাহিদ মরদেহ নিয়ে চলে যান।

হারুন আরো বলেন, সংসদ সদস্যের মাংসগুলো ফেলার জন্য তারা মশলা মাখান। এর কারণ কেউ যদি তাদের আটক করেন বা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তখন তারা যেন বলতে পারেন, এটি দোকান থেকে কিনে আনা মেরিনেট করা মাংস। হলুদ ও মশলা দিয়ে মাখানো মাংসগুলো পরে ফেলে দেওয়া হয়। এর মূল কারণ সংসদ সদস্যের মরদেহের কোনো হদিস যেন কেউ কখনো না পান। হত্যার পর লাশ গুম শেষ করে সবাই একে একে দেশে ফিরে আসেন।     

   

ঈদের ছুটিতে বাসার মূল্যবান সম্পদ থানায় রাখা যাবে: সিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, ঈদের ছুটিতে প্রতিবছরই স্বজনদের সাথে ঈদ করতে নগরবাসী শহর ছেড়ে যায়। এসময় শহর ফাঁকা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের একটি অভিজ্ঞতা আছে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, আপনাদের মূল্যবান যদি কোনো সম্পদ থাকে সেগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাসায় কিংবা থানায়ও রাখতে পারেন।

শনিবার (১৫ জুন) নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার কর্ণফুলী পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে সেসকল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একসাথে ছুটি না দিয়ে পালাক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর কোনো রকম ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবেন। পাশাপাশি যাদের অবস্থা ভালো আছে তাদেরকে বলেছি, আপনারা আইপি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান। যেন আপনি দূরবর্তী স্থান থেকেও আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সেই অনুসারে প্রয়োজনে পুলিশের সাথে যোগাযোগও করতে পারবেন।'

ঈদে নগরবাসীর নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় সাজানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের পোশাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, আমাদের সাদা পোশাকে ব্যবস্থা আছে। আমাদের স্পেশালাইজড টিম প্রস্তত আছে। তাছাড়া আমরা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্য নিয়েছি। আমাদের থানার বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।'

নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিনভাগে ভাগ করার কথা জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো উৎসব-পার্বনে আমাদের সদস্যরা খুব কমই ছুটিতে যেতে পারে। আমরা নিরাপত্তা স্তরকে তিনভাগে সাজিয়েছি। ঈদের পূর্ব সময় পর্যন্ত এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। সেখানে আমাদের অধিক সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ঈদের দিন ঈদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ আরেকটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সেইধরনের কর্মসূচি আমাদের নেওয়া আছে। আমরা আশা করছি আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা নগরের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে পারবো।’

পশুরহাটের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যেখানে-সেখানে যেন পশুরহাট না বসে। আমরা এক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই ধারণা ছিলো। কোনো কোনো সময় স্থানীয় লোকজন নানা ধরনের অত্যাচার করে থাকে ইজারাদারদের। আমার সে বিষয়েও খোঁজখবর নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অভিযোগ পাইনি। এরইসাথে এক হাটের গরু জোরপূর্বক আরেক হাটে নেওয়ার যে প্রবণতা ছিল সেটা এ বছর নেই বললেই চলে। আমরা এ পর্যায়ে এসে বলতে পারি যে, আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এবারের পশুরহাটে সন্তোষজনক অবস্থা বজায় রাখতে পেরেছি। আশা করছি, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ অবস্থা অটুট থাকবে।’

‘ঈদের দিনের জন্য আমাদের একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি হাটে জালনোট সনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা আছেন। কিছু কিছু মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা আছে। সবমিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অজ্ঞান পার্টির যে প্রবণতা থাকার কথা, অতীত অভিজ্ঞতা বলে এটা এবারও থাকতে পারতো। আমরা তাই ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রেস্টুরেন্ট করতে বলেছি। আর সেই রেস্টুরেন্ট যেন পরিচিত কেউ চালায় সে ব্যবস্থা করতে বলেছি, যাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের শঙ্কা না থাকে।’

