সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করতে চায় ‘ইন্ডিয়া’ : নরেন্দ্র মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সন্ত রবিদাসের মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে আবার মধ্যপ্রদেশে পা রাখলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বীনা জেলায় বৃহস্পতিবার মোট ১০টি শিল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচারের সূচনা করেন মোদি।

এ সময় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ওরা দেশকে হাজার বছরের দাসত্বের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।’

চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মোদি বিরোধী জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ (অহঙ্কারী) বলে খোঁচা দেন।

তিনি বলেন, ‘ঘমন্ডিয়া জোট সম্প্রতি মুম্বাইয়ে বৈঠক করেছে। তাদের না আছে কোনও নীতি, না কোনও কর্মসূচি, না কোনও নেতা। তাদের সনাতন ধর্মকে আঘাত করার গোপন ছক রয়েছে। সনাতন ধর্মকে তারা ধ্বংস করতে চায়।’

সনাতন ধর্মকে অপমান করার অভিযোগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।

এই পরিস্থিতিতে মোদী যেভাবে, পুরো বিষয়টিকে সুকৌশলে ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

কারণ, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, কংগ্রেসের কমল নাথ, কেসি বেনুগোপালের মতো ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে বলেছেন, কোনও ধর্মের প্রতি অবমাননা তারা সমর্থন করেন না।

গত ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিবিরোধী জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্সের (ইন্ডিয়া) আত্মপ্রকাশের পরেই অবশ্য ধারাবাহিকভাবে খোঁচা দিয়ে চলেছেন মোদি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নামমাহাত্ম্যের জেরে বিরোধীশিবির জাতীয়তাবাদে ভাগ বসাতে পারে বুঝেই মোদি বলেছিলেন, জঙ্গি সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’-এর নামেও ‘ইন্ডিয়া’ রয়েছে। ভারত দখলকারী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামেও ‘ইন্ডিয়া’ রয়েছে।

মোদি বলেছিলেন, ‘বিরোধী জোটের নামের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে পাপ।’ ইন্দিরা গান্ধীর আমলে কংগ্রেসের স্লোগান ‘ইন্দিরা ইজ় ইন্ডিয়া’-কেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।

   

মুক্ত জীবনে অ্যাসাঞ্জ, পৌঁছেছেন জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তির পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন।

তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছায়। খবর বিবিসি। 

অ্যাসাঞ্জকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন তার স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ এবং তার বাবা জন শিপটন।

এর আগে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালত মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

এর মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ ১২ বছর পর মুক্ত জীবনে ফিরেছেন। গত ৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এর আগের ৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করেছেন তিনি।

;

পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করেন না বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করছেন না, যা সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালে সুপারিশকৃত ১.৮ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩১ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক লোক পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষকদের একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের পরিচালক রুডিগার ক্রেচ বলেছেন, ‘শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য একটি নীরব হুমকি, যা রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।’

তিনি একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ব সঠিক পথে হাঁটছে না।

সুস্থ থাকার জন্য ডব্লিউএইচও সুপারিশ করেছে যে, সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্র শারীরিক ব্যায়াম করা-যার মধ্যে হাঁটা, সাইকেল চালানো বা এমনকি ঘরের কাজও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ক্রেচ বলেন, পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করা মানুষের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের গবেষণা অনুসারে, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা ৩৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যা এই দশকের শেষ নাগাদ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ১৫ শতাংশ হ্রাস করার ডব্লিউএইচও-এর লক্ষ্য থেকে অনেক কম হবে।

ডব্লিউএইচও’র ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ইউনিটের প্রধান ফিওনা বুল বলেন, ‘গবেষণাটি ছিল একটি সতর্কবার্তা যে, যা আমরা করছি তা যথেষ্ট নয়।’

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চায় ২৯ শতাংশ পুরুষ নিধারিত সীমায় পৌঁছান না। সেই তুলনায় বিশ্বব্যাপী নারীদের এই হার প্রায় ৩৪ শতাংশ।

ফিওনা বুল বলেন, সামগ্রিকভাবে কার্যকলাপের হার হ্রাসের জন্য একাধিক কারণ’ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কম হাঁটা, কম্পিউটারে বেশি কাজ করা এবং সাধারণত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবসর সময় কাটানো।

ক্রেচ স্মরণ করিয়ে দেন, খেলা দেখা শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সমাধান নয়।

