চীনে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ের মেইঝৌ শহরে ব্যাপক বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
সোমবার (১৭ জুন) চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া বন্যা-ভূমিধসের ফলে জঞ্জাল ও ধংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১৩ জন মানুষ। তাদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘনবসতিপূর্ণ গুয়াংডং প্রদেশে রোববার থেকে শুরু হয় বর্ষণ।

জঞ্জাল সরানো, নিখোঁজদের সন্ধান ও আটকে পড়াদের উদ্ধারে চীনের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর মেইঝৌ শহরে ১০ হাজার উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া সহ্য করছেন চীনের লোকজন। ব্যাপক তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো, অন্যদিকে টানা বর্ষণ ও তার জেরে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে নাকাল হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রদেশ।

   

কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় বুধবার (২৬ জুন) ফের জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে।

দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ওই দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

দুই চলতি মাসের ১২ তারিখে মধ্যরাতে এই ডোডাতে এক সেনাঘাঁটিতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় দুই সেনা সদস্য আহত হয়েছিলেন।

ওই হামলার পর ডোডার বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায় লাগাতার তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। বুধবার সকালে এই অভিযান চলাকালীন গান্দোহ এলাকার বাজাদ গ্রামে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় তাদের।

এক সেনা কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, ডোডায় নিরাপত্তারক্ষীদের এনকাউন্টারে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। নিহত জঙ্গিদের থেকে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

চলতি মাসের শুরু থেকে কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। জম্মুর শিবখড়ি মন্দির থেকে কাটরায় বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরের উদ্দেশে যাওয়া তীর্থ যাত্রীবোঝাই বাসে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

হামলার জেরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়িয়ে খাদে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় ১০ জন পুণ্যার্থীর। তারপর একই রাতে জোড়া হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

প্রথমে কাঠুয়া জেলার হীরানগরীতে এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়েছিল একদল জঙ্গি। সেই ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ডোডা জেলার ছত্তরগালা এলাকার এক সেনা ছাউনিতে হানা দেয় জঙ্গিরা।

বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। তার পর থেকেই দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী।

;

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরেই বিস্ফোরণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া বুধবার (২৬ জুন) তার পূর্ব উপকূলে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

রয়টার্স জানিয়েছে, কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য আকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেন, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছেই কোনো স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় এবং ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে উড়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বিষয়ে ফোনালাপ করেছেন।

তারা এই উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের লঙ্ঘন এবং এই অঞ্চল এবং এর বাইরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসাবে নিন্দা করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার মেরিন কর্পস জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে সিউল একটি আন্তঃকোরিয়ান সামরিক চুক্তি বাতিল করার পর তাদের সেনারা প্রথমবারের মতো উত্তরের সাথে সামুদ্রিক সীমান্তের কাছে গুলি চালানোর মহড়া করেছে। জুনের শুরুতে এই মহড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের নিন্দা করে পিয়ংইয়ংকে বেআইনি ও অস্থিতিশীল কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড।

মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ঘটনাটি এই অঞ্চলে মার্কিন কর্মীদের বা আমাদের মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে না। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি।’

এর আগে উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হয়েছিল গত ৩০ মে।

অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়া ।

;

সন্ত্রাস দমনে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান চালাবে পাকিস্তান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পাকিস্তান। আর পার্লামেন্টে আলোচনা না করেই সন্ত্রাস দমনে সেই নতুন নীতির ঘোষণা করে বিতর্কে জড়িয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকার।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এর আগে শাহবাজের সরকার জানিয়েছিল পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমনের জন্য ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ নামে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হবে।

এরপরই ওই বিশেষ অভিযানের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ হলো, আসলে বালুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা নামিয়ে দমন পীড়নের উদ্দেশ্যেই পাকিস্তান সরকার এই কৌশল বেছে নিয়েছে।

তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে এবার পাকিস্তান সরকার কীভাবে সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালাবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।

সন্ত্রাস দমনের নতুন নীতির কথা স্পষ্ট করে শাহবাজ জানিয়েছেন, এই অভিযান কোনো সামরিক অভিযান নয়, বরং এটি হবে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান। এই গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযানই এবার সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটন করবে।

ফলে সেনা অভিযানের যে অভিযোগ বিরোধীরা তুলেছিলেন, সেই অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। তাই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য শাহবাজের সরকার গত সোমবার ওই অপারেশনের কথা ঘোষণা করেছিল।

তারপরেই তুমুল প্রতিক্রিয়া জানায় বিরোধীরা। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় যে ‘আজম-ই-ইস্তেকাম’ অভিযান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের দুটি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানে এই অভিযান চালানো হবে।

এই অভিযান আগের অভিযানগুলোর থেকে অনেকটাই আলাদা। এই অভিযানের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা।

এছাড়াও অভিযোগ উঠেছিল যে, চীনের নির্দেশেই এই অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তান। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, চীন বা অন্য কারো নির্দেশে এই অভিযান চালানো হচ্ছে না।

তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, এই অভিযানের সময় কোনো প্রাণহানি বা দমন পীড়নের ঘটনা ঘটবে না।

;

মুক্ত জীবনে অ্যাসাঞ্জ, পৌঁছেছেন জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তির পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন।

তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় পৌঁছায়। খবর বিবিসি। 

অ্যাসাঞ্জকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন তার স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ এবং তার বাবা জন শিপটন।

এর আগে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের একটি আদালত মুক্ত ঘোষণা করেছেন।

এর মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ ১২ বছর পর মুক্ত জীবনে ফিরেছেন। গত ৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এর আগের ৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করেছেন তিনি।

;