তুরস্কের রাস্তার নাম নিয়ে আমিরাতের কেন আপত্তি



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার একটি রাস্তার নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে নগরীর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ নিয়ে রেগে আগুন সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। টুইটারে এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে এরকমের ঠাণ্ডা যুদ্ধও শুরু হয়েছে। একটি রাস্তার নাম বদলানো নিয়ে কেন তুরস্কের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা সৌদি আরব ও অন্য আরব দেশগুলোর সম্পর্কে এত টানাপোড়েন? আঙ্কারার যে রাস্তাটির নাম বদলের প্রস্তাব করা হচ্ছে সেই রাস্তায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস। নগরীর মেয়র এই রাস্তাটির নামকরণ করতে চাইছেন ফখরুদ্দীন পাশার নামে। ফখরুদ্দীন পাশা ছিলেন অটোমান শাসনামলে সেনাবাহিনীর একজন বিখ্যাত অধিনায়ক। ১৯১৬ সাল থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন পবিত্র মদিনা নগরীর গভর্নর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পক্ষে তিনি আরব ও ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তার সাহসিকতার জন্য তাকে 'দ্য লায়ন অব দ্য ডেজার্ট' বা মরুভূমির সিংহ বলে বর্ণনা করা হতো। কিন্তু আরবরা অভিযোগ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বাধীন বাহিনী মদিনা থেকে অনেক মূল্যবান দলিলপত্র এবং অর্থ লুট করে। কাজেই ফখরুদ্দীন পাশার নামে আঙ্কারার যে রাস্তায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস, সেই রাস্তার নামকরণ নিয়ে দেশটির অস্বস্তি রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত সপ্তাহে একটি টুইট শেয়ার করেছেন যেটিতে অভিযোগ করা হচ্ছে ফখরুদ্দীন পাশার নেতৃত্বাধীন বাহিনী মদিনায় লুটপাট চালিয়েছিল। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এই মন্ত্রীর নাম না নিয়ে বলেছেন, এরা ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ। শুধু তাই নয়, আঙ্কারায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনীতিককে এই ইস্যুতে তলবও করেছে তুরস্ক। তবে এই বিতর্কে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার আর কোনো মন্তব্য করেনি। কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ তাদের প্রভাব বলয়ের দেশগুলোর বিরোধ শুরু হওয়ার পর তুরস্ক কাতারের পক্ষ নিয়েছিল। তার পর থেকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাদের জোটের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।
   

মুক্ত জীবনে অ্যাসাঞ্জ, পৌঁছেছেন জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তির পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন।

তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছায়। খবর বিবিসি। 

অ্যাসাঞ্জকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন তার স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ এবং তার বাবা জন শিপটন।

এর আগে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালত মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

এর মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ ১২ বছর পর মুক্ত জীবনে ফিরেছেন। গত ৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এর আগের ৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করেছেন তিনি।

;

পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করেন না বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করছেন না, যা সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালে সুপারিশকৃত ১.৮ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩১ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক লোক পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষকদের একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের পরিচালক রুডিগার ক্রেচ বলেছেন, ‘শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি নীরব হুমকি, যা রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।’

তিনি একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ব সঠিক পথে হাঁটছে না।

সুস্থ থাকার জন্য ডব্লিউএইচও সুপারিশ করেছে যে, সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্র শারীরিক ব্যায়াম করা-যার মধ্যে হাঁটা, সাইকেল চালানো বা এমনকি ঘরের কাজও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ক্রেচ বলেন, পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করা মানুষের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের গবেষণা অনুসারে, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যা এই দশকের শেষ নাগাদ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ১৫ শতাংশ হ্রাস করার ডব্লিউএইচও-এর লক্ষ্য থেকে অনেক কম হবে।

ডব্লিউএইচও’র ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ইউনিটের প্রধান ফিওনা বুল বলেন, ‘গবেষণাটি ছিল একটি সতর্কবার্তা যে, যা আমরা করছি তা যথেষ্ট নয়।’

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চায় ২৯ শতাংশ পুরুষ নিধারিত সীমায় পৌঁছান না। সেই তুলনায় বিশ্বব্যাপী নারীদের এই হার প্রায় ৩৪ শতাংশ।

ফিওনা বুল বলেন, সামগ্রিকভাবে কার্যকলাপের হার হ্রাসের জন্য একাধিক কারণ’ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কম হাঁটা, কম্পিউটারে বেশি কাজ করা এবং সাধারণত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবসর সময় কাটানো।

