-বার্লিনের সেই দেয়ালটা কোন দিকে?
প্রশ্নটা মোটেও পছন্দ হলো না আমাদের ট্যাক্সি ড্রাইভারের। শুনল ঠিকই। কিন্তু কোনো জবাব না দিয়ে শুধু একটা কাঁধ ঝাঁকানি দিল। ভাবলাম, আমার প্রশ্নটা বুঝতে পারেনি। এবার তাকে আরো পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বললাম।
-আমি বার্লিন দেয়ালের কথা বলছি। যেটা ভেঙ্গে দুই জার্মানি এক হয়েছিল।
আমার প্রশ্ন ও আগ্রহ কোনো কিছু পাত্তাই দিল না মার্সিডিজ ট্যাক্সির ড্রাইভার ফ্রিঞ্জ। তবে এক চিলতে হাসির সঙ্গে এবার শব্দও শোনা গেল তার গলায়।
-বার্লিনে যারা প্রথম আসে তারা সবাই দেয়ালের খোঁজ নেয়। দেয়ালটা ওদিকে কোথায়ও হবে।
হাত নেড়ে সামনের পশ্চিমের একটা দিক দেখাল ফ্রিঞ্জ। তার কাছ থেকে বার্লিন দেয়ালের বিষয়ে এমন অবহেলায় ভরা উত্তর পেয়ে আর কিছুই জানতে ইচ্ছে হলো না।
তবে বার্লিন দেয়াল নিয়ে কথা বলতে অনাগ্রহী ফ্রিঞ্জ শহরের শপিং সেন্টার ও নিজের ড্রাইভিং জীবন নিয়ে বকবকানি বেশ ভালোই চালাতে শুরু করল।
-জার্মানিতে ট্যাক্সি চালানো বেশ ভালো পেশা। এটা অবশ্য আমার ভাড়ার ট্যাক্সি। বাসায় আমার নিজের একটা নীল রঙের বিএমডব্লু আছে। আমি ওটা নিয়ে ইউরোপের প্রায় ১০টার মতো দেশে ঘুরেছি। তোমাদের বাংলাদেশ কি প্লেইন ল্যান্ড নাকি পাহাড়ী? শুনেছি খুব নাকি বন্যা হয়? আচ্ছা আমি কি ট্যাক্সি চালিয়ে ওখানে যেতে পারব?
বুঝলাম এই লোক এখন কথা বলেই যাবে। তার কথার চোটে আমাদের বার্লিন দেখার মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। তাই তাকে থামালাম।
-ভালো হয়, তুমি যদি বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ কর। আমার গলার সুরেই ফ্রিঞ্জ বুঝে নিল তার পর্যটক হওয়ার গল্প আমাদের টানছে না।
ট্যাক্সি চালকের ব্যক্তিগত আলাপের চেয়ে আমাদের কাছে যে বার্লিনের ইতিহাস তখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বেশি আর্কষণীয়। এই শহরের সঙ্গে বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসও বেশ সমৃদ্ধ।
১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপের আসর বসেছিল বার্লিনে। ৩২ বছর পর আবারো ২০০৬ সালে বার্লিন আরেকবার বিশ্বকাপের শহর। বিশ্বকাপ ফাইনালের ভেন্যু। অনেক কারণে বার্লিন জার্মানির অন্য শহরের চেয়ে আলাদা। হিটলারের পতন হয়েছিল এই শহরেই। এই শহরটাই দুই জার্মানিকে ভাগ করে রেখেছিল। আবার এই শহরটাই দুই জার্মানিকে এক করে। নিও নাৎসিদের নিয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মান পুলিশকে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা ও আতঙ্কে রেখেছিল এই বার্লিন শহরই। বাকি সব ভেন্যু থেকে বার্লিনের নিরাপত্তার স্তর তাই একটু বাড়তি। মিউনিখে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের পর থেকেই জার্মানির সমর্থকদের একটা শ্লোগান ভীষণ জনপ্রিয়তা পায়।
-‘বেলিন বেলিন, ভিয়ের ফারে নাখ বেলিন’।
-‘চল চল সবাই বার্লিন চল।’
৯ জুলাই বার্লিনের ফাইনালে জার্মানি খেলবে- এই স্বপ্ন আঁকছিল জার্মানির সমর্থকরা মনেপ্রাণে। সাবওয়ে, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, ট্রেনে জার্মান সর্মথকরা দল বেঁধে সুর করে এই ‘বার্লিন চল’ গান গাইতো।
এই বার্লিনেই কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় জার্মানি। তবে বার্লিনের ফাইনাল খেলতে না পারলেও বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা দল হবার পর এই বার্লিনেই উৎসবে মেতেছিল লাখো জার্মান সর্মথক।