চোরাই পথে গরু আসলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চোরাই এবং অবৈধ গরু যদি শনাক্ত হয় বা অভিযোগ আসে তাহলেই ব্যবস্থার প্রশ্ন আসবে। কিন্তু যখন একটি গরু নিয়ে আসা হবে তখন চট করে বোঝা যাবে না এটি চোরাই কিংবা অবৈধ কিনা। আমাদের চট্টগ্রামের বড় বড় মার্কেটে যেসকল বেপারিরা গরু নিয়ে আসেন তারা সাধারণত নির্ধারিত। তারা এই মার্কেটগুলোর সাথে অনেকদিন ধরে সংযুক্ত আছেন। যদি কোনো অভিযোগ আসে এবং যেখান থেকে চুরি হয়েছে সেখানের সোর্স থেকে খবর পাই তবে সোর্সের সাথে কানেক্টেড হয়ে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মেদ, চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রমুখ।

;

নওগাঁয় প্রতি কেজি লেবুর দাম ২০ টাকা



শহিদুল ইসলাম,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই কোরবানি ঈদ, তাই ঈদকে ঘিরে বাজার করার ব্যস্ততা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। মাংসের মসলা থেকে শুরু করে শাক-সবজি, চাল-ডাল, লবণ ইত্যাদি কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতা। পোলাও বা ভাতের পাতে শসা আর লেবুর চাহিদাও ব্যাপক। সচরাচর এই লেবু হালি হিসেবে বিক্রি হলেও সেটি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নওগাঁয়। সেই সুযোগে লাইন ধরে কিনছেন ক্রেতারা। 

আজ রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে নওগাঁ পৌর কাচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের লেবু প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ হয়েছে। কয়েকজন লেবু ব্যবসায়ী বস্তার উপরে লেবু ঢেলে প্রতি কেজি ২০ টাকা করে ডাকছেন। এমন সহজলভ্যতায় ক্রেতারা অবাক হয়ে লাইন ধরে লেবু কিনছেন, কারণ লেবু কেজি দরে বিক্রি হবার কথা না। 

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

পার-নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন,‘লেবু বাজারে প্রচুর উঠেছে। তাই হয়তো এতো কম দামে পাচ্ছি। খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে; কিন্তু এখানে কম দামে পেয়ে গেলাম, তাই ২ কেজি কিনলাম। বাসায় সবাই লেবু পছন্দ করে।’

স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ সামিহা বলেন, ‘আমার স্বামী হাটে গিয়েছে কোরবানির গরু কিনতে। এদিকে আমি কাঁচা বাজার করতে আসলাম। এসে দেখি লেবু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, তাই ১ কেজি নিলাম। আমিতো প্রথমে অবাক হয়েছি যে, কেজি দরে লেবু বিক্রি হয় নাকি আবার!’  

লেবু ব্যবসায়ী নাহিদ বলেন, ‘লেবুর এবার উৎপাদন ব্যাপক হয়েছে ও সরবরাহ বেশি এজন্য লেবুর দাম কম। আমরা আরো কম দামে কিনেছি বলেই কম দামে বিক্রি করতে পারছি। প্রতি কেজি লেবু বিক্রি ২০ টাকা শুনে মোটামুটি সবাই ২-১ কেজি কিনছেন।’

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

আরেক ব্যবসায়ী জানান, ‘আমি ১ টা লেবু ১ টাকা করে বিক্রি করতেছি। আর ৪ টা ৪ টাকা। লেবু যেহেতু বাজারে অনেক উঠেছে, সেজন্য দাম বেশি ধরলে কেউ কিনবে না। তাই কম দামেই দিয়ে দিচ্ছি। অনেকেই কেজি দরেই বেশি কিনছেন।’

লেবুর খুচরা ব্যাবসায়ী সামসুল বলেন,‘আমি ৪ টা লেবু বিক্রি করছি ১২ টাকা। কারণ পাইকারি কিনে যদি সামান্য লাভ না করি, তাহলে তো আর সংসার চলবে না।‘

;

সেন্টমার্টিন পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর থাকার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদেরকে সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

রোববার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সীমান্তবর্তী মংডু অঞ্চলে মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মংডু সীমান্তের বিপরীতে বাংলাদেশের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ সীমান্ত অবস্থিত হওয়ায় উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)’র অধীনস্থ সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিওপি পরিদর্শন, বিওপির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যেরকে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