তিনি বলেন, ‘শুধু চেয়ারে বসে থাকবেন না, উঠুন এবং প্রতিটি পদক্ষেপ গণনা করে সক্রিয় হোন।’

ডব্লিউএইচও জোর দিয়ে বলেছে, ব্যক্তিগত আচরণ পরিবর্তন করা যথেষ্ট নয়। তাই দেশগুলোকে সামাজিক খেলাধুলার পাশাপাশি হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

;

উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের মুক্তির নেপথ্যে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক বছর কারাগারে কাটানোর পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্তির সুবাতাস পেয়েছেন। কূটনৈতিক তৎপরতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আইনি সম্মতি সহায়তা করেছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি পেতে।

এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লবিং এবং মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে দোষ স্বীকার করার পর মুক্তি মেলে অ্যাসাঞ্জের। এতে অবশ্য সম্মতি মেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

এরপর সোমবার একটি প্রাইভেট জেট প্লেনে করে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানে পৌঁছে একটি আদালতে হাজিরা দেন। সেখান থেকে তাকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

এতে করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারবেন। তাকে আর সে দেশে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না।

বুধবার বিকেলে উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা আসেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান, তার স্ত্রী স্টেলা।

বিবিসি ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি অনলাইন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) এক বিবৃতি জানায়, গত মার্চ মাসে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তিটি তাদের নজরে আসে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন আদালতে হাজির হবেন, সেখানে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করবেন। এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে কারাগারে অ্যাসাঞ্জ যে সাজা ভোগ করেছেন, তাতে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সাজা ভোগ করতে হবে না।

কূটনৈতিক, রাজনৈতিক লবিং এবং আইনি সম্মতির নেপথ্যে
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হয়। তিনি তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অ্যান্থনি আলবানিজ নিজে থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, উইকিলিকিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মার্কিন সামরিক বাহিনীর একান্ত গোপনীয় তথ্য ফাঁস করাকে তিনি সমর্থন করেন না। তবে তিনি চান, অ্যাসাঞ্জ মুক্তিলাভ করুক।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সংসদের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তারা মার্কিন কংগ্রসে অ্যান্থনি আলবানিজের হয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে লবিং করেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।

এছাড়া এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি ভোটাভুটিতে সর্বসম্মতভাবে অ্যাসাঞ্জের মু্ক্তির জন্য যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বানকে জোরালোভাবে সমর্থন জানানো হয়।

লবিংয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রভাব

অস্ট্রেলিয়ার সংসদে অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়ে সম্মতি আলোচনায় গতি পায়। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন কেনেডির সঙ্গে যোগাযোগ অস্ট্রেলিয়া সরকার।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির পর তার আগমণকে যেভাবে সমর্থকেরা স্বাগত জানান, ছবি- সংগৃহীত

এছাড়া ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টিকে অনেকটা ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এপ্রিল মাসে তিনি যু্ক্তরাজ্যে বেলমার্শ কারাগারে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের মুক্তির বিষয়টি দ্রুত পরিণতির দিকে আগাতে থাকে।

অবশেষে মুক্তি এবং মার্কিন আদালতে অ্যাসাঞ্জের হাজিরা

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ছবি- সংগৃহীত

বেলমার্শ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই সোমবার একটি প্রাইভেট জেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সাইপানের একটি আদালতে হাজির হন তিনি।
সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে ফের বুধবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে ফেরেন তিনি। সেখানে ফিরে পরিবারের সদস্যদের মিলিত হন অ্যাসাঞ্জ।

;

মালয়েশিয়ায় অপহরণের অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি এক নাগরিককে অপহরণের অভিযোগে ৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। গত শুক্রবার (২২ জুন) সেলানগর থেকে তাদের আটক করা হয়।

তিমুর লট ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের প্রধান এসিপি রাজলাম আব হামিদ জানান, সেলানগরের শাহআলম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

তিনি জানান, জর্জ টাউনে কর্মরত একজন বাংলাদেশি পরিচ্ছন্নকর্মী একটি ফোন পান। ফোনে জানানো হয়, তার সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে। তার কাছে ২ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

রাজলাম বলেন, এরপর সেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং কিডনাপিংয়ের অপরাধে পেনাল কোডের ৩৬৫ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;