জার্মানির সঙ্গে মূলত আমার পরিচয় স্কুলে পড়ার সময়। স্ট্যাম্প জমানোর খাতায় একটা পৃষ্ঠায় দেশের নামের ঘরে লেখা ছিল- জিডিআর, যার পূর্ণ বিশ্লেষণ জার্মান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান। তখনই জানতাম দেশের নাম একই; কিন্তু সেই নামের আগে শুধু পূর্ব ও পশ্চিম জুড়ে দিয়েই দুই ভাগে দুটো আলাদা দেশ! আমাদের এশিয়ার দেশ কোরিয়ার মতো আর কি। এখানে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। ইউরোপেরটা পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানি। বার্লিনের দেয়াল ছিল এই দুই জার্মানির সীমানা প্রাচীর।
দুই কোরিয়া এক হয়ে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে। আর বিশ্বকাপে দুই জার্মানিরও অনন্য একটা রেকর্ড আছে। দুই জার্মানি বিশ্বকাপে একবার একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে লড়েছে। মুখোমুখি সেই লড়াইয়ের ঠিক ১৬ বছর পরে দুই জার্মানি আবার এক হয়ে বিশ্বকাপের মাঠে খেলেছে এবং বিশ্বকাপও জিতেছে!
বৈরিতা কাটিয়ে বন্ধুত্বের অনন্য নিদর্শনের সাক্ষীও যে বিশ্বকাপ ফুটবলের এই ইতিহাস।
১৯৮৯ সালের আগে জার্মানি ছিল দুটো দেশ। পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানি। ১৯৯০ বিশ্বকাপ থেকে দুই জার্মানি এক হয়ে খেলছে; কিন্তু বিশ্বকাপের ম্যাচেই এক জার্মানিই হয়েছিল অন্য জার্মানির প্রতিপক্ষ!
একটু ঘুরে আসি ইতিহাসের সেই সময়ে।
১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানি দুই দেশই অংশ নেয়। উভয় দেশ একই গ্রুপে পড়ে। প্রথম রাউন্ডেই তাই মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে হয়। হামবুর্গের মাঠে গ্রুপ পর্যায়ের সেই ম্যাচে ঘটে বড় আপসেট। ’৭৪ এর ২২ জুন ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে পশ্চিম জার্মানি ছিল যথারীতি হট ফেভারিট। আয়তন, অবস্থান, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি- সব বিবেচনায় প্রতিবেশী পূর্ব জার্মানির চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল পশ্চিম জার্মানি। ফুটবলীয় শক্তির বিচারেও ফেভারিট ছিল ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের দল পশ্চিম জার্মানি। কিন্তু ফুটবলে ফেভারিটরা যে প্রতিদিন জেতে না! সেই ম্যাচে পূর্ব জার্মানি জিতে ১-০ গোলে। ১৩ মিনিটের সময়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন পূর্ব জার্মানির জুর্গেন স্পারওয়াসার। তবে প্রথম রাউন্ডের সেই হার পশ্চিম জার্মানির গর্বে আঘাত করলেও ক্ষতিটা তারা পুষিয়ে নিয়েছিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে। আর ২২ জুনের ঐতিহাসিক সেই ম্যাচের গোলদাতা বার্লিন প্রাচীর ভাঙার বছরখানেক আগে পূর্ব জার্মানি ছেড়ে চলে এসেছিলেন পশ্চিম জার্মানিতে। কমিউনিজমে বিশ্বাসী পূর্ব জার্মানির সঙ্গে প্রতিবেশী পশ্চিম জার্মানির তেমন মারামারি কাটাকাটির কোনো বৈরিতা না থাকলেও সেসময় বিশ্বজুড়ে শীতল যুদ্ধের ময়দানে বিবৃতির লড়াই দু’দেশের মধ্যে ঠিকই চলতো।
তারপর ১৯৮৯ সালে আসে মহামিলন ও ভ্রাতৃত্ববোধের সেই মধুর ক্ষণ। পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি এক হয়ে যায়। ভেঙে দেওয়া হয় বার্লিন প্রাচীর, যা এতদিন আলাদা করে রেখেছিল দু’দেশকে। দুই জার্মানি এক হয়ে বিশ্ব রাজনীতি এবং ক্রীড়াঙ্গনে এখন অনেক শক্তিশালী এক নাম।
২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির তিনটি ভেন্যু কয়েক দশক আগেও ছিল অন্য দেশের শহর! কাইজারস্লাউটার্ন, গেলসেনকিরসেন ও লাইপজিগ- ২০০৬ বিশ্বকাপের ১২টি ভেন্যুর মধ্যে এই তিনটি ১৯৮৯ সালের আগ পর্যন্ত ছিল পূর্ব জার্মানির। এখনো মানচিত্রে তাদের অবস্থান তাই, শহরগুলোর নামও সেই আগেরটাই। চেহারাও এক। শুধু বদলে গেছে দেশের নাম।
-কে বলে ইতিহাস বিরক্তিকর?