দুর্গম এই দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

একইসাথে মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সদস্যদেরকে সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

এছাড়া বিজিবি মহাপরিচালক রামু সেক্টর সদর দফতর, রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়কগণসহ বিজিবি'র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

শেষ মুহূর্তে

মেইল-কমিউটার ট্রেনের টিকিট পেতে দীর্ঘ লাইন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট যাত্রার কয়েকদিন আগে বিক্রি শুরু হলেও মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় যাত্রার দিনে। একইসঙ্গে যাত্রার দিনে পাওয়া যায়, আন্তঃনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিটও। ঈদযাত্রার শেষ দিনে টিকিট পেতে মেইল ও কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন দিয়েছেন গন্তব্যগামী সাধারণ মানুষ।

রোববার (১৬ জুন) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮টি কমিউটার ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করে। অপরদিকে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং হিসেবে বিক্রয় করা হয়। ফলে ওই টিকিটের জন্যও আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারের সামনে মানুষের দীর্ঘ লাইন রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনে প্রবেশের আগ মুহূর্তে স্টেশনের ডান দিকে মেইল ও কমিউটার ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে টিকিট সংগ্রহ করতে মানুষের ভিড়ে কাউন্টার থেকে লাইন গিয়ে ঠেকেছে পার্কিং পর্যন্ত।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম্পিউটার ট্রেনে অন্যান্য সময় একটি টিকিট কিনলে একটি আসন দিত। কিন্তু ঈদের সময় তারা চার-পাঁচটি আসন একসঙ্গে না কিনলে সিটসহ টিকিট দেয় না। যেহেতু আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট পাওয়া যায়নি তাই এটিই এখন শেষ ভরসা।

আন্তঃনগর কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাইনের প্রত্যেকেই প্রত্যাশা করছেন আসন না পেলেও অন্তত ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটটা পাবেন। কিন্তু তাদের অনেকেই জানেন না, আন্তঃনগর ট্রেনের শুধুমাত্র শোভন শ্রেণীর ২৫ শতাংশ টিকিট দেওয়া হবে।


এদিকে রেলে ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে চিরচেনা রূপে ফিরেছিল রেলস্টেশন। শিডিউল মেনে ট্রেন চললেও বিগত বছরের ঈদগুলোর মতন শেষ সময়ে ট্রেনের ছাদেও যাত্রীদের ঢল নামে। এদিন সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন শিডিউল মেনে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এছাড়া প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

দেখা গেছে, স্টেশনের প্রবেশদ্বারে র‌্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে। প্লাটফর্মে প্রবেশের মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) দেখা গেছে যাত্রীদের টিকিট চেক করতে, তবে এনআইডি মিলিয়ে দেখতে দেখা যায়নি এবার।

স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ৪২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও তিনটি স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৭০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ্ আলম কবির কিরণ।

এদিকে এবার ঈদে ট্রেন যাত্রায় গোল্ডেন প্লাস পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

গত বৃহস্পতিবার (১৩জুন) বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জিল্লুল হাকিম বলেন, গত ঈদে রেলের সার্ভিস ভালো হয়েছে। এতে করে অনেকেই বলেছে আমি প্রথম পরীক্ষায় নাকি গোল্ডেন প্লাস পেয়েছি। আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে নিরাপদে ঈদুল আজহার যাত্রা এবারও ভালো করতে চাই। এবারও গোল্ডেন প্লাস পাবো আশাকরি। সব প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে ৬৪টি ট্রেন ছাড়ে দুই একটা ট্রেন বাদে ৩০টা ট্রেন ইন টাইম যাত্রা করেছে। সবাইকে অনুরোধ করবো এবারের যাত্রা যেন গতবারের চেয়ে ভালো হয়। আপনাদের জন্য রেল কাজ করে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, পুরাতন কোচ রাতারাতি নতুন করতে পারব না। ফ্যান ঠিক করা হচ্ছে। আবার অনেক সময় যাত্রী বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত কোচ লাগাতে হয়, এতে সময় বেশি লাগে। কিছু ট্রেনে লম্বা দূরত্বে ক্রসিংয়ে সময় বেশি লাগে। আগামী ঈদ থেকে আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।

;