করোনার পৃথিবীতে এক স্মরণীয় বসন্ত ঋতু

  করোনা ভাইরাস


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
শিল্পী প্রীতিশ্রী রায় অঙ্কিত 'নষ্ট বসন্ত', ছবি: বার্তা২৪.কম

শিল্পী প্রীতিশ্রী রায় অঙ্কিত 'নষ্ট বসন্ত', ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ক্যালেন্ডারে ছিল ডিসেম্বর মাস আর ঋতুচক্রে শীতকাল। তারপর আসে ২০২০ সাল। আসে ঋতুরাজ বসন্তকাল। করোনাও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।পৃথিবীতে নিয়ে আসে এক স্মরণীয় বসন্ত ঋতু, যা কোনোদিন ভুলতে পারবেনা কেউ। 

সঙ্গরোধ ও সামাজিক দূরত্ব ডেকে আনা করোনা পরিস্থিতিতে প্রকৃতি থেমে থাকে না। শীতের ঝরা পাতা ফেলে নতুন পত্র, পুষ্প, পল্লবে নবসাজে সজ্জিত হয় বাসন্তী আবহে। মানুষের চলাচল হ্রাস পাওয়ায় কমে দূষণ। বাতাস হয় শুদ্ধতম। আকাশ আরও অনেক নীল। প্রকৃতি উপহার দেয় পূর্ণতায় আচ্ছাদিত এক নিটোল বসন্ত।

জনমানুষের পদচারণা না থাকায় প্রকৃতি নিজের মতো বিকশিত হয় কোনও প্রতিরোধ ছাড়াই। সৈকতের প্রলম্বিত ভূগোলে শৈবাল, লতা, গুল্ম ছড়িয়ে পড়ে। বালুকা বেলায় নির্বিঘ্নে খেলা করে শামুক, ঝিনুক, কচ্ছপ। উপকূলের সুনীল জলে আনন্দে মাতোয়ারা হয় শুশুক, ডলফিন।

বনে বনে অবারিত সৌন্দর্যে জাগে প্রকৃতির প্রতিটি সদস্য। বৃক্ষের শাখায়, পাতায়, ফুলে, মুকুলে জাগে প্রাণের বন্যা। লতায়, ঘাসে, ঝোপঝাড়ে জীবনের নতুন স্পর্শ লাগে।

দূষণমুক্ত অবারিত আকাশে শুধু নীলের মেলা আর পাখিদের কোলাহল। মানুষের অবিমিষ্যকামিতায় যেসব পাখি হারিয়ে গিয়েছিল, ফিরে আসে তারাও। সঙ্গে নিয়ে আসে একঝাঁক প্রজাপতি, পতঙ্গ, মথের উচ্ছ্বলতা।

শুধু প্রাচ্যের পৃথিবীতে নয়, প্রতীচ্যের ভূমিতটের নিরবতায় দেখা পাওয়া যায় এক আদি ও অকৃত্রিম বসন্তের। ইউরোপকে ঘিরে রাখা সমুদ্র ও হ্রদগুলো এবং প্রসারিত কানন ও বনাঞ্চলে দৃশ্যমান হয় এক পরিপূর্ণ বসন্তের। করোনাভাইরাস আক্রান্ত পৃথিবীতে ঘরবন্দী মানুষ বিস্ময়ের চোখে দেখে এক সর্বাঙ্গসুন্দর বসন্ত ঋতু।

এতো অনাবিল, এতো পরিস্ফুট, এতো বিকশিত, কখনো না দেখা এমন পরিপূর্ণ বসন্ত ধীরে ধীরে অতিক্রান্ত হয় চরম নিঃসঙ্গতায়। স্মরণীয় এই বসন্তকে মনে হয় বড়ই অতৃপ্ত। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ না হলে কিংবা উৎসবের আমেজ না মিশলে কোনো ঋতুই সফল হতে পারেনা। অরণ্যের বিশালতায় একজনও শকুন্তলা না থাকলে সুন্দর প্রকৃতিও  প্রাণ পায় না। কোনো পথিক যদি পথ না হারায় সেই অরণ্যে, তাহলেও জীবন্ত হয়না প্রকৃতি। 

করোনার পৃথিবীতে সর্বাঙ্গীণ  প্রাপ্তিতে ভরপুর বসন্ত ঋতুর আরেক পিঠে তাই ছায়া পড়ে প্রলম্বিত অপ্রাপ্তির। মানুষ ও উৎসবের সংশ্লেষহীন এমন ভরাট বসন্তকেও মনে হয় প্রাণহীন। পৃথিবীর ইতিহাস প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির দোলাচলের এমন বসন্ত আর কখনোই দেখেনি। করোনার ভীতিপ্রদ পরিস্থিতিতে  মানুষের ছোঁয়া না পেয়েই গড়াতে থাকে এমনই স্মরণীয় বসন্তকাল। সভ্যতার ইতিহাসে বড্ড আলাদা ও ভীষণ অন্য রকম পরিচিতে চিহ্নিত হয় ২০২০ সালের বসন্ত ঋতু। 

বসন্তকে নিয়ে রচিত শত শত গান, কবিতা, চিত্রমালা এমন যৌবনদীপ্ত বসন্তেও মনে হয় অর্থহীন। মানুষ আর উৎসববিহীন বসন্তকে মনে হয় বিরহী প্রেমিকার মতো বেদনার্ত। এই বসন্তের সর্বাত্মক উজ্জ্বলতার আড়ালে বয়ে যায় বিষাদের অন্তঃস্রোত। মানুষের মনেও আবর্তিত হয় বসন্তের স্পর্শহীনতার প্রচণ্ড দুঃখবোধ।

শিল্পী ও চিত্রকরের কল্পনায় স্মরণীয় অথচ নিঃসঙ্গ এমন বসন্ত জাগায় ভিন্নতর অভিঘাত। কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পী প্রীতিশ্রী রায় অকপটে প্রকাশ করেন সেই অভিব্যক্তি: 'বড্ড মন কেমন করছে l অন্যবার বসন্ত মানেই কতো আনন্দ, উৎসব, রঙের খেলায় মেতে ওঠা l এবার এক ভীষণ মন খারাপ করা আনন্দহীন, গৃহবন্দী, ভয়ে কাতর জীবন কাটাচ্ছি আমরা l বসন্ত আছে তারই মতো l আমরা ছুঁতে পারছি না তার সৌন্দর্য l তাই এই ছবিটা এঁকে ফেললাম।'

শিল্পী তার অঙ্কিত এমন অপরূপ ও অন্য রকম বসন্তের চিত্ররূপের শিরোনাম দিয়েছেন 'নষ্ট বসন্ত'। কিন্তু প্রকৃতি, নিসর্গ, ঋতু কিংবা মানুষ কখনো নষ্ট হয়? নানা আরোপ, বিরূপতা ও দূষণ তাকে পঙ্কিল করলেও তার শাশ্বত সত্তা অমলিন। তাকে শত চেষ্টা করেও নস্যাৎ করা যায় না। প্রাণের আলোয় জেগে উঠেই। হয়ত অনির্বচনীয় এই বসন্ত নিঃসঙ্গ এবং মানুষের সঙ্গে সংযোগ সম্পর্কহীনতায় খুবই কষ্টের, কিন্তু নষ্ট নয় কিছুতেই।

   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

  করোনা ভাইরাস

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

  করোনা ভাইরাস

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

  করোনা ভাইরাস

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

  করোনা ভাইরাস

;