বার্লিনের ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মনোযোগ ছুটে গেল হঠাৎ কানে আসা ড্রামবিটের শব্দে। বুঝলাম অলিম্পিক স্টেডিয়ামের কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা। আশপাশের ফ্ল্যাটের বারান্দার রেলিংয়ে জার্মানির তিন রঙ্গা পতাকা উড়ছে।
রাস্তার চারধারে হলুদ-সবুজ জার্সির ভিড় বাড়ছে। মিছিল নিয়ে চলেছে ব্রাজিলের সমর্থকরা। স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারের এক কিলোমিটার আগে ট্যাক্সি ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিল।
-আর সামনে যাওয়ার উপায় নেই। এখান থেকে তোমাদের হেঁটে যেতে হবে।
মূলত সেই পায়ে হাঁটা পথ ধরেই আমরাও বার্লিনের সেই সন্ধ্যায় সাম্বা উৎসবের অংশ হয়ে গেলাম!
ম্যাচের আগেই এমন উৎসবের প্রস্তুতি। ম্যাচ জিতলে না জানি এরা কি করবে! পুরো এলাকায় চলছে নাচ-গান আর ওলে ওলে সুরে ব্রাজিল সমর্থকদের সাম্বা উৎসবের প্রাক প্রস্তুতি। ড্রামের বিটে কানে তালা লেগে যাওয়ার যোগাড়।
স্টেডিয়ামে এলাম নাকি ডান্স ফ্লোরে?
হঠাৎ একটা বৃত্তের মধ্যে দেখা গেল, স্বল্পবসনা এক ব্রাজিলিয়ান ষোড়শীর ক্ষীণ কোমর জড়িয়ে ছবি তোলার জন্য সিরিয়াল চলছে! সেকি হৈচৈ! বাঁশি মুখে নিয়ে বিরামহীনভাবে ফুঁ দিয়ে বাজিয়েই চলেছে এক ব্রাজিল সমর্থক। পুরো চেহারা পরিশ্রমে লাল। গলার রগ ফুলে গেছে কিন্তু কোনো বিকার নেই- সাম্বার নাচের সঙ্গে বাঁশির সুর তুলতেই ব্যস্ত সে। চামড়া কেটে যাবে- এমন টাইটফিট জিন্স পরা এক তরুণী ফুটবল নিয়ে জাগলিং শুরু করল। বল পায়ে তার দুর্দান্ত ভারসাম্য! শরীরের ওপরের অংশে পেঁচানো শুধু ব্রাজিলের পতাকা। ভাঁজ করা পতাকার আয়তন এতই চিকন যে শরীরের মানচিত্রের সব রেখা-শাখা-প্রশাখা থেকে তীব্র আলো ছড়াচ্ছে!
এমন আলোয় চোখ যাবেই; সরিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। একহাতে ল্যাপটপ অন্যহাতে ব্যাগ। অনেক দূরের যাত্রা পেরিয়ে রাত জেগে, রিপোর্ট লিখে সন্ধ্যায় মাঠে এসে অন্য কিছু দেখার শক্তি মনে এবং চোখে খুব সামান্যই অবশিষ্ট। তবুও সাম্বার মিউজিক- মূর্ছনায় এমনই জাদু যে, সেই বিট শুনলেই মুহূর্তেই ক্লান্তি উধাও! চারধার থেকে যেভাবে উদাত্ত আমন্ত্রণ তাতে এখানে এসে পড়ার পর এই উৎসবের একজন না হয়ে কোনো উপায় নেই! ছন্দের সঙ্গে পা হয়তো তেমন মিলল না। তাতে কি? এখানে অংশগ্রহণই আসল কথা। কোমর জড়িয়ে ধরে সেই ব্রাজিলিয়ান ক্ষীণ কটির সঙ্গে সবাই ছবি তোলার জন্য লম্বা লাইনে পড়ে গেছে দেখলাম! কাউকে নিরাশ হতে হচ্ছে না। উদার, উদ্দাম ও দিলখোলাদের জায়গা এটা।
ব্রাজিলিয়ানদের এই ভিড়ে ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকদের মিছিলের সংখ্যাও কম নয়। লাল-সাদা দাবার ছকের মতো জার্সির সেই রং মুখেও ঘষে এসেছে অনেকে। কারো কপালে লাল পট্টি। মাথায় বাহারি টুপি। ঢোলাঢালা পাজামা পরা ক্রোয়েশিয়ান এক সমর্থক দৌড়ে এসে ব্রাজিলিয়ান বিউটির কানে কানে কি যেন বলল। সম্মতি মিলল।
পরের দৃশ্যটা এমন। একটানে পাঁজাকোলা করে ক্ষীণ কটিকে নিয়ে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে সেই ক্রোয়েশিয়ান। ক্যামেরা ক্লিক হতেই ‘ম্যাচ জয়ের’ আনন্দের অট্টহাসি তার গলায়!