ক্রেচ স্মরণ করিয়ে দেন, খেলা দেখা শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সমাধান নয়।

তিনি বলেন, ‘শুধু চেয়ারে বসে থাকবেন না, উঠুন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ গণনা করে সক্রিয় হোন।’

ডব্লিউএইচও জোর দিয়ে বলেছে, ব্যক্তিগত আচরণ পরিবর্তন করা যথেষ্ট নয়। তাই দেশগুলোকে সামাজিক খেলাধুলার পাশাপাশি হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

;

উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের মুক্তির নেপথ্যে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক বছর কারাগারে কাটানোর পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্তির সুবাতাস পেয়েছেন। কূটনৈতিক তৎপরতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আইনি সম্মতি সহায়তা করেছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি পেতে।

এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লবিং এবং মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে দোষ স্বীকার করার পর মুক্তি মেলে অ্যাসাঞ্জের। এতে অবশ্য সম্মতি মেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

এরপর সোমবার একটি প্রাইভেট জেট প্লেনে করে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানে পৌঁছে একটি আদালতে হাজিরা দেন। সেখান থেকে তাকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

এতে করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারবেন। তাকে আর সে দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না।

বুধবার বিকেলে উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা আসেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান, তার স্ত্রী স্টেলা।

বিবিসি ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি অনলাইন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) এক বিবৃতি জানায়, গত মার্চ মাসে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তিটি তাদের নজরে আসে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন আদালতে হাজির হবেন, সেখানে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করবেন। এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে কারাগারে অ্যাসাঞ্জ যে সাজা ভোগ করেছেন, তাতে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সাজা ভোগ করতে হবে না।

কূটনৈতিক, রাজনৈতিক লবিং এবং আইনি সম্মতির নেপথ্যে
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হয়। তিনি তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অ্যান্থনি আলবানিজ নিজে থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন সামরিক বাহিনীর একান্ত গোপনীয় তথ্য ফাঁস করাকে তিনি সমর্থন করেন না। তবে তিনি চান, অ্যাসাঞ্জ মুক্তিলাভ করুক।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সংসদের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তারা মার্কিন কংগ্রসে অ্যান্থনি আলবানিজের হয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে লবিং করেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।

এছাড়া এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি ভোটাভুটিতে সর্বসম্মতভাবে অ্যাসাঞ্জের মু্ক্তির জন্য যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বানকে জোরালোভাবে সমর্থন জানানো হয়।

লবিংয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রভাব

অস্ট্রেলিয়ার সংসদে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে সম্মতি আলোচনায় গতি পায়। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন কেনেডির সঙ্গে যোগাযোগ অস্ট্রেলিয়া সরকার।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির পর তার আগমণকে যেভাবে সমর্থকেরা স্বাগত জানান, ছবি- সংগৃহীত

এছাড়া ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টিকে অনেকটা ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এপ্রিল মাসে তিনি যু্ক্তরাজ্যে বেলমার্শ কারাগারে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি দ্রুত পরিণতির দিকে আগাতে থাকে।

অবশেষে মুক্তি এবং মার্কিন আদালতে অ্যাসাঞ্জের হাজিরা

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ছবি- সংগৃহীত

বেলমার্শ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই সোমবার একটি প্রাইভেট জেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানের একটি আদালতে হাজির হন তিনি।
সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে ফের বুধবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে ফেরেন তিনি। সেখানে ফিরে পরিবারের সদস্যদের মিলিত হন অ্যাসাঞ্জ।

;

মালয়েশিয়ায় অপহরণের অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি এক নাগরিককে অপহরণের অভিযোগে ৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। গত শুক্রবার (২২ জুন) সেলানগর থেকে তাদের আটক করা হয়।

তিমুর লট ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের প্রধান এসিপি রাজলাম আব হামিদ জানান, সেলানগরের শাহআলম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

তিনি জানান, জর্জ টাউনে কর্মরত একজন বাংলাদেশি পরিচ্ছন্নকর্মী একটি ফোন পান। ফোনে জানানো হয়, তার সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে। তার কাছে ২ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

রাজলাম বলেন, এরপর সেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং কিডনাপিংয়ের অপরাধে পেনাল কোডের ৩৬৫ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;