কে বলবে আর ঘণ্টা কয়েক পরেই এরা মাঠে একজন আরেকজনের ‘মন্দ ভাগ্য’ কামনা করবে? ফুটবলের আনন্দ আসলে এমনই। যতক্ষণ মাঠের বাইরে ততক্ষণ পক্ষ-প্রতিপক্ষ সবাই বন্ধু। ম্যাচের আগে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকদের এই বন্ধুত্ব দারুণভাবে মানিয়ে গেল জার্মান বিশ্বকাপের স্লোগানের সঙ্গে- ‘ইটস টাইম টু মেকস্ ফ্রেন্ডস; সময় এখন বন্ধুত্বের!
ম্যাচ শেষে গভীর রাতে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের চত্বর জুড়ে যা হলো সেটা দেখে মনে হলো ম্যাচ শুরুর আগে সাম্বা উৎসবটা ছিল নেহাৎ রিহার্সেল; আসল উৎসব তো এখন! মিডিয়া সেন্টারের তাঁবুর পাশের জায়গাকে ঝটপট অস্থায়ী স্টেজ বানিয়ে শুরু হলো ব্রাজিলিয়ান সুন্দরীদের বিরতিহীন কোমর ঝাঁকানি। মনে হলো, কোমরে স্প্রিং লাগিয়ে কেউ নাচছে? যে জোরে ঝাঁকাঝাঁকি চলছে, কোমর না ছিঁড়ে যায়! ভাইব্রেসানের এরচেয়ে বড় উদাহরণ যে আর হয় না। শরীরজুড়ে কোনোমতে সেঁটে থাকা এক চিলতে কাপড় তখন- হাওয়া মে উড়তা যায়-আর কি! চারধারে গোল হয়ে ফটোগ্রাফারদের ভিড়। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল চাই তাদের। তুমুল হুড়োহুড়ির মধ্যে এনটিভির দোদুল তার হাতের ব্যাগটা আমার কাঁধে দিয়ে ভিডিও ক্যামেরা চালু করতে গিয়েই দেখে বিপদ- ব্যাটারি শেষ!
দুর ছাই, ব্যাটারি শেষ হওয়ার এটা কোনো সময় হলো!
সাম্বা উৎসবের সেই দৃশ্য ভিডিও করতে না পারার দুঃখে তার প্রায় চুলছেঁড়া অবস্থা। ডজনখানেক ব্রাজিলিয়ান ড্যান্সারের পেছনে ড্রাম-বাদকরাও তখন প্রায় বল্গাহারা উত্তেজনার শিখরে। রাত বাড়ছে। মিউজিকও তুঙ্গে। আশপাশের সবকিছুতেই তখন ভেসে যাওয়ার উদ্দামতায় মেতে উঠার ঝলক। নাচছে সবাই। যে নাচ জানে না সেও টলছে সুরের টানে। মূর্ছনার মোহনীয়তায় হারিয়ে যাওয়ার আহ্বান। নেশালু আমন্ত্রণের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত!
সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো, শীর্ষেন্দুর এক উপন্যাসে পড়েছিলাম- সব আমন্ত্রণ, নিমন্ত্রণে নাকি যেতে নেই!
আরও পড়ুন-
বার্লিনের হোটেলে রহস্যময় ল্যাপটপ!
বিশ্বকাপে ইন্টারভিউ নেওয়ার আগে, দিতে হলো!
শচীন’স সসেজ, গাঙ্গুলি’স গ্রিল, মিয়াঁদাদ ম্যাজিক ম্যাঙ্গো জুস...